মঙ্গলবার   ৩০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৭ ১৪৩১   ২২ শাওয়াল ১৪৪৫

লাখো মানুষ ত্বকী হত্যার বিচার চায় : রফিউর রাব্বি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৪:৩৯ পিএম, ৯ মার্চ ২০২৩ বৃহস্পতিবার


নির্মম হত্যার শিকার নারায়ণগঞ্জের মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকীর পিতা ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি বলেন, ‘ঘাতকরা যতই চেষ্টা করুক না কেন সত্য চাপা থাকে না। লাশ যখন নিজে কথা বলা শুরু করে সেটি হয় ভয়ঙ্কর সত্য। লাখো মানুষ ত্বকী হত্যার বিচার চায়।

 

 

শুধু ত্বকী নয় এমন নৃশংস সকল হত্যার বিচার চায়। আমরা আমাদের সন্তানদের জন্য নিরাপদ সমাজ চাই। এ বাংলাদেশ মুষ্টিমেয় কিছু ঘাতকের হতে পারে না।’ তিনি আরও বলেন, ‘সরকারের হাত ঘাতকের মাথার উপর যেভাবে রয়েছে তার ধিক্কার জানাই। ঘাতকের পক্ষে সরকার, রাষ্ট্রযন্ত্র থাকলেও ঘাতকরা চিরস্থায়ী হয় না। জনশক্তির উত্থানের মধ্য দিয়ে এরা পরাজিত হয়।’

 

 

গতকাল বুধবার (৮ মার্চ) সন্ধ্যায় শীতলক্ষ্যা নদীর পাড়ে নারায়ণগঞ্জ শহরের পাঁচ নম্বর ঘাট এলাকায় মেধাবী কিশোর তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী হত্যা ও বিচারহীনতার দশম বর্ষপূর্তিতে ‘আলোর ভাসান’ অনুষ্ঠানে বক্তব্যে তিনি এইসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে বিশিষ্ট নাট্যব্যক্তিত্ব মামুনুর রশীদ বলেছেন, ‘আগামী ৫০ বছরের জন্য শিক্ষাব্যবস্থাকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করা হয়েছে।

 

 

কারণ আগামীতে ত্বকীরা খুন হলে যাতে কেউ প্রতিবাদ করতে না পারে সেই ব্যবস্থা করেছে সরকার। নারায়ণগঞ্জের কিশোর ত্বকী ছিল মেধার একটি উদাহরণ। ত্বকীর মতো মেধা খুন হচ্ছে কিন্তু বিচার হচ্ছে না। দেশে বিচারহীনতার একের পর এক দৃষ্টান্ত স্থাপন হয়েছে।’ তিনি আরও বলেন, ‘ত্বকী মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে গেছে। জীবনের অনেক না পাওয়া বেদনার কাহিনীর অংশ হয়েছে ত্বকী।

 

 

সে তার অসমাপ্ত কবিতায় কথা বলছে। অনেক বেদনা ও বঞ্চনার মধ্যে এটাই আমাদের পাওয়া।’ নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি ভবানী শংকর রায়ের সভাপতিত্বে এই সময় আরও বক্তব্য রাখেন খেলাঘর আসরের সভাপতি রথীন চক্রবর্তী, কবি ও সাংবাদিক হালিম আজাদ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জোটের সাধারণ সম্পাদক শাহীন মাহমুদ।

 

 

ত্বকী স্মরণে ‘আলোর ভাসান’ অনুষ্ঠানে নারায়ণগঞ্জের রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক ও সামাজিক বিভিন্ন সংগঠনের প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। এই সময় নাটক, আবৃতি আলেখ্য, গান ও কবিতা পরিবেশন করেন বিভিন্ন সংস্কৃতি কর্মীরা। পরে শীতলক্ষ্যা নদীতে আলোকশিখা ভাসানো হয়।

 

 

উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ৬ মার্চ বিকেলে শহরের শায়েস্তা খাঁ সড়কের বাসা থেকে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় তানভীর মুহাম্মদ ত্বকী। দুইদিন নিখোঁজ থাকার পর ৮ মার্চ শীতলক্ষ্যা নদীর শাখা খাল কুমুদিনী খাল থেকে ত্বকীর মরদেহ উদ্ধার করা হয়। তাকে অপহরণের পর হত্যার অভিযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জর প্রভাবশালী ওসমান পরিবারের সদস্যদের বিরুদ্ধে।  এন.হুসেইন/জেসি