বুধবার   ১১ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২৭ ১৪৩১   ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

কিল-ঘুষিতে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন বন্দর বিএনপির সভাপতি হিরণ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট :

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:৫৮ পিএম, ২৮ অক্টোবর ২০২৪ সোমবার

আদালতপাড়ায় মদনপুর ইউনিয়নের শিল্পপতি সুরুজ মিয়ার সহযোগী কাবিল বাহিনীর হাতে লাঞ্ছিত হয়েছেন বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণ। এ সময় সেই গ্রুপের এলোপাথাড়ি কিল ঘুঁষি ও লাথি মারলে মাটিতে লুটিয়ে পরেন হিরণ। এতে গুরুতর আহত হয়েছেন তিনি। গতকাল রবিবার (২৭ অক্টোবর) সকালে নারায়ণগঞ্জ আদালতপাড়ায় এ ঘটনা ঘটে।


 
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, দীর্ঘ ২০ বছর যাবৎ মদনপুরের একতা মার্কেট কমিটি দখলে নিয়ে রেখেছিলেন সেখানকার শিল্পপতি সুরুজ মিয়া বাহিনী। যা নিয়ে পুরোই ইউনিয়ন জুড়ে নিয়মিতই চলতো নানা আলোচনা-সমালোচনা। এদিকে গত ৫ আগষ্ট পটপরিবর্তনের পর দখলে থাকা অনেক সেক্টর বা সমিতি-কমিটি দখলমুক্ত হয়েছেন। যাকে ঘিরে এই কমিটিকে দখলমুক্ত করে যোগ্যতা যাচাই করে কমিটি গঠনের উদ্যোগ নেন বাকি সদস্যরা। এদিকে বিগত দিনে এই মার্কেট সমিতির সেক্রেটারী ছিলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের ভাই রফিকুল ইসলাম ভূঁইয়া।

 

সেই সুবাদে সদস্য অনেকেই হিরণের পরামর্শে সুরুজ মিয়াকে পূনরায় নির্বাচন দিয়ে কমিটি গঠনের চাপ দিলে তিনি এই মার্কেট কমিটিতে থাকতে হাইকোর্ট বিভাগে রিট দায়ের করেন। কিন্তু সেটার কোন ভিত্তি না থাকলে হাইকোর্ট সেই রিট বাতিল করে দিলে ও তিনি এখানে বহাল থাকতে দীর্ঘদিন যাবৎই সন্ত্রাসী বাহিনী ব্যবহার করছিলেন। এদিকে তার এমন কর্মকাণ্ডের পর সেই মার্কেট কমিটির বাকি সদস্যরা জেলা প্রশাসকের বরাবর লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। সেই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে জেলা প্রশাসক (ডিসি) মাহমুদুল হক দুই পক্ষকে ডাকেন। সে সময় বাকি সদস্যসহ সুরুজ মিয়া ও তার বাহিনী সেখানে আসনে সর্বশেষ আলোচনা শেষ করে সুরুজ ও তার কবিল বাহিনী নিচে আসলে আদালতপাড়ায় হাজিরা দিতে আসা মাজহারুল ইসলাম হিরণকে দেখেই তার উপরে অতর্কিত হামলা চালায়। হামলায় গুরুত্বর আহত হন তিনি। এদিকে এই সুরুজসহ কাবিল বাহিনী বন্দর বিএনপির একজন প্রভাবশালী এক নেতার সাথে তার উঠা বসা বলে শোনা যাচ্ছে।
 


এছাড়া হামলার সময় স্থানীয় একটি গণমাধ্যমের ভিডিওতে দেখা যায়, সেখানে হিরণকে মারধর করছেন সবুজ গেঞ্জি ও র্শাট পড়া কয়েকজনের একটি গ্রুপ। তারা এলোপ্যাথারী কিল, ঘুষি, লাথিসহ অস্রাব্য ভাষায় হিরণকে গালিগালাজ করতে দেখা যায়। এক পর্যায়ে হিরণের গায়ের পাঞ্জাবি ছিড়ে যায়। এরপর আদালতপাড়ায় থাকা কয়েকজন মুহুরী ও লোকজনের সহযোগিতায় তিনি রক্ষা পান।


 
এ ব্যাপারে বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি মাজহারুল ইসলাম হিরণের কাছে এ বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি এ বিষয় নিয়ে কিছু বলতে রাজি নন। এদিকে এ ব্যাপারে তাদের বিরুদ্ধে আইনগতভাবে কোন কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে কিনা জানতে চাইলে ও তিনি বলেন এখন আমি কিছুই বলতে পারছি না বাকিটা পরে দেখা যাবে।