শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রতিশ্রুতি রাখলেন শামীম ওসমান

স্টাফ রিপোর্টার

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৫:৪৫ পিএম, ৯ ফেব্রুয়ারি ২০২২ বুধবার

 

নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার ফতুল্লা পশ্চিম মাসদাইর এলাকার শিল্পাঞ্চল বিসিকের একমাত্র সড়কটি সব সময়ই হাঁটু পানির নিচে তলিয়ে থাকত। এই সড়কটি নিয়ে বিভিন্ন সময় গণমাধ্যমে বেশ কয়েকটি সংবাদও প্রকাশ করা হয়েছে। কিন্তু সংবাদ প্রকাশ করার পরেও কোন পদক্ষেপ নেইনি সে এলাকার স্থায়ী জনপ্রতিনিধিরা।

 

গত বছর ২০২১ সালের এপ্রিল মাসে নারায়ণগঞ্জ থেকে প্রকাশিত প্রচার সংখ্যায় সর্বশীর্ষ দৈনিক যুগের চিন্তা প্রত্রিকায় একটি সংবাদ প্রকাশিত হয় “বিসিকে জলাবদ্ধতা, উদাসীন জনপ্রতিনিধিরা”। এ সংবাদটিতে উল্লেখ ছিল- বৃষ্টি নেই তবুও সড়কটি সারা বছর হাঁটু পানির নিচে তলিয়ে থাকে ফতুল্লা পশ্চিম মাসদাইর এলাকার শিল্পাঞ্চল বিসিকের একমাত্র সড়কটি। ফতুল্লা বিসিক শিল্পনগরী থেকে সরকার কোটি কোটি টাকা রাজস্ব  পেলেও এই এলাকার উন্নয়নে মনোযোগ কম বলে অভিযোগ এলাকার স্থায়ীবাসিন্দা ও শ্রমিকদের।

 


স্থানীয়রা জানান, এই রাস্তাটি সারা বছরই পানিতে জমে থাকে। পানির নিচে আবার বড় বড় গর্ত হয়ে আছে। একেকটি গর্ত যেন একেকটি মরণ ফাঁদ। অনেকেই সড়কটিতে চলাচল করতে গিয়ে গর্তে পরে আহত হয়েছেন। প্রায় সময়ই এখানে বিভিন্ন গাড়ি গর্তে পড়ে উল্টে যায়। এই সড়কটির কারণে নানা দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছিল যাতায়াতকারীরা।

 


তখন শ্রমিকরা জানান, ভাঙ্গা রাস্তায় চলতে গিয়ে নাকাল হতে হয় শিল্পনগরীতে কর্মরত হাজার হাজার শ্রমিককে। কাঁদা জলে একাকার হয়ে চলাচল করতে হয় আমাদের। বিশেষ করে নারী শ্রমিকদের দুর্ভোগ সবচেয়ে বেশি। জামা-কাপড়  ভিজিয়ে প্রতিদিনই কর্মস্থলে যেতে হয় আমাদের।এখানকার অনেক রাস্তার উন্নয়ন হলেও এই রাস্তাটির কোন উন্নয়ন বা পরিবর্তন নেই। এই রাস্তাাটি নিয়ে বিগত সময় অনেক সংবাদ প্রকাশিত হলেও জনপ্রতিনিধিদের টনক নড়ছে না। এখনও পর্যন্ত সড়কটি মেরামত করা হচ্ছে না। এতে আমরা হতাশ হচ্ছি। স্থানীয় সাংসদসহ জনপ্রতিনিধি কি এই রাস্তাাটি দেখেন না। মুখে মুখে তারা উন্নয়নের বুলি ফোটালেও এই নাজুক রাস্তাটি তাদের কারো চোখে পড়ছে না। রাস্তাটি সংস্কারে কোন উদ্যোগ নিচ্ছেন না।

 


দৈনিক যুগের চিন্তা প্রত্রিকায় এমন সংবাদ প্রকাশের কিছু দিন পরে নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার একটি মিটিং শেষে দৈনিক যুগের চিন্তার ফটো সাংবাদিক মেহেদী হাসান নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের  সংসদ সদস্য একে.এম শামীম ওসমানকে সড়কটির বেহাল দশা একটি ছবি দেখান, সেই সময় শামীম ওসমান দৈনিক যুগের চিন্তার সাংবাদিককে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন দুই দিনের মধ্যে সড়কের সমস্যা সমাধান হবে। সে সময় সংসদ শামীম ওসমান এনায়েত নগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানকে সড়কের হাঁটু পানির সমস্যা সমাধান করার আদেশ দেন।

 

এসময় শামীম ওসমান চেয়ারম্যান আসাদুজ্জামানকে বলেন দুই দিনের মধ্যে এ রাস্তার সমস্যা সমাধান করবেন। পরবর্তীতে দেখা যায়, যে সড়কটিতে হাঁটু পানি ছিল তা সংসদ শামীম ওসমানের দেওয়ার প্রতিশ্রুতি পর সড়কটির উন্নয়ন মূলক কাজ হয়েছে। এখন আর সড়কটিতে হাঁটু পানি জমে না, শ্রমিকদেরও পানি মারিয়ে কর্মস্থলে আসা-যাওয়া করতে হয় না।স্বাভাবিকভাবেই চলাচল করে পারছেন শ্রমিকরা।