মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১   ২১ শাওয়াল ১৪৪৫

প্রধান শিক্ষকের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ শিক্ষার্থীদের

সিদ্ধিরগঞ্জ প্রতিনিধি

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:১১ পিএম, ১৪ জুন ২০২২ মঙ্গলবার

সিদ্ধিরগঞ্জে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেসা মডেল স্কুল এন্ড কলেজের ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থীদের সঙ্গে প্রতারণার প্রতিবাদে প্রধান শিক্ষক মো: খলিলুর রহমানের বিচার দাবীতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। 

 

সোমবার (১৩ জুন) দুপুরে সিদ্ধিরগঞ্জের নাসিক ১ নম্বর ওয়ার্ডের মিজমিজি তেরা মার্কেট এলাকায় এ বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে ভুক্তভোগী ৯জন শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এসময় তারা প্রতারক প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের অপকর্মের বিচার চেয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের ব্যবস্থা করার জন্য জেলা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

পরে তারা নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে গিয়ে দ্বিতীয় দফায় বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করে জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষণ করার চেষ্টা চালায়। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী মেহেরুন তার বক্তব্যে বলেন, অত্র স্কুলে আমরা বিগত ১০ বছর যাবৎ লেখাপড়া করছি। আমরা ২০১৯ সালের অষ্টম শ্রেনীর ফাইনাল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে ২০২০ সালের জানুয়ারীতে নবম শ্রেনীতে ভর্তি হই। 

 

তিনমাস ক্লাস করার পর দেশে করোনা মহামারী শুরু হলে স্কুলের কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পাঁচ মাস বন্ধ থাকার পর আমরা স্কুলে গিয়ে প্রধান শিক্ষক খলিলুর রহমানের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি আমাদেরকে প্রাইভেট পরতে বলে। তারপর থেকে ৮০০ টাকা বেতনে আমরা ওই স্কুলের তত্ত্বাবধানে প্রাইভেট পরতে থাকি।

 

 আমাদের ব্যাচে ২০ জন ছাত্র-ছাত্রী ছিল কিন্তু করোনার কারণে অনেকে চলে যায়। শেষ পর্যন্ত আমরা ১১জন ছাত্র-ছাত্রী থেকে যাই। দুই জন ছাত্র এবং আমরা ৯ জন ছাত্রী। এছাড়া সময় মত আমাদের কাছ থেকে এসএসসি পরীক্ষার রেজিষ্ট্রেশন ফিও নেয়া হয়। ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষায় অংশগ্রহনের লক্ষ্যে আমাদের মডেল টেষ্ট পরীক্ষা বাবদ ফি এবং পরীক্ষাও নেয়। 

 

পরীক্ষা দেয়ার জন্য আমরা প্রস্তুতি নিতে থাকি কিন্তু পরবর্তীতে আমরা জানতে পারি যে, আমাদের রেজিষ্ট্রেশন এক বছর পিছিয়ে দেয়া হয়েছে। এই বিষয়টি জানতে পেরে আমরা মর্মাহত। এ বিষয়ে আমাদের বিন্দুমাত্র ত্রুটি নেই। বিষয়টি স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর আনোয়ার ইসলামকে বিষয়টি অবগত করলেও আমরা কোন সুরাহা পাইনি। আমরা অর্থলোভী প্রতারক খলিলুর রহমানের প্রতারনার শিকার। আমরা জেলা প্রশাসনের দৃষ্টি আকর্ষন করছি।

 


ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীর অভিভাবক জাকিয়া বেগম জানায়, আমরা বিশ্বাস করে আমাদের সন্তানকে এই স্কুলে লেখা পড়া করার জন্য দিয়েছি। আমরা প্রতারিত হয়েছি। আমরা এর বিচার চাই। আমাদের সন্তানদের এ বছরের পরীক্ষায় অংশগ্রহনের ব্যবস্থা করার জন্য সরকারের কাছে দাবী জানাই। 

 

এসময় উপস্থিত ছিলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী নাজমিন, সুখী, জান্নাত, মেহেরুন, মীম, কবিতা, তন্নি, আফসানা, সোনালীসহ অভিভাবক বৃন্দ। এসএম/জেসি