শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১   ১১ শাওয়াল ১৪৪৫

কিশোর মুক্তিযোদ্ধা বলছি : বীর মুক্তিযোদ্ধা এহসান কবির রমজান

এন. হুসেইন রনী

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:১২ পিএম, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২ মঙ্গলবার

 

আমাদের জাতীয় ইতিহাসের শ্রেষ্ঠতম অধ্যায় হলো একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ। এই মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে জন্মলাভ করে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশ। ১৯৬৬ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বাঙ্গালীর স্বায়ত্বশাসন প্রতিষ্ঠা করার লক্ষে ছয় দফা দাবি পেশ করেন। ছয় দফা ম্যান্ডেট নিয়ে পাকিস্তানে ১৯৭০ সালের ৭ ডিসেম্বর সর্বপ্রথম অনুষ্ঠিত সাধারণ নির্বাচনে পূর্ব পাকিস্তানের রাজনৈতিক দল হিসাবে একক সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে জয়লাভ করে আওয়ামী লীগ। পাকিস্তানের জাতীয় পরিষদে সংখ্যাগরিষ্ঠ দল হিসেবে তার উত্তরণ ঘটে। জনগণ প্রত্যাশা করেছিল নির্বাচিত রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ সরকার গঠন করে পূর্ব পাকিস্তানের দীর্ঘদিনের বঞ্চনার ইতিহাসের গতি পাল্টাবেন। পাকিস্তানের শাসকবর্গ-কিছু রাজনৈতিক নেতা এবং কিছু সামরিক কর্মকর্তা-ষড়যন্ত্রের গ্রন্থিগুলো এমনভাবে বিন্যস্ত করেন; যেন শাসন ক্ষমতা কোনক্রমে বাঙ্গালীর হস্তগত না হয়। পূর্ব পাকিস্তানের জনগণ তা সঠিকভাবে অনুধাবন করতে পেরেছিল; যে কারণে বাঙালির জন্য স্বাধীনতা যুদ্ধ ছিল অনিবার্য। সেসময় যুবক-কিশোর, নারী-পুরুষ, বৃদ্ধ-বণিতা, শ্রমিক-কৃষক সবাই সম্মেলিতভাবে স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েছিল।

 

 

বিজয়ের মাস ০৯ ডিসেম্বর, ২০২২ শুক্রবার যুগের চিন্তা’র আয়োজনে ‘মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকথা’ অনুষ্ঠানে অতিথি হিসাবে উপস্থিত হয়ে বীর মুক্তিযোদ্ধা এহসান কবির রমজান বলেন, ‘বঙ্গবন্ধুর ডাকে উদ্বুদ্ধ হয়ে কিশোর বয়সে স্বাধীনতা যুদ্ধে অংশগ্রহণ করি।’

 

 

পরিচিতি:
এহসান কবির রমজান এর জন্ম ১৯৫৮ সালের ০১ জানুয়ারি; নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার গোদনাইল এলাকায়। তার পিতা: মরহুম নায়েব আলী মাদবর, এবং রত্ন গর্ভা মাতা: মোসাম্মৎ ফুলবদন বিবি। নবম শ্রেণিতে পড়া অবস্থায় বঙ্গবন্ধুর ডাকে সশস্ত্র যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়েন।

 

 

তিনি বলেন, প্রথমেই আমি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করতে চাই, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের কথা; যার আহবানে দেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ি। এছাড়াও যে সকল বীর, শহীদ হযেছেন দেশের জন্য, স্বাধীনতার জন্য, নিজেদের জীবন বিলিয়ে দিয়ে দেশকে শত্রুমুক্ত করেছেন তাদেরকে বিনম্র শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করছি।

 

 

প্রশ্ন: মুক্তিযুদ্ধের পূর্বে আপনার কোন স্মৃতিময় কোন ঘটনা?
উত্তর: জ্বি আপনাকে ধন্যবাদ, সুন্দর একটি প্রশ্ন করার জন্য। আমি ছাত্র ইউনিয়নের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলাম। এছাড়াও খেলাঘর সংগঠনের একজন সক্রিয় সদস্য ছিলাম। বলতে দ্বিধা নেই আমি একজন সাধারণ কৃষক-শ্রমিক পরিবারের সন্তান। সেসময় আমাদের গোদনাইল এলাকাটি শ্রমিক অধ্যুষিত। আমার বড় ভাই ছিলেন একজন শ্রমিক; সে সুবাদে শ্রমিক নেতৃবৃন্দ আমাকে স্নেহ করতেন বিধায় তাদের সাথে আমি বিভিন্ন আন্দোলন, সংগ্রামে এবং মিটিং-মিছিলে যেতাম। কিশোর বয়স হওয়ায় ছাত্রনেতা এবং শ্রমিক নেতারা আমাকে খুব পছন্দ করতেন। সেসময়টা আমার জীবনের একটি স্বর্ণযুগ বলা যেতে পারে।
 
প্রশ্ন: নারায়ণগঞ্জে আপনারা পাকিস্তান বাহিনীর বিরুদ্ধে কোন প্রতিরোধ যুদ্ধ করেছিলেন কী?
উত্তর:
প্রতিরোধ যুদ্ধটা নারায়ণগঞ্জ মাসদাইর এলাকায়, সে সময় আমরা কিশোর বয়সের যারা ছিলাম তারা সেদিন সেখানে যেতে পারিনি। তবে আমাদের এলাকা থেকে ২৭ মার্চ ভোরে ছাত্রনেতা সিরাজুল ইসলাম সিরাজ ভাইয়ের নেতৃত্বে মরণ ছাত্তার ভাই, শ্রমিক নেতা আশেক আলী মাষ্টার, ছাত্র নেতা আব্দুল মতিনসহ অসংখ্য বীর মুক্তি যোদ্ধারা ফতুল্লা, মাসদাইর ও চাষাঢ়া রেললাইন এলাকায় প্রতিরোধ যুদ্ধ গড়ে তুলেন। কিন্তু প্রশিক্ষিত পাকিস্তান সেনাবাহিনীর ভারী অস্ত্র-শস্ত্র এর মুখে আমরা ঐ দিন তারা পিছু হটতে বাধ্য হন। কিন্তু প্রতিরোধ যুদ্ধ করার ফলে একটা কাজের কাজ হয়; সেটা হল- অসংখ্য মানুষ নদী পার হয়ে বন্দর ও নবীগঞ্জের গ্রামের দিকে নিরাপদ আশ্রয়ে চলে যেতে সক্ষম হয়েছিল।
 
প্রশ্ন: নারায়ণগঞ্জে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর আক্রমণের পরের ঘটনা সর্ম্পকে যদি কিছু বলতেন?
উত্তর:
২৭ মার্চ রাতে পাকিস্তান সেনাবাহিনী আমাদের গোদনাইল এলাকায় আক্রমণ চালায় এবং বাড়ী-ঘর জ্বালিয়ে দেয়। রাতেই আমরা পাশের গ্রাম জালকুড়িতে আশ্রয় নেই। আমি এবং আমার বন্ধু আজিজ ভাই এর মামার বাড়ীতে আশ্রয় নেই। কিছুদিন পরেই আমাদের অঞ্চল হতে প্রথম শ্রমিক নেতা আশেক আলী মাষ্টার, ছাত্র নেতা আব্দুল মতিন, শিশু কিশোর সংগঠনের আব্দুল আজিজ ও ন্যাপ নেতা সোবহান চাচা গোপনে প্রশিক্ষণের উদ্দেশ্যে ভারতে চলে যান। যে রাতের পরে ভোরে তারা চলে যান, সে রাতে আমি ও আজিজ ভাই একই সাথে, একই বিছানায় ঘুমিয়ে ছিলাম। আমি টের পায়নি কখন যে, আজিজ ভাই চলে গেলেন। তখন বিভিন্ন ছাত্র নেতাদের মাধ্যমে জানতে পারি মুক্তি সংগ্রাম শুরু হয়ে গেছে, সবাই ভারত যাচ্ছে। সেখান থেকে ট্রেনিং এর ব্যবস্থা হবে; আমার মধ্যে তখন যুদ্ধে যাওয়ার স্পৃহা তৈরি হয়। ভিতরে ভিতরে খুব উত্তেজনা অনুভব করছিলাম যুদ্ধে অংশগ্রহণ করার জন্য।
 
প্রশ্ন: ভারতে প্রশিক্ষণে যাওয়ার ঘটনা, কীভাবে গেলেন?
উত্তর:
যেহেতু আমি ছাত্র ছিলাম, আমার নিকট কোন টাকা পয়সা ছিলনা। আমার বাবা ২০-২৫ বস্তা চাল রেখেছিলেন জালকুড়িতে। আমি সেখান থেকে ১৫ বস্তা চাল বিক্রি করে; কিছু টাকা সংগ্রহ করি, তারপরে একদিন সময় বুঝে লক্ষণখোলা ও লাঙলবন্দ হয়ে বৈদ্যারবাজার পৌছাই। সেখানে আমার সহপাঠী সাখাওয়াতকে দেখতে পাই। তার কাছ থেকে জানতে পারি, সেও ভারত যাবে ট্রেনিং নিতে। খুব খুশি হলাম, বন্ধুকে কাছে পেয়ে আমার একাকীত্ব ঘুচলো। মনোবল পেলাম দুজনেই, যাবই ভারত, যা হওয়ার হবে। বৈদ্যারবাজার থেকে লঞ্চে উঠে দেখি আরও বহু বাঙালি হিন্দু-মুসলমানসহ সবাই রওয়ানা হয়েছে ভারতের উদ্দেশ্যে। সেখান থেকে আমরা লঞ্চে করে রামকৃষ্ণপুর পৌছাই। সেখানে গেলে আমরা দেখতে পাই অনেক গাইড রয়েছে, যারা টাকার বিনিময়ে রাস্তা চিনিয়ে ভারতে নিয়ে যায়। যুদ্ধে যেতে আগ্রহী এমন ১০-১৫ জন সহযোদ্ধা আমরা মিলিত হই। অত:পর রামকৃষ্ণপুর হতে আমরা প্রথমে কসবার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হই। কসবা যাওয়ার পথিমধ্যে জানতে পারি, পাকিস্তান বাহিনী গোলা-গুলি করছে এবং বাড়ীঘর জ¦ালিয়ে দিচ্ছে, ফলে সেদিন আমরা আর এগোতে পারিনি। ঘটনাক্রমে পথিমধ্যে আমার প্রাণ প্রিয় ছাত্রনেতা মতিন ভাইয়ের সাথে দেখা হয়। তিনিই আমাকে এবং আমার বন্ধু সাখাওয়াতকে ভারতের আগরতলায় নিয়ে যান। সেখানে গিয়ে বড় বড় ছাত্র নেতাদের সাথে সাক্ষাৎ করার সুযোগ ঘটে। তারমধ্যে কমরেড মণি সিং, অধ্যাপক মোজাফফর আহমেদ, মতিয়া চৌধুরী, ছাত্র নেতা মুজাহিদুল সেলিম, শ্রমিক নেতা আশেক আলী মাষ্টার, আব্দুল আজিজ ভাই ও ন্যাপ নেতা সোবহান চাচার কথা বেশ মনে পড়ে। শ্রমিক নেতা আশেক আলী মাষ্টার এর সহযোগীতায় আমাদের প্রাথমিক প্রশিক্ষণ গ্রহণ করি। তারপর সেখান থেকে আমাদের নিয়ে যাওয়া হয় সীমনা অঞ্চলের পঞ্চবটী এলাকায়। সেখান থেকে পাহাড়ি এলাকার মধ্য দিয়ে আমাদেরকে একটি বেঙ্গল রেজিমেন্ট ক্যাম্পে নিয়ে যাওয়া হয়। ক্যাম্পটি ছিল ৩নং সেক্টরের অধীন এবং অধিনায়ক ছিলেন ক্যাপ্টেন নাসিম। তিনি আমাদেরকে স্বাদরে গ্রহণ করে প্রশিক্ষণ শুরু করে দেন। সেখানে আমদের বিভিন্ন এক্সপ্লোসিভ বিস্ফোরণ ও গ্রেনেড ছোঁড়ার প্রশিক্ষণ দেয়া হয়।
 
প্রশ্ন: স্বদেশে ফিরে এসে আলী হোসেন কমান্ডার এর নেতৃত্বে আপনাদের গ্রুপ কতটি অপারেশন চালিয়েছিল? ২/১টি সফল অপারেশনের কথা যদি বলেন-
উত্তর:
আলী হোসেন কমান্ডার এর নেতৃত্বে আমাদের গ্রুপ ১৬টি সফল অপারেশন পরিচালনা করেছিল। তারমধ্যে আমাদের প্রথম অপারেশন হল- চৌধুরী বাড়ী এলাকায় ট্রান্সফর্মার বিস্ফোরণ ঘটাই, যাতে ঐ অঞ্চলের বিদ্যুৎ সংযোগ সম্পূর্ণরূপে বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এগুলো ছিলো আমাদের যুদ্ধ কৌশলেরই একটি অংশ।
দ্বিতীয় আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ অপারেশন ছিলো ফতুল্লা রেল লাইনের উপর নলখালী ব্রীজ ধ্বংস করা। এই নলখালী ব্রীজটি ছিল পাকিস্তানিদের এ্যামুনিশন এবং রসদ সরবরাহের এক গুরুত্বপূর্ণ ট্রানজিট পয়েন্ট। ১৯ সেপ্টম্বর আমরা ডেপুটি কমান্ডার এর নেতৃত্বে তিনটি গ্রুপে ভাগ হয়ে নলখালী ব্রীজে আক্রমণ করি। পাকিস্তানি সেনাবাহিনীর ৬-৭ জন সৈন্য নিহত হয় এবং তাদের ট্রেন ও নলখালী ব্রীজ বিস্ফোরণে উড়ে যায়। সেই অপারেশনের ঘটনাটি বিবিসি, ভয়েস অব আমেরিকা, আকাশবাণী কলকাতা এবং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে ফলাওভাবে প্রচার করা হয়েছিল। সেসময় এই ঘটনাটি সারা বিশে^ তথা বাংলাদেশ বেশ আলিচিত হয়। মুক্তিযোদ্ধারা এবং সাধারণ মানুষ বেশ উজ্জীবীত হয়েছিল। সেদিনের কথা আজও আমার হৃদয়পটে ভেসে উঠে, আজ আমি গর্ব অনুভব করি।
 
প্রশ্ন: বিজয়ের দিনটি সর্ম্পকে যদি আপনার কাছে জানতে চাই?
উত্তর:
বিজয়ের দিন দুপুর ১২ টার দিকে আমরা যাচ্ছিলাম মিত্রবাহিনীকে স্বাগত জানানোর জন্য এসময গোদনাইল উচ্চ বিদ্যালয়ের নিকটে পৌছালে জানতে পারি বিজেএমসি গেইটের নিকটে একটি বিল্ডিংয়ে পাকিস্তান সেনাবাহিনীর কিছু সদস্য রয়ে গেছে। আমরা এগোতে গেলে তারা ফায়ারিং শুরু করে। আমরাও তাদের দিকে গ্রেনেড নিক্ষেপ করি এবং ক্রলিং করে এগোতে থাকি; এই সময় নদীর অপর পাড় থেকে মিত্র বাহিনী পাড় হয়ে আসছিল। এ পরিস্থিতি দেখে মিত্র বাহিনী এলএমজি থেকে পাকিস্তান বাহিনীকে লক্ষ্য করে গুলিবর্ষণ শুরু করে। আমরা সাথে সাথে সেইভ পজিশন নিয়ে অপেক্ষা করতে থাকি। মিত্রবাহিনীর সহযোগীতায় আমরা সেদিন পাকিস্তান বাহিনীকে পরাজিত করতে সক্ষম হই এবং কয়েকজন সৈন্য রাতে আমাদের নিকট সারেন্ডার করে।আমরা নিজেরাও কখনো কল্পনা করতে পারিনি এত দ্রুত আমরা স্বাধীনতা অর্জন করতে পারবো। যাইহোক অবশেষে আমরা স্বাধীনতা লাভ করি। বাঙালির বীরত্ব গাঁথা রচিত হয়, বিশ্ব মানচিত্রে অংকিত হয় স্বাধীন ও সার্বভৌম রাষ্ট্র বাংলাদেশের। আমি সকল শহীদ’কে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করি। এবং আমার সকল ছাত্র নেতা, শ্রমিক নেতা, কমান্ডার, ডেপুটি কমান্ডার সহ সকল সহযোদ্ধাদের প্রতি রইল বিনম্র শ্রদ্ধা।
 
পরিশেষে বীর মুক্তিযোদ্ধা এহসান কবির রমজান বলেন, “মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যেভাবে অসহায় মুক্তিযোদ্ধাদের সহযোগীতা করছেন, আমরা মুক্তিযোদ্ধারা তার প্রতি চিরকৃতজ্ঞ। পাশাপাশি শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধ শেখ মুজিবর রহমানকে, যার ডাকে আজ এই দেশ স্বাধীন হয়েছে।”

 

 

তিনি নতুন প্রজন্মকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “তোমরা একটি স্বাধীন-সার্বভৌম রাষ্ট্র পেয়েছো; এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। মুক্তিযুদ্ধের চেতনা হৃদয়ে ধারণ করতে হবে। মনে রাখবে, স্বাধীনতা অর্জনের চেয়ে স্বাধীনতা রক্ষা করা কঠিন।”

 

 

তিনি বলেন, “নতুন প্রজন্মকে মনে রাখতে হবে, যাদের হাত ধরে স্বাধীনতা এসেছে, আজ তারা রাষ্ট্র ক্ষমতায়। আওয়ামী লীগ সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকলে দেশের উন্নয়ণ ও অগ্রগতি তরান্বিত হবে। এই সরকারকে প্রতিটি নির্বাচনে জয়ী করতে হবে; এই অর্জন ধরে রাখতে হবে। বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার হাতকে শক্তিশালী করতে হবে, তাকে সহযোগীতা করতে হবে। তাহলেই আগামী দিনে এক সুন্দর ভবিষ্যৎ রচিত হবে।”

এস.এ/জেসি