বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

না’গঞ্জ থেকে অপহৃত শিশু টঙ্গীতে উদ্ধার, গ্রেফতার ৩

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০২:১৬ পিএম, ২১ ডিসেম্বর ২০২১ মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জে অপহৃত ৮ বছরের মাদ্রাসা ছাত্র উদ্ধারসহ ৩ জনকে গ্রেফতার করেছে পিবিআই। গত বুধবার (১৫ ডিসেম্বর) টঙ্গী পূর্ব আরিচপুর সাকিন এলাকায় একটি বদ্ধ ঘর থেকে ভুক্তভোগী শিশু মো. রিফাত হোসেনকে উদ্ধার করা হয়।

 

জানা যায়, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর ১টায় সদর উপজেলা ফতুল্লার শান্তিধারা এলাকা থেকে আট বছরের মাদ্রাসা ছাত্র মো. রিফাত হোসেন নিখোঁজ হয়। একইদিন বিকেলে অজ্ঞাত ফোন নাম্বার থেকে অপহরণের শিকার শিশুর পিতা মাছ বিক্রেতা মো. শফিক ভূইয়াকে ফোন করে অপহারণকারী। নিখোঁজ শিশু রিফাতের মুক্তির জন্য আগামী বুধবার (২৩ ডিসেম্বর) এর মধ্যে আড়াই লাখ টাকা দাবি করে তারা।

 

এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা ওইদিনই ফতুল্লা মডেল থানায় একটি নিখোঁজ অভিযোগ করেন। যার জিডি নং- ৬৭৬। পরদিন ১৩ ডিসেম্বর তিনি পিবিআই বরাবর ভুক্তভোগী শিশুকে উদ্ধারের জন্য সহায়তা চেয়ে আবেদন করেন। পিবিআই নারায়ণগঞ্জ জেলা পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মনিরুল ইসলাম জানান, বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে তাৎক্ষনিক এ বিষয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করে পিবিআই।

 

উপ পরিদর্শক (এসআই) মো. তৌহিদুল ইসলামকে মো. তৌহিদুল ইসলাম টিপু সুলতান, মোশাররফ হোসেন এবং মো. হিরা ইসলাম তথ্য প্রযুক্তির সাহায্য ভুক্তভোগীর অবস্থান বের করেন। তারা টঙ্গী পূর্ব আরিচপুর সাকিন এলাকার একটি বদ্ধ ঘর হতে শিশু মো. রিফাত হোসেনকে উদ্ধার করে এবং ঘটনার সাথে জড়িত আরিয়ান হাবিব, মো শরীফ, মো. ইব্রাহীমকে গ্রেফতার করে। তবে মো. রাজীব হোসেন পালিয়ে যায়। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে ফতুল্লা থানায় নিয়মিত মামলা রুজু হয়েছে।

 

মামলাটি পিবিআই কর্তৃক উপ পরিদর্শক মো. তৌহিদুল ইসলামের নিকট তদন্তাধীন আছে বলে জানান হয়। তিনি আরো জানান, ঘটনার বিবরণে প্রকাশ পায় যে, গত ১২ ডিসেম্বর দুপুর ১টার সময় কথিত মামা মো. রাজীব হোসেন ও আরিয়ান হাবিব ফতুল্লা শান্তিধারায় অবস্থিত ভুক্তভোগী শিশুর তামিল কোরআন মাদ্রাসার সামনে এসে তাকে বলে, দতার বাবা-মা আমার বাসায় গেছে। আমি তোকে নিতে এসেছি। তোকে যেতে বলেছে।দ এসব বলে তারা শিশুটিকে সাইনবোর্ড থেকে একটি বাসে করে প্রথমে সায়েদাবাদ নিয়ে যায়। সেখানে তারা রিফাতকে কিছু খাবার দেয় এবং সীম পরিবর্তন করে আরিয়ান হাবিব ভুক্তভোগীর বাবার কাছে ফোন দিয়ে আড়াই লাখ টাকা দাবি করে। পরে তারা রিফাতকে নিয়ে টঙ্গী পূর্ব আরিচপুরে নিয়ে একটি বদ্ধ ঘরে আটকে রাখে।

 

তারা মো. ইব্রাহীম ও মো. শরীফকে শিশুর দেখাশোনার দায়িত্ব দেয়। আবদ্ধ অবস্থায় তারা রিফাতকে অনাহারে/অর্ধহারে ঘুমের ঔষধ খাইয়ে অচেতন/অর্ধচেতন করে রাখতো বলে জানিয়েছে তারা। উদ্ধার অভিযান পরিচালনাকালে ঘটনার সময় ব্যবহৃত মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। অপহরণকারী পলাতক মো. রাজীব হোসেনকে গ্রেফতারের চেষ্টা অব্যাহত আছে বলে জানান তিনি।