রোববার   ০৬ অক্টোবর ২০২৪   আশ্বিন ২১ ১৪৩১   ০২ রবিউস সানি ১৪৪৬

মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধান

স্টাফ রিপোর্টার

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৩:৪০ পিএম, ১ সেপ্টেম্বর ২০২৪ রোববার


বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলন চলাকালিন গত ১৮ জুলাই নারায়ণগঞ্জে শিক্ষার্থীদের উপর দেশি অস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর ছাত্র লীগ। সেই দিন দুপুরে তোলারাম কলেজের সামনে থেকে বড় বড় রামদা, লাঠি, পিস্তল ও দেশিয় অস্ত্র নিয়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালায় মহানগর ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সম্রাট, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধান সহ আরও অনেকে।

 

 

সেই দিন দুপুর থেকে বিকাল পর্যন্ত তাদের নেতৃত্বে কয়েকশত ছাত্র লীগের নেতাকর্মী চাষাঢ়া মোড়ে পুলিশের সাথে শিক্ষার্থীদের মারধর করেন। তার পরের দিন শুক্রবার ১৯ জুলাই দুপুরে শামীম ওসমান ও তার ছেলে অয়ন ওসমানের সাথে নারায়ণগঞ্জ ক্লাবের সামনে পিস্তল উঠিয়ে শিক্ষার্থীদের উপর গুলি চালায় এই ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।

 

 

এছাড়াও আগস্টের ৪ তারিখ ও ৫ তারিখের দুপুর পর্যন্ত উত্তর চাষাঢ়া গলির ভেতর থেকে শিক্ষার্থীদের লক্ষ করে গুলি চালায় ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হাবিবুর রহমান রিয়াদ, জেলা ছাত্র লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাফেল প্রধান, মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সম্রাট, মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধান সহ আরও কয়েকজন। সেই দিন ছাত্রলীগের গুলিতে কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হয়।

 

 

কিন্তু নারায়ণগঞ্জে বিভিন্ন থানায় শামীম ওসমান, অয়ন ওসমান, আজমেরী ওসমান, তানভীর আহমেদ টিটু, ফয়েজ উদ্দিন লাভলু, খোকন সাহা, লিটন সাহা, হাবিবুর রহমান রিয়াদ, রাফেল প্রধান, কামরুল হাসান মুন্না, আব্দুল করিম বাবু সহ অনেকের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হলেও মামলা হয়নি মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধানের বিরুদ্ধে।

 

 

কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় তাদের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর দফায় দফায় হামলা চালায় নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগ। এছাড়াও গত এক বছরে কমিটি পাওয়ার পর থেকে ব্যাপক অভিযোগ রয়েছে নারায়ণগঞ্জ মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সম্রাট ও সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধানের বিরুদ্ধে। মহানগর ছাত্রলীগের সভাপতি মেহেদী হাসান সম্রাট ছিলেন একজন চাঁদাবাজ।

 

 

প্রতিদিন চাষাঢ়া কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে সামনে থেকে হকারদের কাছ থেকে কর্মীদের দিয়ে হাজার হাজার টাকা চাঁদা তুলতেন মেহেদী হাসান সম্রাট। এছাড়াও অনেক দোকানে সিগারেট কিনে টাকা দিতেন না সে এমনও অভিযোগ রয়েছে তার বিরুদ্ধে। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নাই থাকায় হতভাগ সাধারণ জনগণ। এছাড়াও মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক রাসেল প্রধান বন্দরের বিভিন্ন ওয়ার্ডে করতেন চাঁদাবাজি।

 

 

বন্দর ঘাট থেকে খান মাসুদের কাছ থেকে ইজিবাইকের একটি চাঁদার বড় অংশ পেতেন রাসেল প্রধান। মহানগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পদ বিক্রি করে হাট-ঘাট সহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে হুমকি-দুমকি দিয়ে করতেন চাঁদাবাজি। সেও ৫ই আগস্ট বন্দর ঘাটের সামনে খান মাসুদের সাথে অনেক শিক্ষার্থীদের মারধর করেছে। কিন্তু তার বিরুদ্ধে কোন মামলা নেই।

 

 

ওসমান পরিবারের সকলে মামলার আসামি হলেও পার পেয়ে যাচ্ছেন মহানগর ছাত্র লীগের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক। কিন্তু সে দিন তাদের ছিলো অনেক বড় ভুমিকা। তাদের নেতৃত্বে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা হয়েছিলো।    এন. হুসেইন রনী  /জেসি