মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১   ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

জামপুরে নৌকা-লাঙ্গলের সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলি, আহত ২০

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৭:৫৮ পিএম, ২৫ নভেম্বর ২০২১ বৃহস্পতিবার

সোনারগাঁ উপজেলার ইউপি নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বৃহস্পতিবার বিকেলে জামপুর ইউনিয়নের বস্তল এলাকায় নৌকা ও লাঙ্গলের সমর্থকদের মধ্যে দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ২০ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। খবর পেয়ে নারায়নগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ বিল্লাল হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভুমি) গোলাম মোস্তফা মুন্না ও সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর ইসলাম পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৮/১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। পরে অস্ত্রধারী যুবক পারভেজকে এলাকাবাসী আটক করে গণপিটুনী দিয়ে পুলিশে সোর্পদ করেছে। এসময় উভয় পক্ষের বেশ কয়েকটি গাড়ীও ভাংচুর করা হয়।


এলাকাবাসী জানান, বৃহস্পতিবার বিকেলে জামপুর ইউনিয়নে জাতীয় পার্টির সমর্থিত লাঙ্গল প্রতীকের প্রার্থী আশরাফুল আলম মাকসুদ ভুইয়া তার নেতাকর্মী নিয়ে নির্বাচনী প্রচারনায় বের হোন। বস্তল এলাকায় আসলে নৌকার সমর্থিত নেতাকর্মীরা মাকসুদের গাড়ীর পথরোধ করে এলোপাতালি পিটিয়ে তার নেতাকর্মীদের আহত করে। এসময় নৌকার সমর্থিত নেতাকর্মীরা মাকসুদের গাড়ীসহ কয়েকটি গাড়ী ভাংচুর চালায়। 

 

এদিকে খবর পেয়ে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন, সোনারগাঁ উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) গোলাম মোস্তফা মুন্না ও থানার ওসি হাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনার চেষ্টার করেন। এমন সময় নৌকার প্রার্থী হুমায়ন কবির ঘটনাস্থলে আসলে হুমায়ুন কবিরের নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে মাকসুদ ভুইয়ার সমর্থকরা গুলি করেন। ক্ষোভে হুমায়ুন মেম্বারের সাথে থাকা নেতাকর্মীরা মাকসুদ আলমের সমর্থকদের উপর ফের হামলা চালালে উভয় পক্ষের নেতাকর্মীরা সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে অস্ত্রধারীসহ উভয় পক্ষের ২০জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে পুলিশ ৮/১০ রাউন্ড ফাঁকা গুলি ছুড়ে। এদিকে খবর পেয়ে মাকসুদ আলমের লোকজন পাকুন্ডা এলাকায় নৌকার কয়েকটি ক্যাম্প ভাংচুর করে। জামপুর ইউনিয়নের বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। এ ঘটনায় অস্ত্রধারী পারভেজকে আটক করেছে পুলিশ।


এব্যাপারে নৌকার প্রার্থী হুমায়ন কবির জানান, আমি সাইদুর মার্কেটের সামনে গণসংযোগকালে একজন অস্ত্রধারী আমাকে পিস্তল তাক করে গুলি করার সময় এলাকাবাসী দেখে ফেলে। তাকে আটক করে পুলিশে সোর্পদ করে। অপরদিকে বস্তল এলাকায় আমার নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে মাকসুদের বহিরাগত সন্ত্রসাীরা গুলি বর্ষণ করে।


সংঘর্ষের ব্যাপারে সোনারগাঁ থানার ওসি হাফিজুর ইসলাম জানান, দুই প্রার্থীর সমর্থকদের সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে ৮/১০ রাউন্ড গুলি ছুড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। অস্ত্রধারী পারভেজকে মুমুর্ষ অবস্থায় আটক করা হয়েছে।
এব্যাপারে নারায়ণগঞ্জ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (খ-অঞ্চল) শেখ বিল্লাল হোসেন জানান, দুই প্রার্থীর নেতাকর্মীদের সংঘর্ষের বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। জামপুরের পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।