মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১   ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

চাষাঢ়ায় অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে বছরে কোটি টাকার চাঁদা আদায়

যুগের চিন্তা অনলাইন

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৩:২৫ এএম, ২৮ নভেম্বর ২০২১ রোববার

নগরীর বঙ্গবন্ধু সড়কের চাষাঢ়া মোড়ে প্রতিনিয়তই লেগে থাকে যানজট। আর এই যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ হচ্ছে সড়কের পাশে অবৈধ  সিএনজি স্ট্যান্ড। নারায়ণগঞ্জ শহরের প্রাণকেন্দ্র চাষাঢ়ার মোড়ে গড়ে ওঠেছে বেশ কয়েকটি অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড।

চাষাঢ়া সোনালী ব্যাংকের সামনে, শহীদ মিনারের পাশে ও নবাব সলিমুল্লা রোডে সড়কের এক পাশ অবৈধ সিএনজি স্ট্যান্ড এর দখলে থাকে। আর এসব অবৈধ স্ট্যান্ডের কারনে সব সময় সড়কে যানজট লেগেই থাকে।

 

খোঁজ নিয়ে জানা যায়, এই সব অবৈধ স্ট্যান্ড বসানোর পেছনে রয়েছে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও যানজট নিরসন নামে কিছু লাইনম্যান কর্মী। তারা প্রতিদিনই এই সব অবৈধ স্ট্যান্ড থেকে মোটা অংকে চাঁদা তোলা হয়। চাষাঢ়া সোনালী ব্যাংকের সামনে থেকে মুন্সিগঞ্জে মুক্তার পর্যন্ত প্রায় ২০০ সিএনজি চলাচল করে। বছরে এই সড়কে সিএনজি চালকদের কাছ থেকে প্রায় অর্ধ-কোটি টাকা চাঁদা আদায় করে কিছু অসাধু পুলিশ কর্মকর্তা ও স্থানীয় কিছু ক্ষমতাশীল চাঁদাবাজরা।

 

এদিকে চাষাঢ়া সোনালী ব্যাংকের সামনে থাকা সিএনজি স্ট্যান্ডের চালকরা জানান, আমাদের গাড়িগুলো চাষাঢ়া থেকে মুক্তারপুর পর্যন্ত চলে। তার জন্য আমাদের প্রতিদিনই এই সড়কে ১০০ টাকার মত চাঁদা দিতে হয়। আমরা সোনালী ব্যাংকের সামনে গাড়ি রাখলে প্রতিদিন  ট্রাফিক পুলিশকে গাড়ি প্রতি ১০ টাকা দেই ও লাইনম্যানকে দেই ১০ টাকা আর মণ্ডলপাড়া পুলের সামনে দিতে হয় ৫০ টাকা।

মণ্ডলপাড়া পুলের সামনে কিছু লোক টেবিল নিয়ে বসে থাকে গাড়ি ওই রোড দিয়ে যাওয়ার সময় তারা আটকে ৫০ টাকা করে চাঁদা নেয়। আগে আমরা মন্ডলপাড়া পুলের সামনে গাড়ি রাখতাম এখন ওই খানে গাড়ি রাখি না তবুও আমাদের কাছ থেকে জুলুম করে চাঁদা আদায় করে।

তারা আরও জানান, এখানে কিছু হলুদ পোষাকের লাইন ম্যান আছে তাদের গাড়ি প্রতি ১০ টাকা করে দিতে হয়। এখানকার লেগুনা লাইন ম্যান শাহিন ,টুলু ও রহমানকে ১০ টাকা করে গাড়ি প্রতি দিতে হয়।

এ বিষয়ে ট্রাফিক বিভাগের টি.আই কামরুল ইসলাম জানান,  আমাদের কোন ট্রাফিক পুলিশ কোন গাড়ির কাছ থেকে কোন টাকা নেয় না। শহরে যে সব অবৈধ স্ট্যান্ডগুলো আছে আমরা নির্বাচনের পরে ব্যবস্থা নেব। বর্তমানেও আমরা এই সব অবৈধ স্ট্যান্ড ও অবৈধ গাড়ি বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছি।