মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১   ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

নারায়ণগঞ্জ হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের গণঅনশন

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:৫১ পিএম, ২৩ অক্টোবর ২০২১ শনিবার

সনাতন ধর্মাবলম্বীদের ধর্মীয় উৎসব দুর্গাপূজাকে কেন্দ্র করে নোয়াখালী, কুমিল্লা, রংপুরসহ সারাদেশে সংগঠিত ‘সাম্প্রদায়িক হামলার’ প্রতিবাদে নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের উদ্যোগে গণঅনশন-গণঅবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।শনিবার (২৩ অক্টোবর) ভোর ৬টা থেকে চাষাঢ়া শহীদ মিনারে অবস্থান নেন হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের নেতা-কর্মীরা।

 


এসময়ে খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে গণঅনশনে যোগদান করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর এবং বিভিন্ন উপজেলার নেতাকর্মীরা। এই অবস্থান কর্মসূচি দুপুর ১২টা পর্যন্ত চলে। এসময়ে নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি রবিউল হোসেন জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক প্রদীপ কুমার দাস ও সদস্য সচিব রঞ্জিত মন্ডল এবং মহানগরের সভাপতি লিটন চন্দ্র পালকে পানি পান করিয়ে অনশন ভাঙান। পরে সংগঠনটি পক্ষ থেকে শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। মিছিলটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে  নারায়ণগঞ্জ প্রেসক্লাবের সামনে  এসে সমাপ্ত হয়। 

 


এসময় বক্তারা বলেন, সাম্প্রদায়িক সহিংসতার চক্রান্ত প্রতিরোধ করতে হবে। ইতিমধ্যে তদন্তে বের হয়েছে, পূজামণ্ডপে পবিত্র কোরআন কোনো হিন্দুধর্মাবলম্বী রাখেননি। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী মণ্ডপে পবিত্র কোরআন রাখা ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করেছে। এটি একটি পরিকল্পিত ঘটনা। পরিকল্পনা করেই মন্দির ও হিন্দুধর্মাবলম্বীদের ঘরবাড়িতে আগুন ও হামলা চালানো হয়েছে। 

 

এছাড়াও তারা বলেন, মিথ্যা অজুহাতে সংখ্যালঘুদের ওপর পরিকল্পিত হামলার সাথে সংশ্লিষ্ট সকলকে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতকরণ, ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির সংস্কার ও হামলার শিকার নাগরিকদের ক্ষতিপূরণ নিশ্চিত ও সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা প্রদান করতে হবে। একটা স্বাধীন দেশে সাম্প্রদায়িক দাঙ্গা কখনো কাম্য নয়।


 

নারায়ণগঞ্জ জেলা হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের আহ্বায়ক প্রদীপ কুমার দাসের সভাপতিত্বে ও সদস্য সচিব রঞ্জিত মন্ডলের সঞ্চালনায় এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন, জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শিখণ সরকার শিপন, মহানগর হিন্দু বৌদ্ধ খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের সভাপতি লিটন চন্দ্র পাল, সাধারণ সম্পাদক নিমাই চন্দ্র দে, দেওভোগ ইসকন মন্দিরের অধ্যক্ষ হংস কৃষ্ণ মহারাজ, রামসিতা মন্দিরের শ্যামল মহারাজ ও সৎসঙ্গ মন্দিরের মহারাজ অভিনেষ সাহা প্রমুখ।