শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

এবার পদ হারালেন শামীমপন্থী নেতা হুমায়ুন কবির মৃধা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:০২ এএম, ৯ জানুয়ারি ২০২২ রোববার

# গতকাল কেন্দ্রীয় নেতারা তার বিষয়ে জানার পরপরই এই সিদ্ধান্ত।

বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত কর্মী সমাবেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করেছিলেন নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক হুমায়ূন কবীর মৃধা। ‘আমাকে বহিষ্কার করবেন, করেন?’ লিখে ফেসবুক স্ট্যাটাসে চ্যালেঞ্জও জানান তিনি। কিন্তু বহিষ্কার নয় মহানগর আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়া সম্পাদক পদ থেকে নিজেই পদত্যাগ করেছেন হুমায়ূন কবীর মৃধা। শনিবার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেন। আনোয়ার হোসেন বলেন, ব্যক্তিগত কারণ দেখিয়ে হুমায়ূন কবীর মৃধা দল থেকে অব্যাহতি চেয়ে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক বরাবর পদত্যাগপত্র জমা দিলে তা গ্রহণ করে তাকে অব্যাহতি দেয়া হয়। এর আগে শুক্রবার (৭ জানুয়ারি) বিকালে নারায়ণগঞ্জের বন্দরে কবিলার মোড়ে বন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের আয়োজিত কর্মী সমাবেশে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নেতাদের বক্তব্য নিয়ে বিরূপ মন্তব্য করে সমালোচনার জন্ম দেন সাংসদ শামীম ওসমান এবং মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এড. খোকন সাহার ঘনিষ্ঠ এই নেতা। নিজের ফেসবুকে হুমায়ূন কবীর মৃধা লিখেন, ‘শামীম ওসমানের সৈনিকেরা কৈ? ভয় পাইয়েন না? যারা এতোদিন শামীম ওসমানের মাধ্যমে পদ পদবি নিয়া শহরে চাউর করছেন। আপনারা মঞ্চে বসা অথচ নৌকা দিবে না বললো কাকে? বুঝে থাকলে আপনারা কি করলেন? আমিতো এই মিটিং বয়কট করেছি। এটা গঠনতন্ত্র পরিপন্থী মিটিং। এখানে উপজেলার মিটিং হতে পারে না। এটা করতে হলে যৌথ মিটিং করতে হবে বলেছি। নিজেই তো গতবার নৌকা না পেয়ে কান্না করেছেন? শামীম ওসমান বাংলাদেশে একজনই। আমাকে বহিষ্কার করবেন, করেন?’

 

এদিকে সূত্র জানিয়েছে, পদত্যাগ করার জন্য পদত্যাগপত্র জমা দিয়েছিলেন হুমায়ুন মৃধা। কিন্তু গত দুইদিন ধরে সেটি নিয়ে আর কোন কথা হয়নি। একপর্যায়ে পদত্যাগের সিদ্ধান্ত থেকে ফিরেও আসেন হুমায়ুন মৃধা। কিন্তু আজ হঠাৎ কেন্দ্রীয় নেতারা নারায়ণগঞ্জে আসলে আলাপকালে হঠাৎ হুমায়ুন মৃধার বিষয়টি উঠে আসে। তখন কেন্দ্রীয় নেতারা বলেন, তার পদত্যাগপত্রটা কার কাছে আছে। তখন ওই নেতার কাছ থেকে পদত্যাগপত্রটি নিয়ে এসে তা গ্রহণ করা হয়। আওয়ামী লীগের একটি সূত্র বলছে, হুমায়ুন মৃধা দলের চেয়ে ব্যক্তি পূজাকে কেন্দ্র করে ওই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। কিন্তু ফেরার সুযোগ আর পেলেননা। পদত্যাগ হোক আর বহিঃষ্কার তাকে আওয়ামী লীগ থেকে ছেঁটে ফেলা হয়েছে এটিই সিদ্ধান্ত।