দক্ষ রেমিট্যান্স যোদ্ধার প্রশিক্ষণশালা রূপগঞ্জে স্কিল ইনস্টিটিউশন
রূপগঞ্জ প্রতিনিধি
যুগের চিন্তা
প্রকাশিত : ১১:০২ পিএম, ২৭ অক্টোবর ২০২৪ রোববার
অবৈধ পথে নয়; বৈধ পথে প্রবাসে দক্ষ জনশক্তি পাঠানো ও কাজে স্থায়ীকরনে দিন দিন বাড়ছে অনুমোদিত কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের চাহিদা।
এসব কেন্দ্র প্রবাসী শ্রমিকদের বৈধ কর্মসংস্থান পেতে জাতীয় দক্ষতা উন্নয়নের আঁওতায় দক্ষ করে গড়ে তুলছেন। এর মাঝে নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জের এশিয়া স্কিল ইনস্টিটিউশন থেকে ইতোমধ্যে কারিগরি প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বৈদেশিক কর্মসংস্থান ও দক্ষ রেমিট্যান্স যোদ্ধা তৈরী হয়েছে প্রায় ৪০ হাজারজন।
রূপগঞ্জের হারিন্দায় এশিয়া স্কিল ইনস্টিটিউট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্র ঘুরে দেখা যায় কেউ রড বাঁধাই করছেন। পাশে দাড়িয়ে হাতে কলমে শেখাচ্ছেন প্রশিক্ষক। কেউবা ইট গাঁথুনি আবার কেউ টাইলস বসানোর কাজ করছেন নিঁখুতভাবে। কেউবা পেইন্টিং কাজে রং তুলির ছোঁয়া ব্যস্ত।
অনেক তরুণকে ফ্রিল্যান্সিংসহ নানা বিষয়ে কারিগরি প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ শ্রমিক তৈরী করতে দেখা গেছে। শ্রমিক তৈরীতে বেশ কয়েকটি কারিগরি প্রতিষ্ঠান এভাবেই কাজ করছেন বলে জানিয়েছেন প্রশিক্ষণরত শ্রমিকরা।
সূত্র জানায়, রূপগঞ্জের হারিন্দার এশিয়া স্কিল ইনস্টিটিউট থেকে শুধুমাত্র ২০২৩- ২০২৪ সালেই ১৭ হাজার জন শ্রমিকসহ বিগত ১০ বছরে প্রায় ৩০ হাজার দক্ষ শ্রমিক জাপান, কোরিয়া,মালয়েশিয়া, সিঙ্গাপুর, আরব আমিরাত, সৌদিসহ বিভিন্ন রাষ্ট্রে কর্মসংস্থান পেয়েছেন। তাই নতুনরাও দক্ষতা অর্জনে সনদ পেতে কারিগরি প্রশিক্ষণে ঝুঁকছেন।
কুমিল্লা থেকে আসা আল আমিন প্রবাসী শ্রমিক হিসেবে প্রশিক্ষন নিতে এসেছেন এখানে। কথা হলে তিনি বলেন,আমি কন্সেন্ট্রাকশন কাজ কিছুটা জানি। তবে সনদ নাই। আর বিদেশে কাজ পেতে সনদ ও দক্ষ হতে হয়। এতে মুজুরী ভালো পাওয়া যায়। তাই আগেই প্রশিক্ষণ নিচ্ছি। পরে সিঙ্গাপুর যাবো। এ ধরনের কাজে।
কথা হয় এশিয়া স্কিল ইনস্টিটিউট কারিগরি প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের চেয়ারম্যান আব্দুর রহমান শাহিনুরের সঙ্গে। তিনি বলেন, দেশের বৃহত্তর রাজস্বের উৎস প্রবাসী আয়ের রেমিট্যান্স থেকে। অথচ প্রবাসীদের দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তরের আয়োজন দেশ ব্যাপি যতসামান্য। দেশের জনসংখ্যাকে জনশক্তিতে রূপান্তর করে বৈদেশিক কর্মসংস্থানে অংশ নিতে পারলে এখাতে সাফল্য আসবে দিগুন। তাই কারিগরি শিক্ষাকে সরকারীভাবে গুরুত্ব দেয়া জরুরি বলে মনে করেন প্রতিষ্ঠান পরিচালকরা।
আব্দুর রহমান শাহিনুর মোল্লা আরও বলেন, বৈধ পথে বিদেশ যাওয়া নিরাপদ। ব্যাংকের মাধ্যমে দেশে টাকা পাঠালে রেমিট্যান্স পায় দেশ। এসব বিষয়েও শ্রমিকদের দক্ষ করে, সচেতন করতে কাজ করছি আমরা।
প্রধান প্রশিক্ষক আবুল কালাম বলেন, দেশের বেকার সমস্যার সমাধানে গতানুগতিক শিক্ষা ব্যবস্থার পাশাপাশি কারিগরি শিক্ষার প্রসার ঘটানোর দাবী পুরনো। তবে সরকারী আয়োজন কম থাকায় ভরসার মাধ্যম এখন বেসরকারি কারিগরি প্রশিক্ষণ প্রতিষ্ঠানগুলোই।
আমরা এশিয়া স্কিল ইনস্টিটিউট নামীয় প্রতিষ্ঠান থেকে প্রতি বছর ৩ মাস, কোনটায় একমাসের কোর্স চালু রেখেছি। বিভিন্ন এজেন্সির লোকজনের শ্রমিকরাও আমাদের এখান থেকে প্রশিক্ষণ নেয়। জাতীয় দক্ষতা উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের আওতায় এসব প্রশিক্ষণ মান সম্পন্ন ও আন্তর্জাতিক মানদন্ড রক্ষা করে। ফলে আমাদের প্রতিষ্ঠানের সাফল্যের ধারাবাহিকতা রয়েছে।