বুধবার   ১১ ডিসেম্বর ২০২৪   অগ্রাহায়ণ ২৭ ১৪৩১   ১০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

অবহেলায় বাবুরাইল খাল ডাস্টবিনে পরিণত

যুগের চিন্তা রিপোর্ট :

যুগের চিন্তা

প্রকাশিত : ০৮:০৭ পিএম, ৩০ অক্টোবর ২০২৪ বুধবার

নারায়ণগঞ্জের সৌন্দর্য্য বৃদ্ধির লক্ষে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের পক্ষ হতে তৈরি শেখ রাসেল পার্কের খালের একাংশ বাবুরাইল খাল থেকে বাংলাবাজার ও জাউল্লাপাড়া লেক পর্যন্ত দায়িত্বরতদের অবহেলায় এখন ডাস্টবিনে পরিণত হয়েছে। গৃহস্থালি ও ফাস্টফুড দোকানে ময়লা আবর্জনার ছড়াছড়ি। গত ২০২২ সালে সিটি কর্পোরেশন খালটির সৌন্দর্য বর্ধন ও উন্নয়ন কাজ সমাপ্ত হয়েছে ঘোষণা করা হয়। তবে বছর না ঘুরতে যেন ময়লা-আবর্জনায় পরিপূর্ণ হয়ে গেছে খালটি। সেইসাথে দুর্গন্ধে মানুষের ভোগান্তি হচ্ছে, দূষিত হচ্ছে পরিবেশ পাশাপাশি মশারও প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে। 

 

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, এতো এতো টাকা ব্যয় করা বাবুরাইল খালটির অধিকাংশই ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে। পুরো বাবুরাইল ব্রিজ থেকে বাংলাবাজার শেষ সীমানা অধিকাংশ এলাকা পযর্ন্ত খালটিতে আবর্জনার স্তূপ জমে গেছে। স্থানীয় বাসিন্দারা কেউ কেউ ব্যবহার করছে ময়লা ফেলার স্থান হিসেবে। প্লাস্টিকের বোতল, ব্যাগ, গ¬াস ও থালা, কর্কশিট, কলাপাতা, বস্তা ও পলিথিন ব্যাগ, ফাস্টফুডের ময়লা, গৃহস্থালির ময়লা- কী নেই সেখানে। ময়লা-আবর্জনার মধ্যে ওড়াওড়ি করছে মশা-মাছি।

 


স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, কাশীপুরের বাংলাবাজার অংশে খালের উপর ময়লা-আবর্জনা ও পলিথিন ফেলে রাখা হয়েছে। পানিতে দুর্গন্ধে পরিবেশ দূষণ হচ্ছে। সেইসাথে মশার প্রজনন কেন্দ্রে পরিণত হয়েছে খালটি। খালের মন্ডলপাড়া অংশ কিছুটা স্বচ্ছ থাকলেও বাকী অংশ প্রায় পুরোটাই ময়লা-আবর্জনার ভাগাড়।
বাবু নামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, খালটির আশে পাশে যে লোকজন বসবাস করে তারা সরাসরি খালটিতে ময়লা ফেলছে। তারা কোনো বিধিনিষেধই মানছে না। তা ছাড়া আশপাশে ডাস্টবিন নেই, আবার মানুষও ভালো না তারা দু টাকা নষ্ট করে যে সিটি কর্পোরেশনের লোক রাখবে মংয়লা নেওয়ার জন্য তা ও করে না। এছাড়া খালের দুপাশে দাড়িয়ে ছেলেরা আড্ডা দেয়। আবার লেক করার কানো দুপাশে গড়ে ওঠেছে ফাস্টফুড সেই ফাস্টফুডের দোকানের ময়লা তারা খালেই ফেলে। আবার রাস্তারও পাশেও ফালায় রাখে।


ইব্রাহিম ব্রিজের একটু সামনেই দেখা যায় সড়কের ফুটপাতে পাশেই একটা মাঠের পাশে স্থানীয় লোকরা ময়লা ফেলে সেখানে। পাশাপাশি স্থানীয়ভাবেও কিছু ময়লা-আবর্জনা খালটিতে ফেলা হচ্ছে।


এদিকে কাশীপুর ইউনিয়নের (ঐ এলাকার) ৬ ও ৮ নং ওয়ার্ডের যতটুকু লেক রয়েছে পুরোটার মধ্যেই দায়িত্বরত ছিলো সিটি কর্পোরেশনের একজন কিন্তু তিনি অবহেলিতভাবে ফেলে রেখেছে খালটি।  কিন্তু তিনি তার দায়িত্ব অবহেলা করে এলাকার লোকদের কোন সতর্ক বার্তা না দিয়ে পুরো খালটি ডাস্টবিনে পরিণত করেছেন। সে কারণে রাতের বেলা দেখা যায় পলিথিনের মধ্যে বিল্ডিংয়ের উপর থেকে ঢিল মেরে নিচে ফেলে। আবার অনেকে রাতের আধারে চুপিসারে খালে ময়লা ফেলে যায়।


এ বিষয়ে নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ জাকির হোসেনের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করার চেষ্টা করা হলে ও ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।