আমেনার মিথ্যা মামলা থেকে জামিন গোগনগরের ৩ ব্যক্তি
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৯:৫৪ পিএম, ১৬ আগস্ট ২০২২ মঙ্গলবার
নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গোগনগর ইউনিয়নের সৈয়দপুর এলাকার আমেনা হাসনা বেগমের করা ৯৬১/ ২২ সিআর মামলায় ওয়ারেন্ট ভুক্ত আদালত থেকে ৩ বিবাদি জামিন পান। জামিন কৃত ব্যক্তিরা হলেন, এই মামলার বিবাদি মনির হোসেন, আবু কাসেম এবং জাহাঙ্গির আলম। রোববার দুপরে চীফ জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আমলী ক’ অঞ্চল আদালত থেকে তারা জামিন পান।
আদালত পুলিশ পরিদর্শক আসাদুজ্জামান এ তথ্য নিশ্চিত করেন। জামিন প্রাপ্ত আবু কাসেম হলেন গোগনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান নওশেদ আলীর ছেলে। জাহাঙ্গীর হলেন গোগনগর ইউনিয়নের প্যানেল চেয়ারম্যান। তাদেরকে গোগনগরের মানুষ ভালো হিসেবে জানেন। সেই সাথে তারা সমাজের উন্নয়ন মূলক কাজ করে যাচ্ছে।
বিবাদি জাহাঙ্গীর জানান, আমেনা বেগম এবং তার ছেলে টিটু মিলে আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি করছে। তারা যে মামলা করেছে সেই মামলার কপিতে তারা মিথ্যা ধারা যুক্ত করে আমাদের বিরুদ্ধে ওয়ারেন্ট বের করেছে। আমরা আদালত থেকে মামলা এজাহার কপি তুলে জানতে পারি আমেনা হাসনা ৩২৩, ৩২৪, ৩২৬,৩৫৪,৩৭৯,৪০৬ ধারায় মামলা করেন।
কিন্তু আমাদের কাছে যে ওয়ারেন্ট কপি আসে তাতে লেখা আছে ৩২৩,৩২৫,৩৫৪, ৪০৬ ধারা লেখা আছে। আমরা আদালতে গিয়ে গ্রেফতারী ওয়ারেন্ট পত্র দেখাই। তখন বিচারক বুঝতে পারেন আমেনা এবং তার ছেলে টিটু আমাদেরকে যে মিথ্যা মামলা করে ফাসাতে চান।
আবু কাসেম জানান, আমেনা এবং টিটু গংরা মিথ্যা মামলা করে মানুষকে বিভিন্ন ভাবে হয়রানী করেন। তাদের মিথ্যা মামলায় এলাকার মানুষ অতিষ্ঠ। তাদের নামে স্থানীয় মানুষের অভিযোগের শেষ নেই। এলাকার বিভিন্ন অপকর্মে আমেনার ছেলে টিটু জরিত থাকে। আর সেই অপকর্ম মানুষের উপর চাপিয়ে দিয়ে মিথ্যা মামলা করে ফায়দা লুটে।
তাছাড়া র্যাব এর মহাপরিচালকের নাম ব্যবহার করে বিভিন্ন মানুষকে ভয় দেখান আমেনার ছেলে টিটু । তারই ধারাবাহিকতায় তারা আমাদের নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানি পায়তারা করে আসছে। তাদের করা মামলার আরজি কপিতেও তারা ছলছাতুরির ফায়দা নিয়ে মিথ্যা ধারা যুক্ত করে। আরজিন কপিতে লিখে একরকম ধারা আর ওয়ারেন্ট কপিতে আরেক রকম ধারা। আমরা চাই তদন্ত সাপেক্ষে আদালত যেন তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহন করে। কেননা তাদের মিথ্যা মামলার কারনে প্রশাসন পর্যন্ত হয়রানি হয়।এসএম/জেসি