বুধবার   ১১ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২৭ ১৪৩১   ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

তৃতীয় শুক্রবার ব্যস্ততা বেড়েছে স্টল মালিকদের

রূপগঞ্জ প্রতিনিধি

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৬:১৫ পিএম, ১০ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ শনিবার


ঢাকা আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলার ২৮তম আসরের তৃতীয় শুক্রবার ছুটির দিন (৯ ফেব্রুয়ারি) মেলা জমে উঠেছে। বাণিজ্যমেলায় কেনাকাটায় ব্যস্ত সময় কাটাচ্ছেন ক্রেতা-দর্শনার্থীরা। খাবারের দোকানগুলোতে যেন তিল পরিমান ঠাঁই নেই। অনেকে দাঁড়িয়ে খাবার খাচ্ছে। কেউ  আবার খাবারের জন্য সিরিয়াল নিয়ে অপেক্ষা করছেন। এ সুযোগে খাবারের স্টল মালিকরা দাম বেশী নিচ্ছেন বলে অভিযোগ করেছেন ভোক্তভোগীরা।

 


পণ্য বিক্রির প্রচারণার পাশাপাশি ফ্রিতে স্বাস্থ্য পরীক্ষার সুযোগ রয়েছে। সরকারী হাসপাতালের পাশাপাশি প্রাইভেট হসপিটালগুলো স্টল বসিয়ে মেলায় আসা দর্শনার্থীদের সেবা দিচ্ছেন। মেলায় ৩য় শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল থেকেই বাধা উপেক্ষা করে মেলায় আসেন দর্শনার্থীরা। ছুটির দিন উপভোগ করার পাশাপাশি সেরেছেন দরকারি কেনাকাটাও।

 


মেলায় আসা ক্রেতা ফারহানা আক্তার বলেন, সরকারী ছুটির দিন থাকায় ‘সাধারণত শুক্রবারে মেলা জমজমাট হয়। কারন সরকারী চাকুরীজীবিরা এই দিন বন্ধ থাকায় তাদের ফ্যামিলিদের সময় দিতে পারে। আমার স্বামী সরকারী চাকুরীজীবি তাই আমরা পরিবার নিয়ে শুক্রবার মেলায় এসেছি। কিছু গৃহস্থলী পন্য কিনেছি। পছন্দ হরে আরো কিছু কেনাকাটা করব।

 


মেলায় আসা দর্শনার্থী আতাউর সানী জানান, পরিবার নিয়ে মেলায় এসছি মেলা ঘুরে দেখলাম। পরিবার নিয়ে কিছু খেতে গেলে বসার জায়গাটুকু পেলাম না। খাবারের দাম আনেক বেশী। ভাতিজাকে নিয়ে মেলায় এসেছি। বাধ্য হয়ে বেশী দাম দিয়ে খাবার খেতে হয়েছে।

 


মেলায় আসা নর্থ সাউদ ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থী জান্নাতুর রহমান স্নেহা বলেন, গতবারের তুলনায় এবার বাণিজ্যমেলায় বেশ ভিড়। শীতের মধ্যেও মানুষ এখানে আসছেন। কিন্তু মেলায় আনেক নিম্ন মানের পন্য এসেছে। যা আন্তজার্তিক মানিজ্য মেলার সুনামকে ক্ষুন্ন করছে। মেলায় বেশ কিছু পন্য রয়েছে যা নিম্নমানের তার দাম আনেক বেশী। আশাকরি মেলায় কর্তৃপক্ষ আগামী বছর বানিজ্য মেলায় আরো বেশী বিদেশী স্টল বসাবেন।

 


মিয়া ট্রেড ইন্টারন্যাশনাল এর এমডি ইসাহাক মিয়া বলেন, গতবারের তুলনায় এবছর মেলায় পন্য বেশী বিক্্ির হবে। আশাকরি এবছর মেলায় লোকজনের সমাগম ভাল হবে। বেচাবিক্রি ও ভাল হবে।

 


হাজী বিরিয়ানী খাবারের দোকানের মালিক মোঃ মোজাম্মেল বলেন, শুক্রবার হওয়ায় খাবারের দামটা বেশী হয়।  ভীড় বেশী থাকায় ঠিক মত বসতে দেয়া যাচ্ছে না।

 


মেলায় প্রবেশের টিকিট ইজারাদার ম্যানেজার আব্দুল আজিজ বলেন, গতবারের তুলনায় এবারের মেলাটা আরও বেশি জমজমাট। ৩য় শুক্রবার ২০তম দিন বিকাল ৫টা পর্যন্ত ৩৫ হাজার প্লাস টিকিট বিক্রি হয়েছে। দর্শনার্থীদের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে।

 


বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের রফতানি উন্নয়ন ব্যুরোর (ইপিবি) সচিব বিবেক সরকার বলেন, আজ শুক্রবার সরকারী ছুটির দিন। আগের দিনের থেকে আজকে ‘মেলায় ক্রেতা সমাগম বেড়েছে। চাকুরীজীবিরা ছুটি পেয়ে আজকে বাণিজ্যমেলা আসছেন। খাবারে হোটেলগুলো বিরুদ্ধে যে সব অভিযোগ আসছে তা আমরা খতিয়ে দেখছি। এছাড়া ভোক্তা অধিকার নিয়মিত অভিযান করছেন।

 


এদিকে বিআরটিসির ম্যানেজার অপারেশন মো. কামরুজ্জামান জানান, মেলার ৩য় শুক্রবার দর্শনার্থীর ভিড় বেশী। তাই থেকে কুড়িল বিশ্বরোড থেকে মেলা প্রাঙ্গন পর্যন্ত বিআরটিসির ১৩০টি স্পেশাল বাস চালু রয়েছে। কুড়িল বিশ্বরোড এলাকায় ১০টি টিকেট কাউন্টার, মেলা প্রাঙ্গনে ১০টি টিকেট কাউন্টার চালু রয়েছে। এছাড়া নারায়নগঞ্জ থেকে ১০টি বিআরটিসি সাটল বাস, নরসিংদী থেকে ৫টি ফার্মগেইট খেজুরতলা থেকে ৩০টি দ্বিতল সাটল বাস চালু করা হয়েছে।  এন. হুসেইন রনী  /জেসি