শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

সোনারগাঁয়ে শীতকালীন সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন কৃষকরা

আশরাফুল আলম, সোনারগাঁ

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৪:৪০ পিএম, ২২ নভেম্বর ২০২১ সোমবার

শীতকালীন মৌসুমী সবজি চাষে ব্যস্ত সময় পার করছেন সোনারগাঁ উপজেলার কৃষকরা। এবছর ব্যাপক হারে শীতকালীন সবজি চাষ হয়েছে। গত বছর মহামারী করোনা ও বৈরী আবহাওয়ার কারণে সবজির উৎপাদন ও দাম কম হওয়ায় লোকসানের কারনে কৃষকরা কিছুটা ক্ষতির মুখে পড়ে। কিন্তু এবার শীত মৌসুমের শুরুতেই সবজির বাজার দর ভাল পাওয়ায় আশায় বুক বেধে সবজি উৎপাদনে মাঠে ব্যস্ত রয়েছেন স্থানীয় কৃষকরা। এর ফলে উপজেলার বিভিন্ন হাট-বাজার গুলোতে এখনই শীতকালীন সবজির আমদানী হচ্ছে। শীতের শুরুতেই বাঁধাকপি, ফুলকপি, মুলা, শিম, লাউ, লাল শাক, পালং শাক, বরবটি সহ বিভিন্ন প্রকার শীতকালীন শাক-সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বিক্রির জন্য পাঠানো হবে। উপজেলার বিভিন্ন হাট বাজার ঘুরে দেখা যায়, কৃষকরা বিভিন্ন যানবাহনে করে সবজির পসরা সাজিয়ে বিক্রির জন্য হাটে নিয়ে আসছে।


উপজেলার সনমান্দি ইউনিয়নের চরলাল বাংলাবাজার এলাকার কৃষক রবিউল আউয়াল, ফেলু মিয়া, সাহাব উদ্দিনসহ কয়েকজন কৃষক জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় এবছর সবজি উৎপাদনে কিছুটা সময় বেশী লাগতেছে তবে ফলন ভাল হবে। এখন থেকেই আমরা কিছু কিছু সবজি বাজারে পাঠাতে শুরু করেছি এবার বেশ ভাল দাম পাওয়া যায়। তবে কৃষি উপকরণের দাম অনেক বেড়ে যাওয়ায় তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন।


দরপত ঠোটালিয়া গ্রামের কৃষক শাহাজালাল মিয়া জানান, এবছর তিন বিঘা জমিতে বিভিন্ন রকম সবজি চাষ করেছেন তিনি। ফলন ভাল হওয়ায় এবং বাজার দর ভাল পাওয়ায় বেশ খুশি তিনি। বাজারে বর্তমানে শিম ও বরবটির সরবরাহ কম থাকায় অন্যান্য সবজির তুলনায় সে গুলোর দাম  অনেক বেশি বলে জানান।


সোনারগাঁ উপজেলার মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকার সবজি ব্যবসায়ী সাকিল মিয়া বলেন, সোনারগাঁয়ের বিভিন্ন এলাকা থেকে বাজারে শীত কালীন সবজি আসা শুরু হয়েছে। এবছর সবজির দাম অনেকটা ভাল। স্থানীয় ব্যবসায়ী ও কৃষকরা সবজির ভাল দাম পেয়ে অনেক খুশি।


উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মুনিরা আক্তার জানান, গত কয়েকদিন পূর্বে আবহাওয়া অনুকুলে না থাকায় এবছর শীতকালীন সবজি চাষে কিছুটা বিলম্ব হওয়ায় বাজারে পুরোপুরি সবজি আসা শুরু হয়নি। তবে বর্তমান সময়ে বাজারে সবজির দাম ভাল। এবছর সবজির দাম বেশি পাওয়ায় কৃষকরাও লাভবান হচ্ছেন।