বৃহস্পতিবার   ২৫ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১   ১৬ শাওয়াল ১৪৪৫

অবৈধ দখলদারদের পেটে ২০০ শতাংশ জমি

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:০৩ পিএম, ১০ অক্টোবর ২০২১ রোববার

# দখলদারদের মধ্যে রয়েছে মনির হোটেল, ফুডল্যান্ড বেকারী, ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, শরীফ রেস্টুরেন্ট আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ এবং সমগ্র রেলওয়ে মার্কেট।

 

# উচ্ছেদের জন্য জেলার সিআইডি ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার ববাবর আবেদন করা হয়েছে।

 

নগরীর ২নং রেলগেট এলাকায়  ২০০ আড়াই শতাংশ জমি রয়েছে অবৈধ দখলদারদের পেটে। এই জমিতে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ করে জমির মালিককে বুঝিয়ে দিতে নারায়ণগঞ্জ জেলার সিআইডি ব্রাঞ্চের বিশেষ পুলিশ সুপার ববাবর আবেদন করেছেন কানাডা প্রবাসী ফেরদৌস বারী (জন)। তিনি প্রেসিডেন্ট অব কানাডিয়ান-বাংলাদেশী পাবলিক এফেয়ার্স কমিটি, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক, বাংলদেশ আওয়ামী লীগ কানাডা শাখা এবং লিবারেল পার্টি অব কানাডা, অশোয়া অঞ্চলের বর্তমান রাইডিং চেয়ারম্যান।


দখলদারদের উচ্ছেদে লিখিত আবেদনে কানাডা প্রবাসী ফেরদৌস বারী (জন) উল্লেখ করেন,  ২নং রেলগেট এলাকার ওই সম্পত্তির খরিদ সূত্রে মালিক তার শ্বশুর মরহুম মোখলসুর রহমান ওরফে পেয়ার আলী মুন্সী। তিনি গতবছর করোনা মহামারী চলাকালীন ২৮শে এপ্রিল তিন কন্যা রেখে মৃত্যুবরণ করে। বর্তমানে জনের স্ত্রী ও তার পরিবার অজিওন বারী গং উল্লেখিত সম্পত্তির ওয়ারিশ সুত্রে মালিক।

 

উল্লেখ্য, পেয়ার আলী মুন্সীর তিন কন্যাই বর্তমানে প্রবাসে বসবাস করছেন। জ্যেষ্ঠ কন্যা অজিওন বারী কানাডা প্রবাসী, দ্বিতীয় কন্যা ফায়জুন আমিন এবং কনিষ্ঠ কন্যা নাজমুন বারী বর্তমানে লন্ডন প্রবাসী। প্রায় দুই যুগেরও বেশী সময় ধরে বাংলাদেশ রেলওয়ের সাথে চলমান মামলা গতবছর ২০২০ সালে বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের হাইকোর্ট ডিভিশনের রায়ের মাধ্যমে নিষ্পত্তি হয়।

 

রেলওয়ের সাথে দীর্ঘদিন মামলা চলমান থাকাকালীন সময়ে কতিপয় দখলদার ও ভূমিদস্যু উক্ত জায়গায় বিভিন্ন অবৈধ স্থাপনা, মার্কেট ইত্যাদি গড়ে তোলেন। এখানে গড়ে তোলা পাঁচ শতাধিক দোকান থেকে বছরের পর বছর ধরে অবৈধ সুবিধা লাভ করে আসছে তারা। ২০২০ সালের ১১ সেপ্টেম্বরে দেশে এসে খোঁজ খবরের মাধ্যমে তিনি জানতে পারেন উক্ত  অবৈধ স্থাপনার মধ্যে মনির হোটেল (মালিক মনির হোসেন), ফুডল্যান্ড বেকারী,  ফুড গার্ডেন রেস্টুরেন্ট, শরীফ রেস্টুরেন্ট, 

 

আল্লাহর দান বিরিয়ানি হাউজ, জামান এন্টারপ্রাইজ, জালাল এন্টারপ্রাইজ, আমান কালার থ্রেড, ফরিদ ষ্টোর, বাবুল ষ্টোর, ছোয়া কালার থ্রেড, এম.আর এন্টারপ্রাইজ, সবুজ এন্টারপ্রাইজ, ভাই ভাই ষ্টোর ইত্যাদি উল্লেখ্য। সর্বমোট এখানে জমির পরিমাণ দুইশত আড়াই শতাংশ (সম্মুখ অংশ মনির হোটেল, ফুডল্যান্ড ইত্যাদি স্থাপনা, পেছনে সমগ্র রেলওয়ে মার্কেট)। এই সম্পত্তি থেকে অবৈধ দখলদারদের উচ্ছেদ ও তার উদ্ধারে পুলিশের সাহায্য কামনা করেছেন জমির মালিকরা।