না.গঞ্জে ৬ মাসে ৪৪২টি অগ্নিকাণ্ড
দেশে প্রতিনিয়ত ঘটছে কোনো না কোনো অগ্নিকান্ডের ঘটনা। সামান্য ভুলের জন্য অল্পতেই বাড়ছে অগ্নি দুর্ঘটনার ঝুঁকি। গত এক বছরে (২০২৪) সালে নারায়ণগঞ্জ নগরীতে আগুন লাগার ঘটনা ঘটেছিল প্রায় ৬১৯ টিরও বেশি, এবং চলতি বছরে এসে ৬ মাসে (জানুয়ারি-জুলাই) ৪৪২ টি অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ঘটেছে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি। যার বেশিরভাগ আগুনের জন্য দায়ী বিদ্যুতিক শর্টসার্কিট। সুনির্দিষ্ট পদক্ষেপ ও অসচেতনতার কারণে প্রচুর অগ্নিকান্ডের কথা জানান নারায়ণগঞ্জ ফায়ার সার্ভিস সিভিল ডিফেন্স কর্তৃপক্ষ।
জেলা ফায়ার সার্ভিসের ও সিভিল ডিফেন্সের তথ্য মতে অগ্নিদুর্ঘটনার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চলতি বছরে জানুয়ারী- জুন পর্যন্ত ৪৪২টি অগ্নিকান্ডের দুর্ঘটনা ঘটেছে। এছাড়া সম্পদের ক্ষতি হয়েছে ১১ কোটি ৭৫ লাখ ৭৪ হাজার টাকার এবং উদ্ধারের পরিমান ৫৫৩ কোটি ৮৩ লাখ ৫০ হাজার টাকা যেখানে গত বছর সম্পদের ক্ষতি হয়েছে ১১৬ কোটি ৩৪ লাখ ৯৪ হাজার টাকা। অন্যদিকে আগুন নির্বাপণের মাধ্যমে ৫৬১ কোটি ৭৪ লাখ ৮৫ হাজার টাকার সম্পদ রক্ষা করেছে ফায়ার সার্ভিস।
২০২৪ সালের পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, বছরে ৬১৯টি আগুনের মধ্যে বৈদ্যুতিক গোলযোগে ১৯৮টি, বিড়ি সিগারেট জ্বলন্ত টুকরো থেকে ৪১টি, চুলা থেকে ৬টি, ছোটদের আগুন নিয়ে খেলার কারণে ৩টি, গ্যাসের লাইন লিকেজ থেকে ১০৪টি, গ্যাস সিলিন্ডার ও বয়লার বিস্ফোরণ থেকে ৪টি, যানবাহনের দুর্ঘটনাজনিত কারণে ৫টি এবং অন্যান্য কারণে ১৪১ টি আগুনের ঘটনা ঘটে।
অগ্নিকান্ডের ঘটনা ভিত্তিক পরিসংখ্যানে লক্ষ্য করা যায়, ২০২৪ সালের তুলনায় ২০২৫ সালে বেশি অগ্নিকান্ড ঘটে। হাট বাজার ও শপিং মলে ৮টি, হাসপাতাল/ক্লিনিক/ফার্মেসিতে ১০টি, বহুতল ভবনে ৪৬টি, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৮টি আগুনের ঘটনা ঘটে। মাসিক অগ্নিকান্ডের পরিসংখ্যানে দেখা যায়, ২০২৫ সালে এপ্রিল মাসে ৭৬টি,
মে মাসে ৬২টি ও জুন মাসে ৫০টি অগ্নিকান্ড ঘটে। এছাড়া জানুয়ারী মাসে ৮৯টি, ফেব্রুয়ারীতে ৮৯টি ও মার্চ মাসে ৭৬টি এই তিন মাসে বেশি অগ্নিকান্ড ঘটেছে। এতে নিহত হয়েছেন ১১৫ জন এবং আহত হয়েছেন ১৪ জন। অন্যদিকে নৌ যানে ঘটেছে ৮টি অগ্নিকান্ড।


