সৈয়দপুরে মেম্বার রুবেল ও রানা বাহিনীর সংঘর্ষে
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৮:২৬ পিএম, ২২ জুন ২০২২ বুধবার
নারায়ণগঞ্জ সদর থানা পুরান সৈয়দপুর এলাকায় বিচ্ছু বাহিনীর দুই গ্রুপের মধ্যে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের ১ নং প্যানেল চেয়ারম্যান, মেম্বার রুবেল ও রানা বাহিনী ব্যাপক সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সোমবার (২০জুন) রাত ১০টার দিকে প্রথমে চর সৈয়দপুর এলাকায় সংঘর্ষ হলে আবার মেম্বার রুবেল ও রানার বাড়ি পুরাতন সৈয়দপুর এলাকায় মারামারি ঘটনা ঘটে ও দুইটি মটর সাইকেল আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেওয়া হয়।
স্থানীয়রা জানান, তারা সবাই চেয়ারম্যান ফজর আলীর বিচ্ছু বাহিনীর সদস্য তারা কয়দিন পরে পরে এলাকার মধ্যে মারামারি করে আর সাধারন মানুষ আতঙ্কে থাকে। কারণ তাদের ভয়ে এলাকার সাধারণ মানুষ মুখ খুলতে ভয় পায়। কিছু দিন আগের রানা বাহিনীর সাথে সাবেক চেয়ারম্যান নূর হোসেন সওদাগর এর সাথে মারামারি ঘটনা ঘটে। তাদের এতো সাহস আসে কোথা থেকে? এ বিষয়ে মেম্বার রুবেল জানান, আমার কাজ থেকে ডগ ইয়ার ভাড়া নেয় তার পরে ডগ ইয়ারের মালামাল রানা ও তার বাহিনী মিলে চুরি বিক্রি করতে গেছে আমি আমার লোকেরা বাধা দিলে পিস্তল ও দেশীয় অস্ত্র নিয়ে রানা, কাশেম আরো ১৫/১৬ জন মিলে দিয়ে আঘাত করে তাদের মেরে ফেলার জন্য।
দুই জন্য আজগর আলী হসপিটালে এখন আইসিউিতে আছে রবীন-হাব্বি তাদের জীবন এখন সংকটাপন্ন। অপর দিকে রানা বলেন, রুবেল বাহিনীর লোকেরা আমার বাড়িতে ভাংচুর চালায় সে সময় আমাদের দুই ভাইয়ের দুইটা হোন্ডা ফার্ম গেটের বাহিরে এনে আগুন দিয়ে পুরিয়ে দেন ও আমার বাড়ির ৩ এসি ভাংচুর করে। আর আমার ভাইয়ের দোকানে ক্যাশে থাকা (তিন লাখ পঞ্চাশ হাজার) টাকা নগত নিয়ে যায়। কিন্তু তাদের কেউ আহত হয়েছে কিনা সেটা আমি জানি না। আমি সদর থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেছি।
এ বিষয়ে গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ফজর আলী বলেন, আমি যখন খবর পাই তখন প্লুশিকে ফোন দিয়ে যেতে বলি আর আমি পুলিশ এর সাথে যাই গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনি। আমি পুলিশকে বলে দিয়েছি যারা অপরাধী তারা যেনো সঠিক বিচার পায়। আমি এখন হসপিটালের গিয়ে আসলাম ওখানে একজন খুব খারাপ অবস্থা আছে। এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানায় অফিসার ইনচার্জ আনিসুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় দুইটা মামলা হয়েছে। এখনো কোন আসামী গ্রেফতার করা হয়নি আমাদের অভিযান চলোমান আছে। পুলিশ এখনো ঐ এলাকাতে ঘুরছে তাদের খোজে।এমই/জেসি