শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

খানপুর হাসপাতালে সাধারণ চিকিৎসা শুরু

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৩৯ পিএম, ১৪ অক্টোবর ২০২১ বৃহস্পতিবার

দুই সপ্তাহ ধরে কোভিড এর পাশাপাশি খানপুর হাসপাতালে শুরু হয়েছে সাধারন রোগের চিকিৎসা। হাসপাতালটিতে সাধারন রোগের চিকিৎসা শুরু হওয়ায় দুর্ভোগ কমেছে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীর। নগরীতে ভিক্টোরিয়া হাসপাতাল ছাড়া সরকারি ভাবে চিকিৎসার জন্য খানপুর হাসপাতাল ছিল অন্যতম।

 

কিন্তু এই হাসপাতালটি কোভিড-১৯ রোগীর জন্য রূপান্তর করা হলে বন্ধ হয়ে সাধারন রোগের চিকিৎসা। আর এতে করে সাধারণ রোগের রোগীরা হাসপাতাল থেকে হাসপাতাল ঘুরে চিকিৎসা নিতে চরম দূর্ভোগে পড়েন। বর্তমানে করোনা সংক্রামন কমে যাওয়ায় এই হাসপাতালটিতে পাশাপাশি সাধারন রোগের চিকিৎসা চালু হয়েছে। ফলে নগরীর মানুষ এই সুবিদা পেয়ে অনেকেই খুশি। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন সল্প পরিশরে চালু হলেও আগামী মাসে রোগীদের ভর্তি’র ব্যবস্থা করা হবে।



এদিকে চিকিৎসা নিতে আসা রোগীদের অভিযোগ হাসপাতালটিতে দালালদের চরম উপদ্রব রয়েছে। যার কারনে অনেকেই তাদের খপ্পরে পড়ে অপচিকিৎসার শিকার হচ্ছেন। তারা হাসপাতালটির মেইন গেটে ওৎ পেতে থেকে আগত রোগীদের জিম্মি করে নিয়ে যায় অন্যত্র। এ যেন ওপেন সিক্রেট এখন এই হাসপাতালে।



এব্যাপারে হাসপাতালটির চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাসার জানান, দালালদের বিরুদ্ধে থানা সহ সিআইডিতে অভিযোগ রয়েছে। যে কোন সময় এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেবেন তারা। আগত রোগীদের হয়রানি সহ চিকিৎসার ব্যঘাত ঘটালে সয্য করা হবে না। তিনি আরো জানান, এখনো কোভিড রোগী ভর্তি আছে। তাই সাধারণ রোগীর ভর্তির ব্যবস্থা করা যাচ্ছে না। গতকাল প্রায় আড়াইশত রোগীকে বর্হিবিভাগে চিকিৎসা দেয়া হয়েছে। কাটা ছেঁড়া রোগী এখনই এই হাসপাতালে চিকিৎসা পাবে না। কারন যে কোন সময় করোনা রোগী জরুরী বিভাগে চিকিৎসা নিতে আসতে পারে। সেই কথা মাথায় রেখে এখনই জরুরী বিভাগে কাটাঁেছড়া রোগীর চিকিৎসা হচ্ছে না। তবে হাসপাতালটিতে পাশাপাশি করোনা রোগীসহ করোনা টেস্ট ও টিকা কার্যক্রম চালু থাকবে।


   
জানা গেছে, ১০ বেডের আইসিইউ শয্যার মধ্যে ৮ বেডই রোগী শূন্য। অন্যদিকে সাধারণ শয্যায় তেমন একটা রোগী নেই। একশত দশ শয্যার মধ্যে রোগী আছে ১৪ জন। রোগী না থাকায় করোনা আইসোলেসন ১৯নং পুরুষ ওয়ার্ড ও ১৮নং মহিলা ওয়ার্ড বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। গতকাল কোভিড হাসপাতাল ঘুরে এই তথ্য পাওয়া গেছে। এদিকে গত দেড় বৎসরের বেশী হাসপাতালটিতে স্বাস্থ্যসেবা ব্যবস্থায় করোনাভাইরাস বিষয়টিকে বিশেষ প্রাধান্য দেয়া হয়েছে। তাই হাসপাতালটিতে সাধারন রোগের চিকিৎসা বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে বর্তমানে করোনা সক্রামণ অনেকটাই কমে যাওয়ায় সাধারন রোগের চিকিৎসা শুরু হয়েছে। মেডিসিন, সার্জারী, গাইনী, শিশু, নাক কান গলাসহ সব ধরনের চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। শুধু চক্ষু ওয়ার্ড বন্ধ আছে।