Logo
Logo
×

বিশেষ সংবাদ

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রার্থী হওয়ার আভাস ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামানের

Icon

লিমন দেওয়ান

প্রকাশ: ১৫ জুন ২০২৫, ১২:০০ এএম

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রার্থী হওয়ার আভাস ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামানের

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে প্রার্থী হওয়ার আভাস ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামানের

Swapno



ব্যবসায়ী সমাজে পরিচিত মুখ আলোচিত ক্রীড়া সংগঠক মাসুদুজ্জামান মাসুদ তার আয়োজিত ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে সদর-বন্দর আসনে বিএনপির প্রার্থী হওয়ার ঘোষণায় নারায়ণগঞ্জের রাজনীতির আলোচনার কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছেন।


গতকাল শনিবার (১৪ জুন) শহরের খানপুরের বরফ কল মাঠে ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে তিনি তার বক্তব্যে ইঙ্গিতে এই আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দেন। এ সময় নারায়ণগঞ্জ জেলা ও মহানগর বিএনপি, জামায়াত ইসলাম, হেফাজতে ইসলাম, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, সুশীল সমাজ, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বসহ বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন। গতকাল নারায়ণগঞ্জবাসীর সম্মানে ১৫ হাজার মানুষের ঈদ পুনর্মিলনী আয়োজনের মাধ্যমে কিছুদিন যাবৎই ব্যাপক আলোচনায় তিনি


এ অনুষ্ঠানকে ঘিরে জেলার রাজনৈতিক অঙ্গনে দিনভরই ছিলো নানা গুঞ্জন। বিশাল এই আয়োজন করে কি বার্তা দিতে চান মডেল মাসুদ- তা ছিলো অনেকেরই প্রশ্ন। কিন্তু সর্বশেষ তিনি নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়ে তার অবস্থান ঘোষণা করলেন। তার পাশাপাশি অনুষ্ঠানে আসা বিএনপির তৃণমূলের নেতারা তাদের বক্তব্যে ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামান মাসুদকে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনে বিএনপির মনোনীত প্রার্থী হিসেবে দেখতে চান বলেও আশাবাদ ব্যক্ত করেন।


তারা বলেন, “এ অনুষ্ঠানের আয়োজক মাসুদুজ্জামান, তিনি একজন পরীক্ষিত সমাজসেবক। তিনি অন্তরালে থেকেও মানবতার সেবায় সবসময় নিয়োজিত ছিলেন। একজন মানবিক মানুষ ও পরীক্ষিত-যোদ্ধা হিসেবে ইতোমধ্যে তিনি আমাদের প্রাণের নারায়ণগঞ্জে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। তিনি নারায়ণগঞ্জকে বদলে দেওয়ার দৃঢ় প্রতিজ্ঞা নিয়ে উনি এগিয়ে যাচ্ছেন।” মাসুদুজ্জামানের নেতৃত্বে সামনের নারায়ণগঞ্জ জনমানুষের এবং জনবান্ধব হবে বলেও বিশ্বাস তাদের।

এদিকে মধ্যাহ্ন ভোজে দলীয় নেতাকর্মী ছাড়াও আমন্ত্রিত অতিথিদের সঙ্গে ঘুরে ঘুরে মাসুদুজ্জামান মাসুদের কুশল বিনিময় যা নির্বাচনী প্রচারণার পরিপূরক ছিলো। এ ছাড়া কিছুদিন পূর্বে গত ৩০ মে থেকে ৫ দিন ব্যাপী সদর-বন্দরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের ৪৪ তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে ব্যাপক আয়োজন করে নারায়ণগঞ্জবাসীর নজরে এসেছিলেন এই ব্যবসায়ী।


এবার ঈদুল আযহা পরবর্তী এ আয়োজনে, সামাজিক, সাংস্কৃতিক, নাগরিক ও বিভিন্ন পেশাজীবী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ অংশগ্রহণ করে। বিএনপি, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবকদল, ছাত্রদল, কৃষকদল,মহিলাদলসহ অন্যান্য অঙ্গসংগঠন, জামায়াতে ইসলামী, হেফাজতের ইসলাম, এনসিপি, গণসংহতি আন্দোলন, বাসদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতৃবৃন্দের মিলনমেলায় পরিনত হয় আয়োজনটি।


এদিকে অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে সকাল থেকেই বরফকল এলাকায় বিভিন্ন দলের নেতাকর্মী ও সাধারণ মানুষের ঢল নামে। শুরু থেকেই শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান নিজেই অনুষ্ঠানস্থল ঘুরে ঘুরে আগত নেতাকর্মী, কর্মী সমর্থক ও নারায়ণগঞ্জের বিশিষ্টজনদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের অভ্যর্থনা জানান।


অনুষ্ঠান স্থলে তার উপস্থিতিতে উজ্জীবিত হয় নেতাকর্মীরা। অনেকেই তাদের মতামত ব্যক্ত করেন। তারা ব্যবসায়ী মাসুদুজ্জামানকে একজন ভালো মানুষ হিসেবে অভিহিত করেন এবং নারায়ণগঞ্জের মানুষের ভাগ্যোন্নয়ে মডেল মাসুদের মতো মানুষের প্রয়োজন বলে অভিমত ব্যক্ত করেন। তা ছাড়া ঈদ পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বিএনপি  নেতাকর্মীসহ বিভিন্ন শ্রেনী পেশার মানুষের আগমনে অভিভুত হন শিল্পপতি মাসুদুজ্জামান।

অনুষ্ঠান শেষে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে মাসুদুজ্জামান মাসুদ বলেন, নারায়ণগঞ্জ-৫ আসন তথা সদর ও বন্দর বাসির সেবায় কাজ করতে চাই। আমি কখনো অন্যায়কে আশ্রয়, প্রশ্রয় দেই নাই। আমি প্রতিহিংসা নয় মানুষকে ভালোবাসা দিয়ে নারায়ণগঞ্জ তথা সদর ও বন্দরের মানুষের সেবা করতে চাই।নারায়ণগঞ্জের মানুষ দীর্ঘদিন সন্ত্রাস, চাঁদাবাজদের হাতে জিম্মি ছিল। এখনো বিগত সময় যে সন্ত্রাসী গোষ্ঠীর সাথে হাত ধরে রাজনীতি করেছে, তাদের কাছে এখনো মানুষ জিম্মি রয়েছে। এসব দুর্বৃত্ত, চাঁদাবাজদের কারণে সাধারণ মানুষ অতিষ্ঠ হয়ে আছে।



তিনি বলেন, নারায়ণগঞ্জের মানুষ শিক্ষা, উন্নয়ন চায়। হানাহানি নয় শান্তিপ্রিয় সুষ্ঠু ধারার রাজনীতি চায়। আপনাদের ভালোবাসা দোয়া পেলে আমার সর্বোচ্চ দিয়ে চেষ্টা করে যাব নারায়ণগঞ্জের মানুষের মধ্যে স্বস্তি ফিরিয়ে আনতে। আমি নিজের উন্নয়নের জন্য নয়, সদর ও বন্দরের মানুষের চাহিদা অনুযায়ী উন্নয়নের জন্য কাজ করতে চাই।


তিনি আরো বলেন, আপনারা জানেন, আমি একজন সমাজকর্মী, ক্রীড়া সংগঠক, সমাজসেবায় আমার নেশা। আমি বছরজুড়েই গোপনে এবং প্রকাশ্যে সব সময়ই চেষ্টা করেছি নিরীহ হতদরিদ্র মানুষের পাশে থাকতে। আমার কোন সন্ত্রাসী, চাঁদাবাজি বাহিনী নাই। রাজনীতিতে আলোচনা, সমালোচনা এবং মত দ্বিমত থাকবেই। এসব না থাকলে মানুষ কখনো শুধরাতে পারে না। আমি সুন্দর বসবাসযোগ্য, সন্ত্রাস মুক্ত, চাঁদাবাজ মুক্ত এবং মাদক মুক্ত নারায়ণগঞ্জ গড়ে তুলতে চাই। এক্ষেত্রে আপনাদের সকলকে পাশে চাই এবং দোয়া চাই।


তিনি বলেন, আগামী দিনের প্রধানমন্ত্রী বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান জনাব তারেক রহমান ও অন্তর্র্বতীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সাথে লন্ডনে অত্যন্ত ফলপ্রসূ আলোচনা হয়েছে। এই বৈঠক সব আশঙ্কার অবসান ঘটিয়ে গণতন্ত্রের পথে উত্তরণের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে। সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও প্রাপ্তির সংযোগ ঘটিয়ে আগামী ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে প্রয়োজনীয় সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া শেষ করে নির্বাচন আয়োজনে ঐকমত্যে পৌঁছানোর একটি সফল আলোচনা হয়েছে। যার দিকে তাকিয়ে ছিল পুরো জাতি।


এ আয়োজনে বিএনপির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সাবেক ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম রবি, মহানগর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি নূর ইসলাম সরদার, শহর বিএনপির সাবেক সহসভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খান, মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আনোয়ার হোসেন আনু, মহানগর যুবদলের আহ্বায়ক মনিরুল ইসলাম সজল, সদস্য সচিব শাহেদ আহমেদ, মহানগর যুুবদলের সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক আব্দুর রহমান, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি সাখাওয়াত ইসলাম রানা, যুগ্ম সম্পাদক মোশারফ হোসেন, নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের সাবেক কাউন্সিলর অহিদুল ইসলাম ছক্কু,


সাবেক কাউন্সিলর জিএম সাদরিল, সাবেক কাউন্সিলর এনায়েত হোসেন, মহানগর মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নুরুন্নাহার, জেলা মহিলা দলের সাবেক সভাপতি নুরুন্নাহার বেগম, সাবেক সহসভাপতি রোজিনা বেগম, মহানগর মহিলা দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ঢলি আহমেদ, সদর থানা বিএনপির আহ্বায়ক হাজী ফারুক হোসেন, বন্দর থানা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক শরীফুল ইসলাম শিপলু, বন্দর উপজেলা বিএনপির সভাপতি বিল্লাল হোসেন, মহানগর বিএনপির সদস্য ফারুক হোসেন,


শহীদুল ইসলাম রিপন, মনোয়ার হোসেন সুখন, মহানগর শ্রমিক দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম আহ্বায়ক মনির মল্লিক, যুগ্ম আহ্বায়ক ফজলুল হক, সদর থানা স্বেচ্ছসেবক দলের সভাপতি জাকির হোসেন, আলীরটেক ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার হোসেন, গোগনগর ইউনিয়ন বিএনপির সাবেক যুগ্ম আহ্বায়ক জাহাঙ্গীর মিয়াজি, কৃষকদলের ১২ নম্বর ওয়ার্ড সভাপতি মো. জসিম, মহিলা দল নেত্রী সাজেদা খাতুন মিতা, জহুরা খাতুন প্রমুখ।


এ ছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিউর রাব্বি, বিকেএমইএ’র সাবেক সভাপতি ফজলুল হক, মহানগর জামায়াতে ইসলামীর সাবেক আমীর মাওলানা মাঈনুদ্দিন আহমাদ, বিকেএমইএ’র সহসভাপতি মোর্শেদ সারোয়ার সোহেল, নারায়ণগঞ্জ প্রেস ক্লাবের সভাপতি আরিফ আলম দিপু, নারায়ণগঞ্জ জেলা সাংবাদিক ইউনিয়নের সভাপতি আব্দুস সালাম, আমলাপাড়া পঞ্চায়েত কমিটির সাধারণ সম্পাদক হানিফ সরদার, ন্যাপের জেলা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আওলাদ হোসেন, গণসংহতি আন্দোলনের জেলা সমন্বয়কারী তরিকুল সুজন, নির্বাহী সমন্বয়কারী অঞ্জন দাস, মহানগর শাখার সমন্বয়কারী নিয়ামুর রশীদ বিপ্লব,


নির্বাহী সমন্বয়কারী পপি রানী দাস, নারায়ণগঞ্জ সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি জিয়াউল ইসলাম কাজল, সাবেক সভাপতি ভবানী শংকর রায়, জেলা জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা ফেরদাউসুর রহমান, নারায়ণগঞ্জ নাগরিক কমিটির সাধারণ সম্পাদক জাহিদুল হক দিপু, খেলাঘর আসরের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জহিরুল ইসলাম, বাংলাদেশ ছাত্র ফেডারেশনের জেলা সভাপতি ফারহানা মানিক মুনা, শ্রমিক জাগরণ মঞ্চের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম গোলক প্রমুখ।



Abu Al Moursalin Babla

Editor & Publisher
ই-মেইল: [email protected]

অনুসরণ করুন