বৃহস্পতিবার   ১৮ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৫ ১৪৩১   ১০ শাওয়াল ১৪৪৫

আড়াইহাজারে কচ্ছপ গতির সড়ক মেরামত কাজে জনদুর্ভোগ  

এম এ হাকিম ভূঁইয়া

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১০:৪০ পিএম, ২০ জুন ২০২২ সোমবার


নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজার উপজেলার জাঙ্গালিয়া-আড়াইহাজার সদর পর্যন্ত ১১ কিলোমিটার সড়কটি খানাখন্দে ভরপুর। এতে যানবাহন চলাচল করতে মারাত্মক ব্যাঘাত সৃষ্টি হচ্ছে। দিনেরবেলায় যানবাহন কোনো রকম চলাচল করতে পারলেও, রাতের অন্ধকারে চলাচল করতে গিয়ে ঘটছে দুর্ঘটনা। এছাড়াও রাতে যানবাহনের ধীরগতির কারণে প্রায় সময় ডাকাতের কবলে পড়ছেন যাত্রী ও চালকরা। সর্বস্ব হারাচ্ছেন অনেকে। উপজেলার পূর্বঅঞ্চলের বিভিন্ন ইউনিয়ন থেকে প্রতিদিন উপজেলা সদরে প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ এ সড়ক দিয়ে উপজেলা সদরসহ বিভিন্ন এলাকায় যাতায়ত করছেন।

 

বর্ষা মৌসুমে সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তের সৃষ্টি হওয়ায় দুর্ভোগ যেন চরম আকার ধারণ করেছে। এর মধ্যে বৃষ্টির পানি জমে যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে পড়েছে পুরো সড়ক। তবে প্রায় ১৫ কোটি টাকা ব্যয়ে সড়কের সংস্কার কাজ দ্রুত সময়ের মধ্যে শুরু হয়েছে। কিন্তু সংস্কার কাজ চলছে অনেকটা কচ্ছপ গতিতে। কাজে গতি না থাকায় আগের চেয়ে দুর্ভোগ আরও বেড়েছে। কাজটি বাস্তবায়ন করছেন ‘ইউএন’ নামে একটি ঠিকানাদারী প্রতিষ্ঠান। এদিকে স্থানীয়রা জানান, র্দীঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় বিপুল সংখ্যক মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে।

 

উপজেলার পূর্বঅঞ্চলের কয়েকটি ইউনিয়নের প্রায় ১৫ থেকে ২০ হাজার মানুষ প্রতিদিন উপজেলা সদরে এ সড়ক দিয়ে যাতায়ত করছেন। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় অসংখ্য গর্তে বৃষ্টির পানি জমে যেন মরণ ফাঁদে পরিণত হয়ে পড়েছে। গর্তে গাড়ী উল্টে পড়ে যাচ্ছেন। গর্তের কারণে যানচলাচলে ধীরগতির কারণে রাতে ডাকাতের কবলে পড়ছেন যাত্রী ও চালকরা। এতে অনেকে সর্বশান্ত হচ্ছেন। উপজেলার জাঙ্গালিয়া এলাকার ব্যবসায়ী আলী আহমেদ বলেন, মালামালের জন্য প্রতিদিন উপজেলা সদরে আসতে হচ্ছে। সড়কের বিভিন্ন স্থানে ছোট-বড় গর্ত রয়েছে। গর্তে পড়ে গাড়ীর জাকুনিতে অসুস্থ হয়ে পড়েছি। খানাখন্দের কারণে মালবাহি পরিবহন আসতে চায় না। যারা আসেন ভাড়া গুনতে হচ্ছে দ্বিগুণ। দ্রুত সময়ের মধ্যে সড়ক সংস্কারের দাবি জানাচ্ছি।’

 

ভ্যান চালক আলমগীর মিয়া বলেন, ‘সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। এতে গাড়ী চালাতে অনেক সমস্যা হচ্ছে। আয়ের চেয়ে বেশি ব্যয় হয়ে যাচ্ছে। যন্ত্রাংশ নষ্ট হচ্ছে। এতে প্রতিদিন গাড়ী মেরামতের কাজ করতে হচ্ছে।’ সিএনজি চালক কবির হোসেন জানান, সড়কজুড়ে গর্ত থাকায় রিকশা চালাতে অনেক কষ্ট হয়ে পড়েছে। এতে আগের তুলনায় আয় করে গেছে। এতে তার সংসার চালাতে বেগ পেতে হচ্ছে। দ্রত সড়ক মেরামতে তিনি জানিয়েছেন। ‘ইউএন’ নামে একটি ঠিকানাদারী প্রতিষ্ঠানের সহকারি প্রকৌশলী সারোয়ার হোসেন বলেন, দুই বছর সময়ের মধ্যে কাজটি সম্পূর্ণ করা কথা রয়েছে। তবে সড়কের কিছু ঝুঁকিপূর্ণ স্থানগুলো দ্রুত মেরামতের চেষ্টা করা হচ্ছে। এতে জনদুর্ভোগ লাঘব হবে। তবে কয়েকদিন আমাদের  একই সড়কের অন্য সাইডে কাজ করার কারণে গুরুত্বপূর্ণ স্থানগুলোতে কাজের কিছুটা ধীরগতি হয়েছে। আমরা আবারও কাজ পুরোদমে শুরু করেছি। জনদুর্ভোগ লাঘবে দ্রুত সময়ের মধ্যে সম্পন্ন হবে আশা করছি।এমই/জেসি