শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

বাড়তি টাকা নিলেও নিয়মিত সেবা পাচ্ছেন না গ্রাহকরা  

তানজিলা তিন্নি

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৩:২২ পিএম, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২২ সোমবার

# বর্জ্য ব্যবস্থাপনায় আরো গতিশীল পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি

 

 


নারায়ণগঞ্জ শহরকে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখার জন্য নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি প্রাপ্ত কিছু সমাজসেবী সংস্থা বা সমিতির কাজ করে থাকে। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা শ্যামল চন্দ্র পাল জানা নারায়ণগঞ্জের প্রায় ২৭ টি ওয়ার্ডে প্রায় ২৩ টি সংস্থা বা সমিতি কাজ করে থাকে।

 

 

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন ২০০৮ সালে এসব সংস্থা বা সমিতি গুলোকে বাসাবাড়ির বর্জ্য অপসারনের জন্য সবোচ্চ্য ২৫-৩০ টাকা করে ধার্য্য করে দেয়। তবে বর্তমানে সে নিয়ম উপেক্ষা করেই নগর বাসীর থেকে প্রায় ৫০ থেকে ২০০ টাকা র্পযন্তও আদায়  করে থাকে।

 

এর মধ্যে যারা একটু নিন্মবিত্ত এবং টিনসেট বাসায় থাকেন তাদের থেকে সর্বোচ্চ ৭০ টাকা করে আদায় করে থাকেন এবং যারা উচ্চবিত্ত বা ফ্যাট বাসায় থাকে ১০০-২০০ টাকা করে নিয় থাকে। তবে এইসব সংস্থা বা সমিতি গুলো নগর বাসির থেকে অতিরিক্ত টাকা আদায় করে থাকে বলে অভিযোগ নগর বাসীর।

 

 

 

বর্তমানে  সিটি কর্পোরেশন কোনো ধরাবাধা টাকার হিসাব করে না দিলেও এই সংগঠন বা সমিতিগুলো  নিজেরা ধরা বাধা একটা টাকা নগর কে পরিষ্কার রাখার জন্য নিয়ে থাকেন। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন এসব সংস্থা বা সমিতিকে টাকার কোনো পরিমান ধার্য্য করে না দেওয়ায় এসব সমিতি গুলো সাধারন মানুষের থেকে পরিমানের চেয়ে প্রায় বেশি টাকা আদায় করছে বলে জানান সাধারন মানুষ।

 


এসব সংস্থা বা সমিতির সাথে কথা বলে জানা জায় তারা নগর বাসীর থেকে বাড়তি কোনো টাকা নেয় না। ১৮ নং ওয়াডে শীতলক্ষ্যা কাস্টার কমিটির জয়নাল আবেদিন জানান, আমরা এটা সমাজসেবা করে থাকি এর জন্য আমরা সাধারন মানুষের কাছ থেকে কোনো টাকা নেই না।

 

 

 

 

পরিচ্ছন্ন কর্মীরা যারা কাজ করেন তাদের কেউ খুশি হয়ে যদি কোনো টাকা দেয় তাহলেই আমরা নেই জোড়পূর্বক আমরা করো কাছ থেকেই টাকা নেই না। আর এটাই তাদের বেতন হিসেবে তারা নিয়ে যায়। আমরা এসব পরিচ্ছন্ন কমীদের বাড়তি কোনো টাকা দেই না ।

 

 

অথচ ১৮ নং একজনস বাসিন্দা স্বপ্না রানী মন্ডল এর সাথে কথা বলে জানা যায়, এখানে যারাই ময়লা নিতে আসে তাদের মাসের শেষে ১০০ টাকা করে দিতে হয়।তার কম দিলে তারা ময়লা নিতে আর আসেই না। তিনি আরো জানান শুধু আমার সাথে না এখানের সবার সাথেই তারা এমন করে থাকেন।

 

 

 

 

অপরদিকে ১৩ নং ওয়াডে অংকুর হেলথ এন্ড এডুকেশন ডেভেলপমেন্ট সোসাইটির সাথে কথা বলেল তিনি বলেন, আমরা বাসা বাড়ি থেকে ময়লা নেওয়ার জন্য সাধারনত ১০০ টাকা করে নিয়ে থাকি তবে যে বাসায় ৬ তলা বা ৭তলা কর্মীরা ময়লা নিতে যায় তাদের শারীরিক কষ্টের জন্য  আমরা তাদের থেকে একটু বাড়তি টাকা নিয়ে থাকি।

 

 

যেহেতু আমরা  এই টাকা দিয়েই পরিচ্ছন্ন কমীদের বেতন দিয়ে থাকি। আমরা একজন কর্মী কে ১৫ থেকে ২০ হাজার টাকাও দিয়ে থাকি। ১৩ এবং ১৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে তারা জানান , ময়লা নিতে ১ দিন আসলে ২ দিন আসেই না কিন্তু মাস শেষে তাদের সম্পূর্ন টাকা দিতে হয় টাকা না দিলে আর ময়লা নিতে আসে না।আর পচা ময়লা ১ দিনের বেশি রাখলে র্দূগন্ধ ছড়ায়।

 

 

 

 

 আর আমাদের পক্ষে সম্ভব হয় না যে ময়লা অস্থাই কোনো জায়গায় ফেলে দেই। তাই আমরা বাধ্য হয়েই এসব পরিচ্ছন্ন কমীদের মাস শেষে টাকা টা দিয়ে থাকি। ১৭ নং ওয়ার্ডে নয়াপাড়া-পাইকপাড়া সিডিসি থেকে রুনার সাথে কথা বলেল তিনি জানান আমরা যে কোনো বাসা বাড়ি থেকে ৫০-৭০ টাকা করে নিয়ে থাকি এবং সব টাকা আমরা পরিচ্ছন্ন কমীদের বেতন হিসেবে দিয়ে দেই।

 

 


অপর দিকে ১৭নং ওয়ার্ডের বাসিন্দাদের সাথে কথা বলে জানা জায় তারা মাসে পরিচ্ছন্ন কর্মী দের ১০০ টাকা করে দিয়ে থাকে। তাও তারা প্রতিদিন ময়লা নিতে আসে না। প্রায় ২ থেকে ৩ দিন বাসার ময়লা জমে যায় পরবর্তীতে আমরা ময়রা নিয়ে ফেলে দেই। না হলে ময়লা দিয়ে দুর্গন্ধ হয় ।   এন.এইচ/জেসি