নিজ গাঁয়ে ফিরছে মানুষ
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ০৫:২২ পিএম, ৯ এপ্রিল ২০২৪ মঙ্গলবার
নাড়ির টানে প্রতিদিন নারায়ণগঞ্জ ছাড়ছে হাজারো নগরবাসী। কর্মজীবী মানুষরা ঈদুল ফিতরকে কেন্দ্র করে শেকড়ের টানে গ্রামে ফিরছে। পেটের দায়ে আপন মানুষ ও ঘড় ছেড়ে আসা নিম্নবিত্ত-মধ্যবিত্ত-ধনী-গরীব মানুষগুলো ঈদে পরিবারের সদস্যদের মুখে হাসি ফোঁটাতে ঘরে ফিরছেন। ঈদ-উল-ফিতর আসন্ন। বাস, লঞ্চ -সবখানেই ঘরমুখো মানুষের পদচারণা। গত কয়েক দিনের তুলনায় গতকাল সোমবার বেশিসংখ্যক মানুষ শহর ছেড়েছে।
তবে এবারের ঈদযাত্রা অনেকটা স্বস্তিদায়ক। নারায়ণগঞ্জ থেকে বের হওয়ার মুখগুলোতে যানজট নেই, নেই দূরযাত্রার দুর্ভোগ। বাস টার্মিনাল ঘুরে দেখা গেছে, সড়ক পথে শুরুর দিকে যাত্রী কম থাকলেও বর্তমানে যাত্রীর ভিড় বেড়েছে। নির্ধারিত সময়ে বাস ছেড়ে তার নির্দিষ্ট স্থানের পৌছানোর আশার রওনা দিচ্ছে। তবে ভাড়া বেশি নেওয়ার অভিযোগ করেছে যাত্রীরা।
গত কয়েকদিনে তুলনায় এখন নৌপথেও যাত্রী সংখ্যা বেশি। সদর, ফতুল্লা ও মুন্সিগঞ্জ লঞ্চঘাটে যাত্রীর বিচরণ বেড়েছে। ঘরমুখো যাত্রীরা বলছেন, এবারের ঈদে লম্বা ছুটি পাওয়ায় নগরবাসীর বাড়ি ফেরার সংখ্যা বেড়েছে। এমনিতেই স্বজনদের সঙ্গে ঈদ করতে নারায়ণগঞ্জ প্রায় ফাঁকা হয়ে যায় ঈদের সময়, তবে এবার লম্বা ছুটি পাওয়ায় আরও বেশি মানুষ নগর ছাড়ছে বলে মনে করছেন তারা।
নৌপথে যাতায়াতকারী রতন নামের এক যাত্রী বলেন, এবার ঈদে লম্বা ছুটি। আমাদের অফিসে আজকে থেকে ছুটি দিয়েছে। তাই দেরি করি নাই দুপুরে পর থেকেই রওনা দিচ্ছি। চাদরাতের দিন তো জায়গায় পাওয়া যাবে না।
ঈদের ছুটিতে ফরিদপুরে যেতে বাস স্ট্যান্ডে এসেছেন মরিয়ম বেগম। তিনি বলেন, আজ থেকে ঈদের ছুটি পেয়েছি। আগে থেকেই প্রস্ততি নেওয়া ছিল। ছুটি পেয়েই বাসায় প্রস্তুত করা ব্যাগ নিয়ে রওনা করেছি। ঘরে ফেরা মানুষের চাপ বেড়েছে। এছাড়া আমাদের ঈদযাত্রা এখন নির্বিঘ্ন বলা যায়।
বাস টার্মিলান কাউন্টার মাস্টাররা বলেন, গত কয়েকদিন যাত্রী তেমন ছিলো। আজকে একটু বেশি। সবাই তো চায় পরিবারের সাথে হাসি-খুশি ভাবে ঈদটা পালন করতে। আশা করি কালকে যাত্রীর চা আরো বেশি থাকবে।
টিকিটের মূল্য বাড়ার কারণ জানতে চাইলে তারা বলেন, বাসটা রংপুর, রাজশাহী আরো বিভিন্ন জায়গায় যাতায়াত করছে এখন। নারায়ণগঞ্জ থেকে যাওয়ার সময় তো যাত্রী নিয়েই যায় কিন্তু আসার সময় তো কোনো যাত্রী পাওয়া যায় না। খালি বাসটা সেখান থেকে নারায়ণগঞ্জে আসে। তাই সেই হিসাব করে আমরা এবটু ভাড়া বাড়তি নিচ্ছি। এন. হুসেইন রনী /জেসি