মঙ্গলবার   ১২ নভেম্বর ২০২৪   কার্তিক ২৮ ১৪৩১   ১১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

শামীম ওসমানকে ব্যবহার করে নদী দখলে লিপ্ত ছিলেন মাসুম

এম মাহমুদ

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৪:৫৮ পিএম, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৪ শনিবার

 

 

নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান যার আগমন ঘটলেই সে এলাকার পরিস্থিতি থাকত থমথমে। কিন্তু শামীম ওসমান রাজনীতিতে বাঘ সেঁজে থাকলেও টাকার জন্য কখনো হতেন বিড়াল। কেননা সোনারগাঁয়ের চেঙরা মাসুম খ্যাত রাজনীতিতে বিচক্ষণ সাঁজতে ইঞ্জি ট্যাগ লাগিয়ে সব জায়গায় নাম লিখাতেন ইঞ্জি মাসুম। 

 

আর এই ইঞ্জি মাসুম পাল্লায় পড়ে গডফাদার শামীম ওসমান টাকার লালসায় বিড়াল হয়ে সোনারগাঁয়ের মেঘনা চরঞ্চাল এলাকা পিরোজপুর ইউনিয়নে সর্বদা আগমন ঘটাতেন। সেখানে বৃহৎ শিল্প প্রতিষ্ঠানের হয়ে জমি দখল, নদী দখল, বালু ভরাটের মত কাজ শামীম ওসমানকে দিয়ে পরিদর্শন করিয়ে সে কাজগুলো ক্ষমতার প্রভাবে বাস্তাবায়ণ করতেন চেঙরা মাসুম।

 

সূত্র বলছে, গত দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের পর পরই হঠাৎ সকাল দিকে একাই সোনারগাঁয়ের আগমন ঘটান নারায়ণগঞ্জের গডফাদার শামীম ওসমান। সব সময়ের মত সেদিন ছিল না কোন নেতাকর্মী বা তার জন্য বিশেষ নিরাপত্তা বা বিপুল নেতাকর্মীদের সমাগম। কারণ সেদিন শামীম ওসমান এসেছিলেন পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান চেঙরা মাসুমের নিমন্ত্রণে পিরোজপুর ইউপি জুড়ে বিস্তৃত মেঘনা নদী পরিদর্শনে। কারণ এর আগেও শামীম ওসমানের ছত্রছায়ায় এই চেঙরা মাসুম পিরোজপুর ইউপি শিল্পনগরী গড়ে উঠায় শিল্প প্রতিষ্ঠানের জন্য অবৈধ ভাবে নদী গর্ভ দখল করে বালু ভরাটের মাধ্যমে শত শত একর জুড়ে বিভিন্ন স্থাপনা তুলে দিতেন মাসুম। 

 

আর সেসকল কাজের সন্ধানে প্রায়ই পিরোজপুর এলাকায় চেঙরা মাসুমের নিমন্ত্রণে যাতায়াত করতেন শামীম ওসমান। শামীম ওসমানের নির্দেশ পেলেই চেঙরা মাসুমের নেতৃত্বে রাতের আঁধারে ড্রেজারের মাধ্যমে বালু ভরাটের মাধ্যমে মেঘনার নদী তীরবর্তী এলাকা দখল করা হত। যেখানে সাধারণ মানুষের অনেক ভূমি ছিল। এরমধ্যে পিরোজপুর ইউপির মেঘনার শাখা নদী মেনীখালি নদী বলা হয় সেই নদীর আষাঢ়িয়াচর থেকে দুধঘাটা এলাকা পর্যন্ত পরিদর্শন করলেই দেখা যায়।

 

 শত শত একর জমি দখল করে নদীর তীরবর্তী জুড়ে মেঘনা গ্রুপের বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠান গড়ে উঠেছে। আর এসকল শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য ড্রেজার দিয়ে বালু ভারাট করে নদী দখল করে জমি করে সেখানে স্থাপনা গড়ে তুলতেন মাসুম। এভাবে প্রতিনিয়ত পিরোজপুর ইউপির মেঘনা নদী বিস্তৃত বিভিন্ন এলাকায় নদী দখল করে কখনো সাধারণ মানুষের জমি দখল করে বালু ভরাট পরবর্তীতে নামমাত্র মূল্যে জমিগুলো বিভিন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান গ্রুপ ইন্ডাষ্ট্রির নিকট প্রেরণ করতেন এই চেঙরা মাসুম।

 

 তারই অংশ হিসেবে পিরোজপুর ইউপির ভাটিবন্দর থেকে শুরু করে বৈদ্যারবাজার ইউপি সীমানাবর্তী মেঘনা নদী পর্যন্ত অংসখ্য মানুষের জমি দখল করে রাতের আধারে বালু ভরাট করেন। এছাড়া এসকল জমিতে বালু ভরাটকে কেন্দ্র হত্যাও হয়। তবে এসকল অবৈধ কাজ অপরাধ করে বরাবর পার পেয়ে যেতেন শিল্পপ্রতিষ্ঠানে শেল্টার ও রাজনৈতিক ছাত্রছায়া হিসেবে গডফাদার শামীম ওসমানের মাধ্যম। কেননা শামীম ওসমানকে ব্যবহার করে নদী দখলে লিপ্ত ছিলেন মাসুম। এমনকি এই অবৈধ কাজের অর্থের ভাগও শামীম ওসমান পার্সেন্টেজ আকারে গ্রহণ করতেন।