বুধবার   ০১ মে ২০২৪   বৈশাখ ১৮ ১৪৩১   ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

বাংলাদেশের লজ্জার হার

ওয়ালিদ আলিফ

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৫:৫৩ পিএম, ৮ ডিসেম্বর ২০২১ বুধবার

পাকিস্তানের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে প্রায় তিনদিন বৃষ্টিতে ভিজে যাওয়ার পরেও ইনিংস ব্যবধানে হারের মুখ দেখতে হলো বাংলাদেশকে। ব্যাটিং ব্যর্থতার কারণে এক লজ্জার ইতিহাস করলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল।


টপ ওর্ডারের ব্যর্থতা যেনো লেগেই আছে। বিগত অনেক ম্যাচ ধরে তামিম বিকল্প কাওকেই পাচ্ছে না বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসের মতোন দ্বিতীয় ইনিংসেও প্রথম দিকের ব্যাটাররা দাড়াতেই পারেনি পাকিস্তানি বোলারদের সামনে। মাত্র ২৫ রানেই ৪ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। সেই প্রথম চার ব্যাটারদের মধ্যে কেওই ডাবল ডিজিট পার করতেই পারে নি।


খেলা ড্র করার আশা জাগায় মিডল অর্ডারের তিন ব্যাটার। লিটন, মুশফিক এবং সাকিবের ওপর মুখিয়ে থাকে সারা দেশ। চতুর্থ উইকেট পরে লিটন ও মুশফিক পার্টনারশিপ গড়ে। কিন্তু দলগত ৯৮ রান করে ফিরে যায় লিটন দাস। সাজিদ খানের বলে ৪৫ রান সংগ্রহ করে ফিরে যায় সে।


পরবর্তীতে ব্যাটিংয়ে নামে দেশসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসান। জুটি গড়ে মুশফিকের সাথে। কিন্তু পার্টনারশিপ যখন ৪৯ রানের তখনই আউট হয়ে ফিরে মুশফিক। ২ রানের জন্য নিজের অর্ধশতক মিস করেন তিনি। দ্রুত রান নিতে যেয়ে রান আউটের শিকার হন তিনি।


সাকিব মেহেদী কিছুদূর এগিয়ে নেয়ে যায় বাংলাদেশের ইনিংস। সাকিব তুলে নেয় তার অর্ধশতক। কিন্তু তার অপর ক্রিজে থাকা মেহেদী মিরাজ টিকতে পারেনি। বাবর আজমের ওভারে উইকেট হারিয়ে বসে মিরাজ। দলীয় ১৯৮ রানে ৭ উইকেটের পতন ঘটে।


পরে আর টিকে থাকতে পারেনি কেওই। ৬৫ রান সংগ্রহ করে ফিরে যায় সাকিব। আর ২০৫ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। ২ টেস্টের সিরিজে ২ টিতেই জয় তুলে নেয় পাকিস্তান। পাকিস্তানের হয়ে ৪ উইকেট তুলে নেয় দ্বিতীয় ইনিংসে ৮ উইকেট শিকার করা সাজিদ খান। ২ উইকেট করে নেয় শাহিন ও হাসান আলী ও এক উইকেট নেয় বাবর আজম।


এর আগে দ্বিতীয় ইনিংসের পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করে বাংলাদেশ তিন উইকেট হাতে নিয়ে। ৭৬ রান নিয়ে পঞ্চম দিনের খেলা শুরু করলেও মাত্র ১১ রান যোগ করেই বাকী ৩ উইকেটের পতন ঘটে। মাত্র ৮৭ রানেই অলআউট হয়ে যায় বাংলাদেশ। মাত্র ৩০০ রানের ট্রায়াল তাড়া করতে নেমেও ফলোঅনের মুখ দেখতে হয়। যেখানে দলগত ১০০ রান করলেও ফলোঅন এড়ানো যেতো, সেই ১০০ রান ও পাড় করতে পারেনি বাংলাদেশ। সাজিদ খানের ঘূর্ণিতে দিশেহারা হয়ে যায় বাংলার ব্যাটিং লাইনআপ। সাজিদ খান একাই তুলে নেয় আট উইকেট।