Logo
Logo
×

বিশেষ সংবাদ

বাজারে ডিম-মুরগির দাম কমলেও পাড়া-মহল্লা নেই স্বস্তি  

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ০৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:৩৯ পিএম

বাজারে ডিম-মুরগির দাম কমলেও পাড়া-মহল্লা নেই স্বস্তি  
Swapno


অভিযান-জরিমানার পর নগরীর দ্বিগুবাবুর বাজারে কমতে শুরু করেছে মুরগি-ডিমের দাম। সপ্তাহখানেকের ব্যবধানে ডিমের হালিতে কমেছে ৪ টাকা ও মুরগির কেজিতে কমেছে ১৫ টাকা। তবে পাইকারি-খুচরার এ বাজারে নিত্যপন্যের মূল্য কিছুটা নিয়ন্ত্রনে আসলেও দাম কমেনি এলাকা ভিত্তিক দোকানগুলোতে। এতে বিপাকে পরেছে নগরী থেকে তুলনামূলক দূরে অবস্থানকারী জনসাধারণ। কমদামে নিত্যপন্য কিনতে দূরদূরান্ত থেকে আসতে হচ্ছে দ্বিগুবাবুর বাজারে।
 

 


গতকাল মঙ্গলবার (৫ নভেম্বর) সড়েজমিনে দেখা যায়, নগরীর দ্বিগুবাবুর বাজারে প্রতি হালি লাল মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে ৪৮ টাকায়, যেখানে পিস প্রতি ডিমের দাম পরছে ১২ টাকা। এছাড়াও হাসের ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৭০ টাকায়, দেশি মুরগির ডিম প্রতি হালি ৮৫ টাকায়, কক মুরগির ডিম বিক্রি হচ্ছে প্রতি হালি ৭৮ টাকায়।
 

 


এছাড়াও বাজারে ব্রয়লার মুরগি বিক্রি হচ্ছে প্রতি কেজি ১৮৫ টাকায়, কক মুরগি প্রতি কেজি ৩১০ টাকায়, লেয়ারের লাল মুরগি প্রতি কেজি ৩৩০ টাকায়, লেয়ারের সাদা মুরগি প্রতি কেজি ২৮০ টাকয়, খাসি মুরগি ৩৬০ টাকায় ও খাসি মোরগ ৩৮০ টাকায়।
 

 


তবে ভিন্ন চিত্র দেখা যায় খানপুর বউ বাজার, খানপুরের নগর বাজার, আমলাপাড়াসহ আশেপাশের বিভিন্ন এলাকায়। এলাকা ভিত্তিক  দোকানগুলোতে মুরগির লাল ডিম প্রতি পিস বিক্রি হচ্ছে ১৩ থেকে ১৪ টাকায়। সে হিসেবে লাল ডিমের হালি পরে ৫৪ টাকা। এছাড়াও ব্রয়লারের মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২১০ টাকা কেজি, কক মুরগি ৩৩০ টাকা কেজি,  লেয়ারের লাল মুরগি ৩৪০ থেকে ৩৫০ টাকা কেজি, লেয়ারের সাদা মুরগি বিক্রি হচ্ছে ২৯০-৩০০ টাকায়।
 

 


এলাকা ভিত্তিক দোকানগুলোতে ডিম-মুরগির দাম তুলনামূলক বেশি হওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেছে ক্রেতারা। দাম কমাতে প্রশাসেন ও সংশ্লিষ্টদের তদারকি চান তারা।
 

 


এ সময় বেসরকারি এক প্রতিষ্ঠানের চাকরীজীবী নিজাম মিয়া বলেন, ‘চাকরির জন্য টানবাজার আসা হয়, অফিসের আসা-যাওয়ার মধ্যেই একটু সময় করে দ্বিগুবাবুর বাজারে আসি। মাছ-মাংসের কথা নাইবা বললাম কিন্তু একটা মধ্যবিত্ত পরিবারের ডিম ছাড়া চলেই না। এলাকাগুলোতে একটা ডিমের দাম রাখে ১৩-১৪ টাকা। তাও যদি এক হালি কিনি তাহলে হালিতে ১ টাকা কম নেয়। এখন প্রতিদিন তো এই দ্বিগুবাবুজ বাজারে এসে বাজার করা যায় না, তাই একবারেই বেশি করে নিয়ে যাই। হটাৎ কোন দরকার পরলে এলাকা থেকেই বেশি দামে কিনতে হয়।
 

 


ক্ষোভ প্রকাশ করে খানপুর ৩০০ শয্যা হাসপাতালের কর্মরত ফাতেমা বলেন, একটু কমদামে নিত্যপন্য কিনতে এ বাজারে আসি। কিন্তু পাঠানটুলি থেকে এখানে প্রতিনিয়ত বাজারে আসা যাওয়া করা সম্ভব না। যে বেতন পাই সেটা দিয়ে ২ ছেলেমেয়ে নিয়ে ৩ সদস্যের সংসার চালানো খুব কঠিন। মাঝখানে আমাদের এলাকায় ডিম দাম হালি ৬০ টাকাও বিক্রি হয়েছে। এখন এই বাজারে ডিম মুরগির দাম কমলেও আমাদের ওদিকে অতটা কমেনি।
 

 


ইব্রাহিম নামের এক মুরগি বিক্রেতা বলেন, ভাই, আমরা যে রেটে পাই সেটা দিয়াই বেইচা দেই। মুরগির দাম যখন ১৬০ টাকা ছিল তখন, আমদের বেচা-কিনা ভালো ছিল। তহন মাইনসে তিন চারটা কইরা মুরগি নিয়া গেছে। কিন্তু এহন একটা মুরগি কিনতেও কয়েকবার চিন্তা করে। আর বেশিরভাগ মানুষ যায় দিব্বা বাজারে। আগে যাও মানুষ মুরগি কিনতো, কিন্তু এহন বেচাকিনা কম।       এন. হুসেইন রনী /জেসি

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন