রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪   আশ্বিন ২১ ১৪৩১   ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

আর কবে হবে চাষাঢ়ায় ফুটওভার ব্রিজ

মেহেদী হাসান

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৯:২৪ পিএম, ৫ সেপ্টেম্বর ২০২৩ মঙ্গলবার

 

নারায়ণগঞ্জ শহরের ব্যস্ততম সড়ক হচ্ছে চাষাঢ়া। এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার যানবাহন ও বিভিন্ন পেশার মানুষ যাতায়াত করে। কিন্তু এই ব্যস্ততম সড়কে নেই কোন ফুটওভার ব্রিজ। প্রতিদিন জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এই সড়কটি দিয়ে স্কুল-কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার লোকজন পারাপার হয়। চার রাস্তার মোড় থাকায় প্রায় সময় চাষাঢ়ার মোড়ে পার হতে গিয়ে অনেকেই দুর্ঘটনার শিকার হন।

 

কিন্তু এই সড়কের ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ নিয়ে জন প্রতিনিধিদের কারো কোন মাথা ব্যথা নেই। অথচ শিক্ষার্থীসহ নানা পেশার লোকজনের দাবির চাষাঢ়ার মোড়ে ফুটওভার ব্রিজ হোক। এই ফুটওভার ব্রিজের দাবি নিয়ে শিক্ষার্থীরা বিভিন্ন সময় ব্যানার-ফেস্টুন নিয়েও সড়কে অবস্থান করেছিলেন, কিন্তু তা বাস্তবায়ন হয়নি। এবিষয়ে অনেকেই বলেন আরও কবে হবে চাষাঢ়ার ফুটওভার ব্রিজ।

 

সরেজমিনে দেখা যায়, চাষাঢ়া থেকে শুরু হয়ে বিভিন্ন পরিবহন নারায়ণগঞ্জ লিঙ্ক রোড়-ঢাকা, ফতুল্লা-পাগলার পুরাতন সড়ক হয়ে ঢাকা মুন্সিগঞ্জ, আদমজী চিট্টাগাং রোড় হয়ে ঢাকা চট্টগ্রাম সড়কের প্রতিদিন হাজার হাজার বাস, ট্রাক, ইজিবাইক ও রিকশা চলাচল করেন। কিন্তু এই যানবাহন গুলো প্রায় সময় বেপরোয়া হয়ে চলাচল করে।

 

এই সড়কটির কিছু দূরে রয়েছে নারায়ণগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজ ও সরকারী তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ। এই দুই কলেজের প্রায় ৫হাজার শিক্ষার্থী চাষাঢ়ার মোড় হয়ে কলেজে যাতায়াত করেন। পারাপার হবার সময় অনেক শিক্ষার্থী  বিভিন্ন গাড়ির সাথে দুর্ঘটনার শিকার হন। কিন্তু তারা নিচুপ হয়ে এই সড়ক দিয়ে পারাপার হন।

 

এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সরকারী মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী শ্রাবণী আক্তার জানান, আমার বাড়ি হচ্ছে তল্লা এলাকায়, কলেজ শেষে বাড়ি ফেরার পথে আমাকে চাষাঢ়ার রাইফের ক্লাবের মোড় দিয়ে পার হয়ে হয়। এই সড়কটি তিন রাস্তার মোড় হওয়ায় তিন দিক থেকে অনেক গাড়ি চলাচল করে। অনেক সময় রাস্তা পার হতে গিয়ে আতঙ্কে পরে যাই, কোন সময় কোন গাড়ি এসে শরীরের উপরে উঠিয়ে দেয়। এই মোড়টিতে ফুটওভার ব্রিজ হলে নিরাপদে পার হতে পারব। তাই আমাদের দাবি অতি তারাতারি ফুটওভার ব্রিজ নিমার্ণ করা হোক।

 

এ বিষয়ে সরকারী তোলারাম বিশ্ববিদ্যালয়ের আর একজন শিক্ষার্থী মেহেরিন নিরু জানান, সড়কে আমাদের জীবনের নিরাপত্তা নেই। আমাদের জীবনের নিরাপত্তা দিতে হবে। নিরাপত্তা দিতে হলে প্রথমেই এখানে ফুটওভার ব্রিজ নির্মাণ করা অতি জরুরী হয়ে পড়েছে। গতকাল রবিবার দুপুরে চাষাঢ়া এলাকায় সরেজমিনে দেখা যায়, চলন্ত যানবাহনের সামনে পথচারীদের অনেকেই দৌঁড়ে সড়ক পার হচ্ছে।

 

এ সময় চলন্ত যানবাহনের সামনে গিয়ে হাত উঠিয়ে শিক্ষার্থী সহ অনেক পথচারী রাস্তা পার হচ্ছে। সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের ২৯ জানুয়ারি মহিলা কলেজের সামনে রাস্তা পার হতে গিয়ে সড়ক দুর্ঘটনায় পাঁচ বছরের এক শিশু নিহত হয়। আবার গত ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর চাষাঢ়ায় সড়ক পার হতে গিয়ে আরও এক শিশু নিহত হয়। এভাবে অনেকেই সড়ক পার হতে গিয়ে হতাহত হচ্ছেন। এস.এ/জেসি