বৃহস্পতিবার   ২৮ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০   ১৮ রমজান ১৪৪৫

ব্রাজিলের সঙ্গে আর্জেন্টিনাও নেইমারের ফেবারিট

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:০৯ পিএম, ১৭ নভেম্বর ২০২২ বৃহস্পতিবার

 

বিশ্বকাপে এবার দারুণ দল নিয়ে এসেছে ব্রাজিল। নেইমার তো আছেনই, সঙ্গে ভিনিসিয়ুস জুনিয়র, কাসেমিরো, রিচার্লিসন, রাফিনিয়া, মারকিনিওস, আলিসন বেকারদের নিয়ে গড়া দলটা বিশ্বকাপ জেতার মতোই। ২০ বছর বিশ্বকাপ জেতা হয়নি। ২০০২ সালের পর প্রতিবারই কোনো না কোনো হতাশায় থমকে গেছে ব্রাজিলিয়ানদের বিশ্বসেরা হওয়ার স্বপ্ন।

 

 

কিন্তু এবার বিশ্বকাপ থেকে নিজেদের ষষ্ঠ শিরোপা জয় করেই দেশে ফিরতে চায় ব্রাজিল। ব্রাজিলের সেরা তারকা নেইমার। এবার খেলতে নামবেন নিজের তৃতীয় বিশ্বকাপটি। প্রতিবারই সম্ভাবনার কথা হয়েছে পিএসজির তারকাকে নিয়ে, কিন্তু প্রত্যাশা অনুযায়ী খেলতে পারেননি। ২০১৪ সালে ঘরের মাঠে বিশ্বকাপেই ছিল তাঁর সেরা পারফরম্যান্সে। কিন্তু কোয়ার্টার ফাইনালে কলম্বিয়ার বিপক্ষে গুরুতর চোট তাঁকে আর এগিয়ে যেতে দেয়নি।

 

 

এরপর তো নেইমারবিহীন ব্রাজিল সেমিফাইনালে জার্মানির বিপক্ষে ধরাশায়ী হলো ৭-১ গোলে। ২০১৮ সালে কোয়ার্টার ফাইনালে বিদায় নেওয়া ব্রাজিলের হয়ে নেইমারের পারফরম্যান্স খুব আকর্ষণীয় কিছু ছিল না। এবারও বিশ্বকাপে ফেবারিট ব্রাজিল। নেইমারও সেটিই মনে করেন। তবে নিজ দেশের সঙ্গে পিএসজি সতীর্থ লিওনেল মেসির আর্জেন্টিনাকেও বিশ্বকাপ জয়ের অন্যতম যোগ্য দল হিসেবে মানেন।

 

 

ব্রাজিল, আর্জেন্টিনার পাশাপাশি তাঁর দৃষ্টিতে বিশ্বকাপ জেতায় দুটি যোগ্যতা সম্পন্ন দল হচ্ছে ফ্রান্স ও স্পেন। একই সঙ্গে তিনি এ-ও মনে করেন, বিশ্বকাপ এতটাই চমক নিয়ে অপেক্ষা করে যে এই আসরে প্রত্যাশার বাইরে থেকেও অনেক দূর যাওয়া সম্ভব। আবার প্রত্যাশা থাকা সত্ত্বেও কিছু দল দ্রুতই বিদায় নেয় শিরোপার লড়াই থেকে। 

 

 

ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম ‘টেলিগ্রাফ’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নেইমার বলেছেন, ‘বিশ্বকাপে চমকের কোনো অভাব নেই। এখানে এমন দল দেখা যায়, প্রত্যাশা তেমন না থাকার পরও অনেক দূর যায়। আবার অনেক ফেবারিট বিদায় নেয় দ্রুতই। আমি মনে করি, এবারের বিশ্বকাপে ব্রাজিলের সঙ্গে আর্জেন্টিনাও ফেবারিট। ফেবারিট ফ্রান্স ও স্পেনও।

 

 

ইংল্যান্ডকে খুব ছোট করে দেখছেন না নেইমার। তিনি মনে করেন, হ্যারি কেইন ও জেডন সানচোর উপস্থিতি দলটার সম্ভাবনা বাড়িয়ে দিয়েছে, ‘আমি ইংল্যান্ডের কথা বলতে ভুলে গিয়েছিলাম। তাদের হ্যারি কেইন ও জেডন সানচোর মতো দুজন দুর্দান্ত খেলোয়াড় আছে। ইংল্যান্ডেরও ভালো করার সুযোগ আছে।

 

 

১৯৯৪ সালে ব্রাজিল যখন বিশ্বকাপ জিতল, তখন নেইমারের বয়স মাত্র দুই। সেই উৎসবের কিছুই মনে নেই তাঁর। পরে যা দেখার ভিডিওতে দেখেছেন। রোমারিও, বেবেতো, ব্র্যাঙ্কো, তাফারেল, দুঙ্গাদের শিরোপা জয়ের সেই উৎসব তাঁকে নাড়া দেয়।

 

 

১৯৯৮ সালে রোনালদো নাজারিও, রবার্তো কার্লোস, কাফু, রিভালদোরা টানা দ্বিতীয়বারের মতো বিশ্বকাপ জয়ের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গিয়েছিলেন। ফ্রান্সের বিপক্ষে ফাইনালের আগে রোনালদোর অসুস্থ হওয়া, ফাইনালে জিনেদিন জিদানের জোড়া গোল আর ইমানুয়েল পেতিতের গোলে ৩-০ ব্যবধানে ব্রাজিলের উড়ে যাওয়ার ঘটনাগুলো ছয় বছর বয়সী নেইমারের হয়তো পরিষ্কার মনে নেই।

 

 

তবে ২০০২ সালে বিশ্বকাপ জয়ের উৎসব করেছিলেন ১০ বছর বয়সে। এরপর তিনি খেলোয়াড় হয়েছেন, পেয়েছেন তারকাখ্যাতি। ব্রাজিলের জার্সিতে তিনটি বিশ্বকাপ খেলে ফেললেও দেশকে সেভাবে কিছুই দিতে পারেননি। এবার পারবেন কি না, সেটি ভবিষ্যৎই বলে দেবে।