Logo
Logo
×

বিশেষ সংবাদ

সিটিতে চলবে তিন রঙের লাইসেন্সকৃত অটো

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ১৫ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

সিটিতে চলবে তিন রঙের  লাইসেন্সকৃত অটো

সিটিতে চলবে তিন রঙের লাইসেন্সকৃত অটো

Swapno

নারায়ণগঞ্জ শহর সহ সিটি করপোরেশনে তিন রঙের লাইসেন্সকৃত অটো চলাচল করতে পারবে ১৭ হাজার। কিন্তু শহরে বৈধ-অবৈধ মিলিয়ে প্রায় ৫০ হাজারের বেশি অটো চলে। এতে করে মানুষের উপচেপড়া ভিড় লক্ষ্য করা যায়। একই জানযটের কারনে মানুষের নাভিশ্বাস। তাছাড়া যানজট নিয়ে সয়ং জেলা প্রশাসক নিজেই ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আর এজন্য যানজট নিরসনে প্রশান থেকে শুরু করে নগরবাসিকে নিয়ে তিনি মতবিনিময় সভা করেছে। 


ওই সভায় নারায়ণগঞ্জ শহরের লাইসেন্সকৃত অটো চালকদের তিনটি কালারে রং কয়ের দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়। যা অটো মালিক সমিতির সভাপতি এই রঙ করার জন্য সকলের প্রতিনিধি হয়ে দায়িত্ব নেন। তখন অটো চালকদের ১৫ দিন সময় বেধে দেয়া হয়।


এদিকে নারায়ণগঞ্জ শহরেই ২০ লাখ জনসংখ্যার উপরে বসবাস। নগরীর চাষাঢ়া থেকে নিতাইগঞ্জ পর্যন্ত  দেড় কিলোমিটার জুড়ে ঙ্গবন্ধু সড়কে প্রতিনিয়ত যানজট লেগেই থাকে। আর এতে করে মানুষকে ভোগান্তি পোহাতে হয়। অটো মালিক সমিতির তথ্য মতে ১৭ হাজার অটোর লাইসেন্স রয়েছে। কিন্তু তাদের  দেয়া তথ্যমতে নারায়ণগঞ্জ সদর-বন্দর উপজেলায় পঞ্চাশ হাজার অটো রয়েছে। তার মাঝে ত্রিশ হাজারের বেশি অবৈধ অটো রয়েছে। আর এই অবৈধ অটো নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে জেলা  প্রশাসক।


জানা যায়, জেলা অটো মালিক সমিতির সভাপতি আব্দুর রহমান বলেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি করপোরেশনের লাইসেন্সকৃত বন্দরে ৭০০ অটো অরেঞ্জ কালারের থাকবে, সিদ্ধিরগঞ্জে ৬ হাজার নীল কালার এবং নারায়ণগঞ্জ সদরে ১০ হাজার ৮৪২ অটো চলবে  হলুদ কালারের। এই তিন কালারের মাধ্যমে প্রশাসন বুঝতে পারবে এই অটো গুলো লাইসেন্সকৃত। 


তাদের সিটিতে চলাচলের অনুমোদন রয়েছে। কিন্তু নাসিক ইতোমধ্যে ডিজিটাল লাইসেন্স করার জন্য ব্যবস্থা নিয়েছে। তখন ওই লাইসেন্সের ন্যাম প্লেটের সাথে প্রতেক্য চালককে একটি আর এস আইডিকার্ড দিবে। আর এগুলোর একটা কোর্ড থাকবে যে গুলো ট্রাফিক চিহ্নিত করতে তাদের একটি করে মেশিন দেয়া থাকবে, আর জালিয়াতি করতে পারবে না। আপতত তিন কালারে অটো চলবে। আমরা অটো লাইসেন্সকৃত অটো চালকদের বলে দিয়েছি তারা দ্রুত রঙ করে নিচ্ছে।


অন্যদিকে সম্প্রতি অবৈধ অটো চালকদের বিরুদ্ধে অভিযান হওয়ায় তারা সিটি করপোরেশন ভবন ঘেরা করে হামলা ভাংচুর চালান। এই ঘটনায় নাসিক কর্তৃপক্ষ আইনগত ব্যবস্থা নিচ্ছেন। তাছাড়া জেলা প্রশাসক মুহাম্মদ জাহিদুল ইসলাম মিঞা বলেন, আমরা কারও প্রতি রুষ্ঠ হতে চাই না।‘অবৈধ অটোগুলো কোন ভাবেই শহরে চলতে পারবে না। 


চাষাঢ়া ও দুই নং রেলগেট এলাকায় আমাদের ভ্রাম্যমাণ আদালত চলতে থাকবে। আমাদের প্রতিনিয়ত সমস্যা আসবে এবং তার সমাধান করতে হবে। তবে আমাদের আইনের আওতায় থেকে কাজ করতে হবে। আপনি যদি ভাবেন আবেগ দিয়ে আইনকে প্রভাবিত করবেন সে সুযোগ আইনেও নেই, আমার কাছেও নেই। আপনি রাস্তা বন্ধ করবেন, অফিস ঘেরাও করবেন এটা চলবে না।


গত বছরের ৫ আগষ্টের আগ পর্যন্ত শহরে একদিকে ব্যাটারি চালিত অটো প্রবেশ নিষেধাজ্ঞা থাকলেও তখন নিয়ন্ত্রনে ছিল। কিন্তু সরকার ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পরে প্রশাসন ভঙ্গুর হয়ে যাওয়ায় এতে করে হর হামেশাই ইজিবাইক, ব্যাটারি চালিত রিকশা শহরময় তাণ্ডব চালাচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানাযায়, নারায়ণগঞ্জ ফতুল্লার কাশিপুরেই ২৫০টির বেশি অটোরিকশা গ্যারেজ সহ সদর উপজেলায় ৬শ’টির বেশি অটো রিকশা গ্যারেজ রয়েছে। এই গ্যারেজ গুলোতে প্রতিনিয়ত বিদ্যুৎ চুরির অভিযোগ রয়েছে। এদের বেশির ভাগই বৈধতা নেই।

ট্রাফিক পুলিশের কাজ সড়কে শান্তি-শৃংখলা নিশ্চিত করা যানজট দূরকরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করা। কিন্তু দুঃখের বিষয় হচ্ছে ব্যাটারিচালিত রিকশাচালকরা নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও প্রধান সড়কগুলোতে অবাদে চলাচল করছে। তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে গেলে তারা বেপরোয়া হয়ে হামলা চালান।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন