Logo
Logo
×

বিশেষ সংবাদ

সদর উপজেলায় পশুর হাটের সিডিউল নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড

Icon

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশ: ২৯ মে ২০২৫, ১২:০০ এএম

সদর উপজেলায় পশুর হাটের সিডিউল নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড

সদর উপজেলায় পশুর হাটের সিডিউল নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড

Swapno

# আওয়ামী দোসররা বিএনপির ছায়াতলে হয়ে উঠছে বেপরোয়া
# ব্যাপক সংঘর্ষে ভূমিকা ছিলো না ইউএনও এবং থানা পুলিশের


ফতুল্লায় সদর উপজেলায় গোগনগর ইউনিয়ন সৈয়দপুর কয়লার ঘাটের কোরবানীর পশুর অস্থায়ী হাটের দরপত্র বিক্রি নিয়ে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন ও আওয়ামী দোসর গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রুবেলের অনুসারিরাদের ব্যাপক বিশৃঙ্খলা এবং দফায় দফায় সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এতে জেলা বিএনপির সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার, ফতুল্লা থানা যুবদলের সদস্য সচিব সালাউদ্দিন, জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমানসহ অন্য পক্ষের ৫ জন আহত এবং ১২ জনকে আটক করেছে ফতুল্লা থানা পুলিশ


গতকাল বুধবার (২৮ মে) সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় প্রাঙ্গণে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ঘটনাস্থল থেকে পুলিশ ১২ জনকে আটক করেছে। এদিকে দফায় দফায় বিশৃঙ্খলা এবং সংঘর্ষে ইউএনও এবং থানা পুলিশের কোন ভূমিকা লক্ষ্য করা যায়নি। যা নিয়ে ক্ষুদ্ধ দরপত্র ক্রয় করতে আসা ক্রেতাসহ জনপ্রতিনিধি অনেকেই। এ ছাড়া জানা গেছে, ৩ থেকে ৪ বছর যাবৎ সদর উপজেলায় সিডিউল বিক্রি দিনেই গোগনগরের বাড়িরটেক ও কয়লার ঘাটের অস্থায়ী হাট নিয়ে বিশৃঙ্খলা ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটলে ও বিগত বারের মতো এবার ও সংঘর্ষের সময় পুলিশ এবং ইউএনও এবং সদর উপজেলার কর্মকর্তারা নিরব ভূমিকা পালন করেন।


জানা যায়, গতকাল বুধবার সকাল ১০টা থেকে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় থেকে ১৫টি পশু বিক্রির অস্থায়ী হাটের দরপত্র বিক্রি শুরু হয়। সকাল সাড়ে ১১টায় কয়লাঘাট পশুর হাটের দরপত্র কিনে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথে ফতুল্লা থানা বিএনপি নেতা লাভলুর উপর হামলা করে গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার হোসেন ও গোগনগর ইউনিয়ন পরিষদের মেম্বার রুবেলের অনুসারিরা। একই সাথে গোগনগরের বাড়িরটেক হাটসহ সেই ইউনিয়নের আরো বেশ কয়েকটি হাট কিনলেই সেই নামধারী হাট সন্ত্রাসী রোষানলের শিকার হতে দেখা গেছে অনেককেই। 


এদিকে বিভিন্ন দফায় সাংবাদকর্মীসহ কয়েকজনকে পুলিশের সামনে মাটিতে ফেলে কিল ঘুষি মেরে দরপত্র ছিনিয়ে নিলে ও নিরব ভূমিকা পালন করেছিলেন এরা। তা ছাড়া পরবর্তীতে দুপুর ১২টায় একই হাটের দরপত্র কেনেন জাকির নামের আরেক ব্যবসায়ী। তিনিও দরপত্র নিয়ে বাইরে বের হওয়ার সাথে সাথেই তার উপর হামলা করে রুবেল মেম্বারের অনুসারিরা। এদিকে সকাল ৯ টায় সিডিউল বিক্রির ঘোষণা আসলে ও বিএনপি এবং অঙ্গসংগঠনের কথিত বহু নেতাকর্মীদের লবিং এবং বিশৃঙ্খলায় হাটের দরপত্র বিক্রি শুরু হয় সকাল ১১ টা থেকে তা ছাড়া সিডিউল বিক্রির কার্যক্রম দেখা যায় অনেকটাই দৃঢ়গতি। 


তা ছাড়া কয়লাঘাট, বাড়িরটেক, ভূইঘর সোনালী সংসদ, স্টেডিয়ামের হাট, পাগলা তালতলা। এই সকল হাটগুলো নিয়ন্ত্রণ নিতে সকাল থেকেই সদর উপজেলার সিডিউল বিক্রির কক্ষে তারা বসে বসে কেউ সিডিউল ক্রয় করে বেড় হতে নিলেই নিচে তার প্রতিনিধিদের বলছিলেন তাকে  আটক করতে। অনেক সময় সিডিউল বিক্রির রুমেই সিডিউল ক্রয় করতে বাধা দিচ্ছিলেন। সে সময় সাধারণ সিডিউল ক্রেতারা সেই বিষয়ে চড়াও হলে উপজেলা কর্মকর্তারা সিডিউল বিক্রি করে দুপুরের খারাপ খেতে চলে যান। 


এমন নানান বিশৃঙ্খলার কারণে সদর উপজেলার কর্মকর্তা সোলেমান বিকলে ৫ টা পর্যন্ত সিডিউল বিক্রি হবে বললে ও সাড়ে ৩ টার মধ্যেই গোগনগরের কয়লারঘাটে ইজারা নিতে মরিয়া সেই কথিত বিএনপি নেতা আক্তার ও তারই শেল্টারে থাকা আওয়ামী দোসর রুবেল মেম্বার বাহিনী সদর উপজেলায় উশৃঙ্খল কর্মকাণ্ড শুরু করেন। কাউকেই সিডিউল কিনতে দিবে না গেইট ব্লক করে থাকেন। যাকে ঘিরে বিকলে ৪ টায় বক্তাবলী ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান রশিদ সদর উপজেলায় নিজস্ব কাজে আসলে ও সেই গোগনগরের কয়লার ঘাটের হাট সন্ত্রাসীদের দ্বারা লাঞ্চিত হয়ে স্থান ত্যাগ করেন।


পরবর্তীতে জেলা বিএনপির সাবেক সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন শিকদার উপজেলার ভিতরে প্রবেশ করতে চাইলে তাকে ভিতরে যেতে বাধা দেন সেই কয়লা ঘাটের সন্ত্রাসীরা। পরবর্তীতে জেলা বিএনপির সদস্য একরামুল হক মামুন একটি সিডিউল নিয়ে বেড় হতে নিলে তাকে লাঞ্চিত করেন কায়লার ঘাটের বিএনপি নেতা আক্তার ও আওয়ামী দোসর রুবেল মেম্বার বাহিনীর সদস্যরা। পরবর্তীতে সেই বিষয়ে জেলা কৃষকদলের যুগ্ম আহ্বায়ক জুয়েল আরমান ও জেলা বিএনপির সাবেক সহ- সাংগঠনিক সম্পাদক রুহুল আমিন সিকদার স্বেচ্ছাসেবক দল নেতা আরিফ প্রধানকে এলোপ্যাথারী কিল-ঘুষি-লাথি দিয়ে আহত করেন। 


পরে পুলিশ লাঠিচার্জ করে হামলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। পরবর্তীতে রুহুল আমিন ও জুয়েল আরমান তাদের বাহিনী সদস্যদের ফোন করলে তারা লাঠি সোটা নিয়ে গোগনগরের নেতাকর্মীদের এলোপ্যাথারি কিল-ঘুষি ও লাঠি দিয়ে বারি শুরু করলে গোগনরের কয়লার ঘাটের হাট সন্ত্রাসীরা উপজেলা ছেড়ে পালিয়ে যায়।


কিন্তু ভিতরে সিডিউল নিয়ে লঙ্কাকাণ্ড করা ১২ উপজেলার ভিতরে আটকা পরলে পুলিশ তাদের আটক করে থানায় নিয়ে যায়। সর্বশেষ কোন মতে হাট সন্ত্রাসী আওয়ামী দোসর রুবেল বিভিন্ন কায়দায় উপজেলা চত্ত্বর পার হতে পারলে ও গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি আক্তার ভিতরে আটকা পরে যায়। 


তার লোকদের মাধ্যমে শোনা যায় তিনি বাথরুমে পালিয়ে ছিলেন। পরবর্তীতে মহানগর বিএনপির একজন প্রভাবশালী নেতা সন্ধ্যায় এসে হুন্ডা দিয়ে তাকে সেখান থেকে নিয়ে যায়। পরবর্তীতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। কিন্তু এক পলকের জন্য ইউএনও কে কোথাও দেখা যায়নি।


এ বিষয়ে জানতে কয়লার ঘাট হাটের নিয়ন্ত্রণে থাকা বিএনপি নেতা আক্তারের মুঠোফোনে একাধিকবার কল করলে ও তিনি তা রিসিভ করেননি। 


এ ব্যাপারে ফতুল্লা মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ শরিফুল ইসলাম বলেন, কয়লাঘাট হাট নিয়ে একটি গ্রুপ প্রতিপক্ষের উপর হামলা করেছিল। লাঠিচার্জ করে তাদের ছত্রভঙ্গ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এনেছি। এবং ঘটনাস্থল থেকে ১২ জনকে আটক করেছি।

Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন