মঙ্গলবার   ১২ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ২৮ ১৪৩১   ১০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

নাসিকের আওতাভূক্ত হচ্ছে ফতুল্লা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ১২:১৯ এএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শনিবার


এবার বক্তাবলী ইউনিয়ন সহ ফতুল্লা থানার পাঁচটি ইউনিয়নকেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতায় নেয়ার কাজ চলছে। নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি ও সাবেক সংসদ সদস্য আলহাজ্ব মুহম্মদ গিয়াস উদ্দিন আন্তরিকভাবে এই প্রচেষ্ঠা চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি জানিয়েছেন বক্তাবলী ইউনিয়নও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাভূক্ত হবে।

 

 

গিয়াসউদ্দিন বলেন, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই যতো তাড়াতাড়ি সম্ভব এসব ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতায় চলে আসবে। তিনি বলেন ফতুল্লার পাঁচটি ইউনিয়নকেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতায় নেয়া হচ্ছে। এবং এটা করা হবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে এমন কি আগামী সিটি করপোরেশন নির্বাচনের আগেই ফতুল্লাকে নাসিকের আওতাভূক্ত করা হবে বলে গিয়াসউদ্দিন জানান।

 

 

তিনি আরো বলেন, এই মুহুর্তে শিল্প এলাকা ফতুল্লা যে অবস্থানে আছে তাতেই অনেকটা বিলম্ব হয়ে গেছে এবং উন্নয়নে পিছিয়ে গেছে। তাই আমি আন্তরিকভাবে চেষ্ঠা করছি ফতুল্লাকে সিটি করপোরেশনের আওতায় নিতে। এ কাজে আমি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক মহোদ্বয় এবং প্রশাসনের আন্তরিক সহযোগীতা কামনা করছি। এরই মাঝে ফতুল্লাকে সিটি করপোরেশনে নেয়ার কাজ অনেকটাই গুছিয়ে এনেছি। তাই শিগগগিরই এর সুফল ফতুল্লা থানা এলাকাকার বাসিন্দারা পাবেন বলে আমি আশা করছি।

 


এ সময় তিনি আরো বলেন, ফতুল্লা থানা এলাকাটি ঢাকা ও নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের মধ্যবর্তী এলাকা। অত্র এলাকায় হাজার হাজার  ছোট বড় শিল্প কারখানা রয়েছে। তাই এসব এলাকায় বাস করেন অন্তত দশ লাখ শ্রমিক। কিন্তু টানা দেড় যুগ একটি স্বৈরাচারী সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থাকায় এবং দুইজন অদক্ষ অযোগ্য এবং লুটেরা ব্যাক্তি অত্র থানা এলাকার এমপি হওয়ায় ফতুল্লাকে সিটি করপোরেশনের আওতায় নেয়া হয় নাই। বরং আগের এমপি বাধা প্রদান করেছেন।

 

 

যার ফলে দেশের অন্যতম কর প্রদানকারী এলাকা হওয়া সত্বেও গোটা ফতুল্লা থানা এলাকা রয়ে গেছে পরিকল্পিত উন্নয়নের বাহিরে। তাই এই মুহুর্তে ফতুল্লাকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাভূক্ত করাকে আমি এক নম্বর অগ্রাধিকার দিয়ে কাজ করে যাচ্ছি। আশা করি খুব শিগগিরই এ ব্যাপারে আমরা সফল হবো ইনশাআল্লাহ।

 


ফতুল্লার উন্নয়ন নিয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আপনারা দেখেছেন ২০০৬ সালে ফ্যাসিষ্ট আওয়ামী লীগ রাষ্ট্র ক্ষমতা দখল করার পর থেকে ফতুল্লার উন্নয়নের জন্য কোনো চেষ্ঠাই করা হয় নাই। উন্নয়নের নামে শত শত কোটি টাকা এনে তা লুটপাট করা হয়েছে। অথচ স্থানীয় এমপি যদি কেবল মাত্র ফতুল্লার পাঁচটি ইউনিয়নকে সিটি করপোরেশনের আওতায় নিয়ে যেতো তাহলে উন্নয়নের জন্য আর কোনো কিছুই করতে হতো না।

 

 

সিদ্ধিরগঞ্জ এবং বন্দরে যেমন উন্নয়ন হয়েছে তেমন উন্নয়ন ফতুল্লায়ও হতো। তাই আমি মনে করি এই মুহুর্তে যদি আমরা ফতুল্লাকে নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনে আওতায় নিয়ে যেতে পারি তাহলে পরিকল্পিত উন্নয়নের জন্য কোন মন্ত্রী বা এমপির মুখাপেক্ষি হয়ে বসে থাকতে হবে না। কারণ সিটি করপোরেশনের মাধ্যমে উন্নয়ন ফান্ড আসবে বিদেশ থেকে। আর উন্নয়ন হবে পরিকল্পিত মাস্টার প্ল্যানের মাধ্যমে।

 


বক্তাবলী ইউনিয়নকেও সিটি করপোরেশনের আওতায় নেয়া হবে কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিশ্চয়ই। বক্তাবলীসহ ফতুল্লার পাঁচটি ইউনিয়নকেই নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাভুক্ত করা হবে ইনশাআল্লাহ।

 

 

এ বিষয়ে তিনি নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসকের হস্তক্ষেপ চেয়েছেন। তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের জেলা প্রশাসক এ বিষয়ে আন্তরিকভাবে চেষ্ঠা করছেন। তাই খুব শিগগিরই উন্নয়নের পিছিয়ে পড়া ফতুল্লার পাঁচটি ইউনিয়ন নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের আওতাভূক্ত হবে ইনশাআল্লাহ।     এন. হুসেইন রনী  /জেসি