আবারো তৎপর আ.লীগ নেতা জুয়েল ও মোমিন
যুগের চিন্তা রিপোর্ট :
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১০:৫৫ পিএম, ২১ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার
সদর উপজেলার কাশীপুরে এক সময়ের গার্মেন্টস কর্মকর্তা জুয়েল প্রধান ও মোমিন আওয়ামী লীগের আমলে চতুর প্রকৃতির বুদ্ধিমাত্তায় কুটকৌশলী হওয়ায় রাজনীতিকে অর্থনৈতিক পরিবর্তনের জন্য ঢাল হিসেবে বেছে নিয়ে ফতুল্লা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ¦ এম. সাইফুল্লাহ বাদলের হাতকে বেছে নেন। পরবর্তীতে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে উত্থান ঘটিয়েই হয়ে উঠেন দুর্ধর্ষ হয়ে ভূমি জবর দখলসহ বিভিন্ন অপরাধমূলক কার্যকলাপের সাথে জড়িয়ে পড়েন। এদিকে জুয়েল প্রধানের ভাতিজা দুর্ধর্ষ রাজু প্রধান ও সাজু প্রধানকে কাশীপুর ৭নং ওয়ার্ডের নূর মসজিদ, প্রধান বাড়ি, আদর্শনগর এলাকায় আধিপত্য বিস্তার করতে সহযোগী করেন আর সেই পুরো এলাকায় ছড়িয়ে দেন মাদকদ্রব্য আর যার শেল্টার এক সময়ে প্রকাশ্যে আবার এক সময় গোপনে দিতেন জুয়েল প্রধান ও মোমিনুর রহমান মোমিন।
সেই সুবাদে তাদের ভাতিজাদের গুন্ডা বাহিনীর মাধ্যমে কাশীপুরে দখল দারিত্ব, এককগুচ্ছভাবে ইট-বালুর ব্যবসা পরিচালনা করতেন এই রাজু প্রধান ও মোমিন। এ সময় জুয়েল প্রধান বনে যান কাশীপুর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও মোমিন বনে যান কাশীপুর ইউনিয়ন যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। পরবর্তীতে কাশীপুর বাংলাবাজার এলাকায় সরকারি জায়গা দখল করে আওয়ামী লীগের কার্যালয় তৈরি করে এম. সাইফুল্লাহ বাদলকে ‘আব্বা’ ডেকে সেখানে বিচার করে অর্থ বাণিজ্যে, মামলা বাণিজ্যে, চোরাই গ্যাস সিন্ডিকেট, মানুষদের ভয়-ভীতি দেখিয়ে খাড়া দলিলে কম দামে জোরপূর্বক জায়গা দখল করে বনে যান কোটি কোটি টাকার মালিক। ইতিমধ্যে কাশীপুর জুড়ে প্রায় ৫ টি বাড়ির মালিক এই গার্মেন্টস কর্মকর্তা জুয়েল প্রধান একই সাথে তার বন্ধু মোমিন ও গড়ে তুলেছেন বাড়ি ও কিনেছেন কয়েকটি জমি।
ক্ষমতায় থেকে এতোটাই টাকার পাহাড় গড়ে তুলেন এই জুয়েল প্রধান যে এই সামান্য গার্মেন্টস কর্মী কাশীপুর ৭ নং ওয়ার্ডে মেম্বার হিসেবে দাড়িয়েছিলেন কিন্তু পাস করতে পারেনি। সেই কারণে সাইফুল্লাহ বাদলের সাথে একটু ফাটল ধরে জুয়েলের। পরবর্তীতে তিনি বেশি সময় দিতে শুরু করেন বাংলাদেশ নৌ শ্রমিক কর্মচারী সমিতি নারায়ণগঞ্জ জেলার সাথে। সে সময় সেখানকার সভাপতি চাঁদাবাজ সবুজ সিকদারের সাথে আতাঁত করে তার কাছ থেকে ও শ্রমিকের টাকা আত্মসাৎ করেন এই জুয়েল প্রধান। এদিকে মোমিন এককভাবে ইট বালুর ব্যবসা, জমি ব্যবসায় লেগে থাকেন। কিন্তু কাশীপুর ছেড়ে বাহিরে থাকলে ও বিতর্ক যেন পিছু ছাড়েনি জুয়েল প্রধানের গত বছরের (২৯ আগষ্ট) কাশীপুরের আফজাল হত্যা মামলার আসামী থাকায় গ্রেফতার হন তিনি।
যে পরিপ্রেক্ষিতে এলাকায় কোনঠাসা হয়ে পরেন তিনি। এভাবেই গত ৫ আগষ্ট ছাত্র-জনতার আন্দোলনে স্বৈরাচারী শেখ হাসিনা পদত্যাগ করে দেশ ছেড়ে পালিয়ে গেলে এই জুয়েল প্রধান ও মোমিন কাশীপুর থেকে পালিয়ে গাঁ ডাকা দেন। কিন্তু মাসখানিক পেরুলে কিছু বিএনপি নেতাকর্মীদের সাথে আঁতাত করে আবারো এলাকায় ফিরে এসেছেন এই জুয়েল প্রধান ও মোমিন। বিগত দিনে কেনঠাসা হয়ে থাকা এই বাহিনী আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন। বর্তমানে ভাতিজা রাজু প্রধান ও সাজু প্রধানের দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসীদের ভয় দেখিয়ে আবারো আধিপত্য বিস্তারে মরিহা হয়ে উঠেছেন এই দুই আওয়ামী লীগ নেতা। বর্তমানে অন্যের খালি জায়গা দখল করে দোকান উঠিয়ে ভাড়া দেওয়াসহ বিভিন্ন দোকান দোকানে চাঁদাবাজি শুরু করেছেন এই দুই আওয়ামী লীগ নেতার সাঙ্গপাঙ্গরা।
সূত্র জানিয়েছে, এই আওয়ামী লীগ নেতা জুয়েল প্রধান ও মোমিনের বিরুদ্ধে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে সরাসরি হামলা ও বিভিন্ন সময় নির্দেশ দিয়ে ছাত্র ছাত্রদের উপরে হামলা চালনোর অভিযোগ রয়েছে। এ ছাড়া বর্তমানে এদের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ স্থানীয়রা। এদিকে গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ফতুল্লার দেলপাড়া এসবি গার্মেন্টস সংলগ্ন আন্দোলনের মিছিলে আওয়ামী লীগ- যুবলীগ-ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা অজস্র হামলা চালায় সে হামলায় নিহত হন ইয়াসিন নামের এক যুবক। সে হত্যার ঘটনায় গত ৫ আগষ্টের পর নিহত ইয়াসিনের বড় ভাই সিপন বাদী হয়ে ফতুল্লা মডেল থানায় ২১৩ জনের নাম উল্লেখ ও ১১০/১২০ জনকে অজ্ঞাত করে মামলা দায়ের করেন।
সেই মামলায় ৮৪ নাম্বার আসামী হিসেবে রয়েছেন জুয়েল প্রধান। এ বাহিরে ও আরো বহু মামলার আসামী ছিলেন তিনি। এ ছাড়া আওয়ামী লীগ নেতা মোমিনের বিরুদ্ধে ও ছাত্র আন্দোলনে হত্যা মামলার আসামী হয়েছেন বলে ও শোনা যাচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে আওয়ামী লীগের এই দোসররা আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে কাশীপুরে বর্তমানে তাদের অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে পরেছেন এলাকাবাসী। এদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ব্যবস্থা নিতে ও কাদের ছত্রছায়ায় আবারো বেপরোয়া হয়ে উঠেছেন এই বাহিনী এই দুই দিকে কড়া নজর দিতে যৌথবাহিনীর প্রতি হস্তক্ষেপ কামনা করছেন এলাকাবাসী।