সোনারগাঁয়ে আ’লীগের কর্মী সম্মেলনে দু’গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত-২০
স্টাফ রিপোর্টার
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৭:২৪ পিএম, ২৬ জানুয়ারি ২০২৩ বৃহস্পতিবার
সোনারগাঁ থানার শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সম্মেলনে দু’গ্রুপের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে প্রায় ১৫ থেকে ২০জন নেতাকর্মী গুরুতর আহত হয়। গতকাল বুধবার ২৫ জানুয়ারি বিকেল ৪টায় শম্ভুপুরা ইউনিয়নের এলাহী নগর ঈদগাঁ মাঠে কর্মী সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
জানা যায়, সম্মেলনে পাল্টা-পাল্টি বক্তব্যকে কেন্দ্র করে নেতাকর্মীদের মাঝে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সংঘর্ষে গুরুত্ব আহত হয় শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের আক্তার হোসেন (৩৫), জলিল (২৮), রিফাত (২০), জান্নাত বেপারী (৬০), আরমান (৩০), শরিফ (৩৮), আহাদ (৩০), নাজমুল সরকার (৩৪), সিফাত (২২), মো.মুন্না (২০), শাকিল (২৫), দিপু (২০), আশরাফ (৩০), আবু বকর সিদ্দিক (২৫), আরিফ, সোহেল সহ আরও অনেকে।
আহতদের সন্ধ্যা ৬টায় নারায়নগঞ্জ ১০০ শয্যা ভিক্টোরিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য আনা হয়। এদের মধ্যে রিফাত, আক্তার, জলিল, দিপু, আবু বকর সিদ্দিক ও জান্নাত মাথায় গুরুত্ব আঘাত পাওয়ায় ভিক্টোরিয়া হাসপাতালের কর্মরত চিকিৎসক তাদের ঢাকায় প্রেরণ করেন ও বাকিদের অবস্থা আশংকাজনক বলে জানা যায়।
এ বিষয়ে শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী নাসির উদ্দিন জানান, আমি শম্ভুপুরা ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সহ-সভাপতি। আজ সম্মেলণে আমি এই ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি প্রার্থী ছিলাম। আমার প্রতিদ্বন্দ্বি সভাপতি প্রার্থী ছিলেন সিদ্দিক মোল্লা।
সম্মেলন সফল করা জন্য আমি দুই থেকে আড়াইহাজার নেতাকর্মী নিয়ে সম্মেলনে যোগদান করি। সেই সময় সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য রাখছেন আমার প্রতিদ্বন্দ্বি সভাপতি প্রার্থী সিদ্দিক মোল্লা। বক্তব্যে তিনি আমার সম্পর্কে নানা ধরনের উষ্কানীমূলক কথাবার্তা বলেন। এসকল উষ্কানীমূলক বক্তব্য দেওয়ার কারনে দু’পক্ষের নেতাকর্মীদের মাঝে কথা কাটাকাটির হয়। এক পর্যায়ে বাশঁ ও কাঠের ডাসা দিয়ে নেতাকর্মীদের মাঝে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
এতে আমার প্রায় ২০জন কর্মী গুরুত্ব আহত হয়। এ বিষয়ে সোনারগাঁ থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ আবদুল্লাহ আল কায়সার বলেন, সংঘর্ষের কারণে সঙ্গে সঙ্গে ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের কর্মী সম্মেলন স্থগিত করা হয়েছে। দলের গঠনতন্ত্র অনুযায়ী দোষীদের চিহ্নিত করে সাংগঠনিক ভাবে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোনারগাঁ থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মোহাম্মদ আহসানউল্লাহ বলেন, কর্মী সম্মেলনে পুলিশ মোতায়েন ছিল। সংঘর্ষের খবর পেয়ে অতিরিক্ত পুলিশ পাঠানো হয়েছে। সোনারগাঁ আওয়ামী লীগের সভাপতি এডভোকেট শামসুল ইসলাম ভূঁইয়া বলেন, কর্মী সম্মেলনে দুই গ্রুপের মধ্যে চেয়ার ছোড়াছুড়ির ঘটনা ঘটেছে। বিশৃঙ্খল পরিস্থিতির কারণে আমরা সম্মেলন স্থগিত করেছি। সোনারগাঁ থানার ওসি মাহবুব আলম জানান, কর্মী সম্মেলনে আওয়ামী লীগের দুই গ্রুপের সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পুলিশের একাধিক টিম পাঠানো হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি শান্ত রয়েছে।