ধর্ষণ মামলায় কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা
যুগের চিন্তা অনলাইন
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৪:৩০ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২১ বুধবার
ধর্ষণ মামলায় নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের ১৩নং ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও যুবদল নেতা মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ের প্রতারণা করে ধর্ষণের অভিযোগে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী সাঈদা শিউলির দায়ের করা মামলায় খোরশেদের বিরুদ্ধে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়। বুধবার নারায়ণগঞ্জ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন বিশেষ ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে এই গ্রেফতারি পরোয়ানা জারির আদেশ দেয়া হয়।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, বুধবার ধর্ষণ মামলায় শুনানি শেষে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছেন বিচারক।
চলতি বছরের ২৫ আগস্ট কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে ধর্ষণ মামলাটি দায়ের করেন ব্যবসায়ী সাঈদা শিউলি। মামলাটি তদন্তের জন্য পিবিআইকে হস্তান্তর করা হয়। তদন্ত শেষে নাসিকের ১৩নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদের বিরুদ্ধে আনা ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা পেয়েছে পুলিশ।
গত ৭ নভেম্বর নারায়ণগঞ্জ পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনের সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, গত বৃহস্পতিবার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে এস আই তৌহিদুল ইসলাম তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করেন। গত ২৫ আগস্ট নারায়ণগঞ্জের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক নাজমুল হক শ্যামলের আদালতে কাউন্সিলর খোরশেদের বিরুদ্ধে মামলা করেন সাঈদা শিউলি। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে তদন্তের নির্দেশ দেন।
পুলিশ সুপার বলেন, তদন্তে খোরশেদের বিরুদ্ধে ওই নারীকে ধর্ষণের অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে। গত বৃহস্পতিবার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন তদন্ত কর্মকর্তা।
ধর্ষণ মামলায় উল্লেখ করা হয়, সাঈদা আক্তারের বিয়ের পর প্রথম স্বামীর সংসারে তার ৩টি সন্তান রয়েছে। বনিবনা না হওয়ায় প্রথম স্বামীর সঙ্গে তার বিচ্ছেদ হয়। এরপর থেকে কাউন্সিলর খোরশেদ তার সঙ্গে ভালোবাসার সম্পর্ক গড়ে তোলেন। একপর্যায়ে গত বছরের ২ আগস্ট বিকালে সাঈদা আক্তারের কাঁচপুরে অবস্থিত এসএস ফিলিং স্টেশনে খোরশেদ একজন লোক নিয়ে যান। সেই লোককে কাজী বলে সাঈদাকে পরিচয় করিয়ে দেন খোরশেদ। এরপর সেই কাজী তার রেজিস্ট্রারে সাঈদার স্বাক্ষর নিয়ে বলেন আপনারা বিবাহবন্ধনে আবদ্ধ হয়েছেন। ওই রাত ১১টায় সাঈদা আক্তারের নিজ বাসায় বাসরের নামে খোরশেদ তাকে কয়েকবার ধর্ষণ করেছেন। তারপর থেকে প্রায়ই তাদের মধ্যে স্বামী-স্ত্রীর দাবিতে ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে খোরশেদের কাছে একাধিকবার সাঈদা আক্তার বিয়ের কাবিননামা চান। খোরশেদ কাবিননামা না দিয়ে চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি রাত ১১টায় আবারো সাঈদা আক্তারের বাসায় গিয়ে তাকে ধর্ষণ করেন।
মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়, সাঈদা আক্তার নারায়ণগঞ্জ-মুন্সীগঞ্জ সিএনজি ওনার্স অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি, গার্মেন্টস, হোসিয়ারীসহ এক্সপোর্ট-ইমপোর্টের ব্যবসা করেন। এছাড়া তিনি বিভিন্ন ব্যবসায়ী সংগঠনের সঙ্গে জড়িত হওয়ায় বিভিন্ন অজুহাতে ৫০ লাখ টাকা হাতিয়ে নেন আসামি কাউন্সিলর মাকছুদুল আলম খন্দকার খোরশেদ।