শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০   ১৯ রমজান ১৪৪৫

আইভীর এবারের বিজয় গণজাগরণের

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৪:২৭ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

 

# অন্ধকারের বিপক্ষে আলোর জয় হয়েছে: এড. দিপু
# বিজয়টাকে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিজয় হিসেবে দেখছি : আবদুল হাই
# সন্ত্রাসী-অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিজয় : আনোয়ার হোসেন
# চুনকার পরিবার কারো সাথে বেঈমানি করেনি : আলী রেজা উজ্জ্বল


 

আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী ডা. সেলিনা হায়াৎ আইভী স্বতন্ত্র বিএনপি নেতা এড. তৈমূর আলম খন্দকারকে সত্তর হাজার ভোটে হারানোয় এখন আনন্দের বন্যা আওয়ামী লীগ নেতাদের মধ্যে। বাধভাঙা আনন্দ আর পরিশ্রম সার্থক হওয়ায় তারা বিজয়ের এই মাহেন্দ্রক্ষণকে উদযাপন করছেন নেতাকর্মীদের নিয়ে। আইভী এক অনুপ্রেরণা, আইভী মানেই যেন অপশক্তির বিরুদ্ধে এক প্রতিবাদের নাম। গেল একমাস টানা পরিশ্রম করে সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে দাবড়ে বেরিয়েছেন আওয়ামী লীগের ত্যাগী নেতারা। মানুষের কাছে তারা নৌকার বার্তা, আইভীর উন্নয়নের বার্তা পৌঁছে দিয়েছেন। এই বিজয় তো বিশেষ কিছুরই। বিজয় উদযাপনে ব্যস্ত সময় পার করছেন আওয়ামী লীগের নেতারা।

আইভীকে নিয়ে বিজয় ছিনিয়ে নিয়ে আসার পর এক প্রতিক্রিয়ায় বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় পরিষদের সদস্য এড. আনিসুর রহমান দিপু যুগের চিন্তাকে বলেন, ‘অত্যন্ত উৎসব মুখর পরিবেশে নারায়ণগঞ্জে সিটি করপোরেশন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমরা বিজয়ী হয়েছি। এবিজয়কে আমি বলতে চাই, অন্ধকারের বিপক্ষে আলোর জয় হয়েছে। অসত্যের বিপক্ষে সত্যের জয় হয়েছে। উন্নয়নের জয় হয়েছে। সততার জয় হয়েছে। জননেত্রী শেখ হাসিনার জয় হয়েছে।’

মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এবিজয় জনগণের বিজয়, এবিজয় স্বাধীনতার পক্ষের শক্তির বিজয়, এবিজয় সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে, অপশক্তির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বিজয়। এবিজয় আগামী দিনে জনগণের চিন্তাকে বাস্তবায়নের বিজয়।আমরা এবিজয় অর্জনে যারা অনেক পরিশ্রম করেছে তাদের ধন্যবাদ জানাই। সুষ্ঠু নির্বাচন অনষ্ঠিত করার জন্য দায়িত্বপ্রাপ্তদেরও ধন্যবাদ জানাই। তৃণমূল কর্মীদের মন থেকে তাদের পরিশ্রমের জন্য কৃতজ্ঞতা জানাই। আগামীদিনে ঐক্যবদ্ধ থেকে তৃণমূল নেতাকর্মীদের দলকে সুসংগঠিত করার আহবান জানাই।’

জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবদুল হাই তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘এবিজয়টা আমাদের প্রত্যাশিত ছিল। আমাদের টার্গেট ছিল লক্ষাধিক ভোটে জয়ী হওয়ার। ইভিএম এর কারণে অনেক বৃদ্ধ লোক ভোট দিতে পারেনি। যাই হোক সত্তর হাজার ভোটে আমরা জয়ী হয়েছি। এমন একটা নির্বাচনে কোথাও কোন গোলযোগ নেই। আমি এই বিজয়টাকে জননেত্রী শেখ হাসিনার বিজয় হিসেবে দেখছি।’

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আরজু রহমান ভূঁইয়া তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, এবিজয় হচ্ছে নারায়ণগঞ্জের মানুষের বিজয়।এটি সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বিজয়। চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে বিজয়। নারায়ণগঞ্জ মানুষ শান্তিময় শহর গড়তে চায়, জননেত্রী শেখ হাসিনার হাত শক্তিশালী করতে চায়। এটিই নারায়ণগঞ্জের মানুষের এই বিজয়ের বার্তা।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি  এড. আসাদুজ্জামান আসাদ তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, আমি মনে করি জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর কন্যা শেখ হাসিনার ধারা অব্যাহত রাখার জন্যই এজয় মুখ্য ভূমিকা পালন করবে। আইভীর মাধ্যমেই নারায়ণগঞ্জের মাটি ও মানুষের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত থাকবে।

জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি  আদিনাথ বসু তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, মানুষ যে সচেতন সচেতন হয়েছে, মানুষ যে উন্নয়নেই গুরুত্ব দিয়েছে এবার ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে সেই জবাবটিই তারা দিয়েছেন। এজন্য সকলের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ।

জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলম বলেন, সকলের পরিশ্রমে এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। এটিই আমাদের স্বার্থকতা।

মহানগর আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আহসান হাবীব বলেন, ‘এবিজয় শেখ হাসিনার বিজয়, বিজয় আইভীর বিজয় সর্বোপরি এবিজয় জনগণের। এই নির্বাচনকে ঘিরে বহুমুখী ষড়যন্ত্র হয়েছে। এই ষড়যন্ত্র মোকাবেলা করে আমাদের বিজয়ী হতে হবে এই চিন্তা করে আমরা নির্বাচনটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবে নিয়েছিলাম। জনতাকে নিয়ে এবিজয় অর্জিত হয়েছে। তাই অন্যান্য বিজয়ের তুলনায় এই বিজয়টিকে বিশেষভাবে উদযাপন করতে চাই।’


মহানগর আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জিএম আরাফাত বলেন,  তৃণমূল নেতাকর্মীরা অনেক পরিশ্রম করে জনগণকে সাথে নিয়ে এই বিজয় অর্জিত হয়েছে। সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা। এই বিজয় আসলে নারায়ণগঞ্জবাসীর বিজয় হয়েছে। মানুষ ভালো মানুষকে বেছে নিয়েছে। ভালো মানুষের পক্ষে মত দিয়েছে। সকল ভয়কে উপেক্ষা করে জনগণ সত্যের পথে রায় দিয়েছে।

মহানগর যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক আহাম্মদ আলী রেজা উজ্জল যুগের চিন্তাকে তার প্রতিক্রিয়ায় বলেন, চুনকার পরিবার কারো সাথে বেঈমানি করেনি। বাবার মতো আমরা তার সন্তানরাও নীতি-আদর্শ নিয়ে থাকতে চাই। এজন্যই জনগণ আমাদের ভালোবাসে। আমরা এক নীতির সাথে থাকি। মানুষের মনের মতো করেই আমরা চলার চেষ্টা করি। আমাদের দ্বারা কারো কখনো কোন ক্ষতি হয়নি, সামনেও হবেনা। মানুষকে এখন আর চুনকার সন্তানদের ব্যাপারে কোন কিছু বোঝানোর নেই। মানুষ ইতিমধ্যে বুঝে গেছে চুনকার সন্তানের কী রকম। আমরা সবসময় মানুষের কল্যাণে কাজ করে যাবো।