চাঁদাবাজ সোহেলের কাছে প্রশাসনের হার
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৪:১৮ পিএম, ১ অক্টোবর ২০২২ শনিবার
# সোহেলের চাঁদাবাজির ভাগ নেন আওয়ামী লীগ নেতারাও : মেয়র আইভী
# ম্যাজিস্ট্রেট পাঠালে আমি উচ্ছেদ করে দিবো : ওসি সদর
নারায়ণগঞ্জ শহরে সিরাজউদ্দৌলা সড়ক দখল করে রেখেছে বিশাল এক চাঁদাবাজ চক্র। পুরো সড়কটি দখল করে সাধারন মানুষের চলাচল এর উপায় নেই বললেই চলে তার পিছনের রয়েছে চাঁদাবাজ সোহেল ও তার বাহিনী প্রতিদিন এখানে থেকে হাতিয়ে নিচ্ছে লাখ টাকা।
কালি বাজার,ফ্রেন্ডস মার্কেট, ডাকবাংলো, র্যাব অফিসের কার্যালয, শিল্পকলা একাডেমী, পুরান কোর্ট সংলগ্ন অগ্রণী ব্যাংকসহ নানা গুরত্বপূর্ণ ভবন এখানে অবস্থিত রাস্তা উপরে যেসকল দোকানপাটের জন্য সাধারণ মানুষ চরম ভোগান্তির শিকার হচ্ছে। নারায়নগঞ্জ সদর মডেল থানা পুলিশ শহরের বঙ্গবন্ধু সড়কের ফুটপাতে প্রতিদিন উচ্ছেদ করে কিন্তু সিরাজউদ্দৌলা সড়কে উচ্ছেদ হয় না রহস্যজনক কারণে।
যার পিছনে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগ এর কিছু নেতার হাত রয়েছে বলে জানিয়েছে সূত্র। তারা এখান থেকে উঠা টাকায় প্রতিদিন তারাও মোটা অংকের টাকার ভাগ নেন। ফুটপাতে দোকানদারদের একজন বলেন, আমাদেরকে উচ্ছেদ করবে কেন, আমরা পুলিশ ও বড় বড় নেতাদের প্রতিদিন টাকা দেই তাহলে আমাদের কে উঠাবে কেন।
আমরা ফুটপাতে টাকা দিয়ে দোকানদারি করি। আমাদের হকার নেতা রহিম মুন্সির তার পক্ষে সোহেল আমাদের টাকা উঠান তারা এই টাকা ভাগ করে সবাইকে দেন। এসকল দোকান থেকে প্রতিদিন হাজার হাজার টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে ফুটপাতে বসানো দোকান থেকে চাঁদাবাজ সোহেল ও তার বাহিনী। প্রতিদিন একটি দোকান থেকে ৩০/১০০ টাকা পর্যন্ত নেয়া হয় দোকানের মাপ বুঝে।
যা নাকি সোহেল নিজে নেয় আবার লোক দিয়েও চাঁদা উঠান। ফুটপাতের চাঁদাবাজির ভাগ নেন নারায়ণগঞ্জ শহরের সাবেক কয়েকজন ছাত্রলীগ নেতা, আওয়ামী লীগ নেতা, সদর থানা, চাষাড়া ফাঁড়ির পুলিশ, কথিত সাংবাদিক, নাসিক কর্মচারীসহ আরো অনেকে। নারায়ণগঞ্জ শহর আওয়ামী লীগের বড় বড় নেতাদের সাথে সোহেল ছবি তুলে সাধারন মানুষকে ভয় দেখান আর ফুটপাত এর দোকান দার থেকে চাঁদা আদায় করেন।
যেমন, নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামী লীগ এর যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সম্পাদক শাহ্ নিজাম ও মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগ এর সাবেক সাধারন সম্পাদক মো. জুয়েল হোসেনসহ বিভিন্ন নেতাদের সাথে তোলা ছবিই হলো মূল হাতিয়ার সোহেলের। নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্রপোরেশন এর বাজেট অনুষ্ঠানে আক্ষেপ করে মেয়র আইভী বলেন, ‘আমি অনেক চেষ্টা করেও নারায়ণগঞ্জবাসীর জন্য ফুটপাত মুক্ত রাস্তা করতে পারছিনা। আমাদের কিছু আওয়ামী লীগের নেতার জন্য তারা এসব জায়গা থেকে মানতি খায় তাদের সব জায়গা থেকে টাকা খেতে হবে।
আমি অনেকবার নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি সাহেবকে ফোন করেছি ও তাকে ডেকে বলেছি তারা পরেও তারা এ রাস্তা খালি করতে পারছেনা তার কারণ আমি জানি না। আমি নারায়নগঞ্জবাসীর কাছে আবারো অনুরোধ করছি আপনার কবে রাস্তায় নামবেন বলেন আমি আপনাদের সাথে নামবো রাস্তা খালি করে আপনারে চলাচলের জন্য উদ্ধার করবো।
রাস্তায় ফুটপাত মুক্ত করার জন্য আমি আপনাদের সাথে নিয়ে রাস্তায় নেমেছিলাম তার পরে আপনার দেখেছেন আমার সাথে কি কি হয়েছে আমার অনেক নেতা কর্মী আহত হয়েছে আমি পিস্তলের গুলির মুখমুখি হয়েছি তার পরেও আমি সেসব বড় ভাইদের জন্য পারি নাই। আমি আপনাদের সাথে নিয়ে আবার নামতে চাই।’
নারায়ণগঞ্জ সদর মডেল থানার অফিসার ইনর্চাজ আনিচুর রহমার মোল্লা বলেন, আপনি সিটি করর্পোরেশনরে মেয়র আইভী সাহেবকে বলেন তার ম্যাজিস্ট্রেট পাঠাতে, তাকে সাথে নিয়ে সে যে জায়গাতে উচ্ছেদ করতে বলবে, সেসব জায়গাতেই উচ্ছেদ করে দিবো বলে ফোনটি কেটে দেন। এন.এইচ/জেসি