মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১   ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

নাসিকের ১২ ওয়ার্ডে নতুন জনপ্রতিনিধি হলেন যারা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:৩৭ পিএম, ১৮ জানুয়ারি ২০২২ মঙ্গলবার

নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন নির্বাচনে ২৭ টি ওয়ার্ডের মাঝে এবার ১২ টি ওয়াার্ডে রদবদল হয়েছে। একই সাথে নাসিকের ১২ ওয়ার্ডে পুরাতন যারা ছিল তাদের পরাস্ত করে নতুন প্রার্থীরা জয়ী হন। এর মাঝে অনেকে ২০১১ সনে যারা নির্বাচিত হয়েছিলেন তারাও এবারও নির্বাচিত হয়েছে। নাসিক নির্বাচনে দায়িত্বরত রিটার্নিং কর্মকর্তা মাহফুজা আক্তারের বেসরকারি ফলাফলে ঘোষনা হওয়ার পর জানাযায়, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে ভোটারদের ভোটের মাধ্যমে ১৫ টি ওয়ার্ডে পুরোন সাবেক কাউন্সিলররা আবারও নির্বাচিত হন এবং ১২ টি ওয়ার্ডে নতুন প্রার্থী জয়ী হয়ে জনপ্রতিনিধি হন। আর এতে করে সচেতন মহলের মতে বিভিন্ন কারনে পুরোনদের প্রতিই ভোটারদের আস্থা ছিল। তাই এবারও ১৫ ওয়ার্ডে নতুন প্রার্থী নির্বাচিত না হয়ে আগের ব্যক্তিরা নির্বাচিত হন।


নতুন জয়ী প্রার্থীরা হলেন,
সিদ্ধিরগঞ্জ
নারায়ণগঞ্জ সিদ্ধিরগঞ্জ এলাকার ১ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ওমর ফারুককে হারিয়ে আনোয়ার ইসলাম নির্বাচিত হন। নাসিকের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর আরিফুল হক হাসানকে পরাস্ত করে নুর উদ্দিন নতুন জনপ্রতিনিধি নির্বাচিত হন এবং ৭ নম্বর ওয়ার্ডে নতুন একাধিক প্রার্থীকে হারিয়ে রিপন জয়ী হন।


নগরীর শহরের ১১ নম্বর ওয়ার্ডে পুরাতন প্রার্থী না থাকায় একাধিক হেভিওয়েট প্রার্থীকে হারিয়ে অহিদুল ইসলাম ছক্কু নির্বাচিত হন। নাসিকের ১৪ নম্বর ওয়ার্ডে ২০১১ সনে নাসিক নির্বাচনে মনিরুজ্জামান মনির নির্বাচিত হন। একই ভাবে এবারও ২০২২ সনের নাসিক নির্বাচনে সাবেক কাউন্সিলর সফিউদ্দিনকে হারিয়ে জয়ী হন। ১৬ নম্বর ওয়ার্ডে পুরাতন কাউন্সিলর নাজমুল আলম সজল না থাকায় তার সমর্থিত কবির হোসেনকে হারিয়ে রিয়াদ হাসান নির্বাচিত হন। অন্য দিকে ১৮ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর কবির হোসেনকে হারিয়ে কামরুল হাসান মুন্না নির্বাচিত হন। এর আগে ২০১১ সনের নাসিক নির্বাচনে কামরুল হাসান মুন্না নির্বাচিত হন।  


বন্দর
নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশন এলাকায় এবার সবচেয়ে বেশি বন্দরে পরিবর্তন হয়। বন্দরের ১৯ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর ফয়সাল মো. সাগরকে পরাস্ত করে মোখলেছুর রহমান চৌধুরী নির্বাচিত হন। নাসিক ২০ নম্বর ওয়ার্ডে সাবেক কাউন্সিলর গোলাম নবী মুরাদকে হারিয়ে শাহেনশাহ ওই ওয়ার্ডে জয়ী হন। ২১ নম্বর ওয়ার্ডের হান্নান সরকারকে পরাস্ত করে শাহীন মিয়া নির্বাচিত হন। ২৩ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক ২ বারের কাউন্সিলর সাইফুদ্দিন প্রধান দুলালকে হারিয়ে সাবেক এমপি আবুল কালামের পুত্র আবুল কাউসার আশা জয়ী হন। এবং ২৭ নম্বর ওয়ার্ডে একাধিক নতুন প্রার্থীকে হারিয়ে সিরাজুল ইসলাম সিরাজ জয়ী হন। আর এই তিন এলাকা থেকে নাসিকের ১২ টি ওয়ার্ডে নতুন পুরাতন প্রার্থীদের হারিয়ে নতুন প্রার্থীরা জয়ী হন। আর এতে করে মানুষ নতুনদের থেকে নতুন কিছু উন্নয়ন মূলক কাজ এবং এলাকা গুলোতে নতুন ভাবে সাজাতে চান নতুন জনপ্রতিনিধিরা।