ময়লার ভাগাড়ে লাখ টাকা চাঁদাবাজদের পকেটে
যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ০৯ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
ময়লার ভাগাড়ে লাখ টাকা চাঁদাবাজদের পকেটে
ময়লার ভাগাড়ে পরিণত হয়েছে নারায়ণগঞ্জ লিংক রোডের বেশ কয়েকটি অংশে। দিন-রাত পালা করেই ফেলা হচ্ছে গৃহস্থলির ময়লা-আবর্জনা। যেন ময়লা ফেলার প্রতিযোগিতা । লিংক রোড ভূইগড় এলাকাটি একটি ঘনবসতিপূর্ণ এলাকা আর সেখান থেকে একটু সামনে গেলেই রূপায়ন টাউনসহ বেশ কয়েকটি আবাসিক এলাকার প্রকল্প রয়েছে। আর এই এলাকাটিতেই প্রায় লক্ষাধিক মানুষের বসবাস ।
এই সড়কটি দিয়ে প্রতিদিন কয়েক লাখ মানুষ চলাচল করে। যারা বিভিন্ন বাসা বাড়ি থেকে ময়লা আবর্জনা সংগ্রহ করে তারা ভূঁইগড় এলাকার সড়কটিতে ময়লা ফেলে। আর এই ময়লা ফেলার জায়গা নির্ধারণ করেছে এলাকার কিছু কথিত চাঁদাবাজ। তারা বিভিন্ন সময় সড়কে চাঁদাবাজি করলেও এখন ময়লাকে চাঁদাবাজির আরেকটি উৎস বানিয়ে ফেলেছে। আর এই কিছু চাঁদাবাজের জন্য এই স্থানটিতে ময়লা ফেলা হচ্ছে।
খোঁজ নিয়ে জানা যায়, ময়লা ফেলার জন্য এই সকল চাঁদাবাজরা প্রতিটি গাড়ি থেকে ৬০-১০০ টাকা পর্যন্ত নিচ্ছে। এই ময়লা ফেলার সুযোগ বাবদ মাসে লাখ টাকা পকেটে পুরছেন কিছু ব্যক্তি। আর তাদের এই চাঁদাবাজির ফলে সুন্দর সোসাইটির এলাকাটি এখন ময়লার ভাগাড়ে পরিণত করেছে।
নারায়ণগঞ্জ লিংক রোড এলাকায় আন্তর্জাতিক ওসমান আলী ষ্টেডিয়াম সংলগ্ন মেইন রোডের গেটের সামনেই আগে প্রতিনিয়তই ময়লা ফেলা হতো। তবে মাস খানের আগে প্রশাসনের হস্তক্ষেপের কারণে বর্তমানে স্টেডিয়ামের সামনের ময়লা আবর্জনা ইতিমধ্যেই পরিষ্কার করা হয়েছে। সেখানে ময়লা ফেলা যাতে না হয় সেই নির্দেশনাও দেওয়া হয়েছে। তবে এখনও সেখানে যে যার মত ময়লা ফেলে যাচ্ছে। আর দুর্ভোগ নিত্য সঙ্গী হচ্ছে ওই এলাকার নাগরিকদের। এই এলাকাটির সামান্য দূরে রামারবাগ ঘনবসতি এলাকাতেও বর্জ্যওে দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে।
সূত্র জানিয়েছে, স্থানীয় কিছু লোকজন টাকার বিনিময়ে এই স্থানে ময়লা ফেলার অনুমতি দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কিছু চাঁদাবাজরা এই ময়লার গাড়ির থেকে টাকা তুলছে। ঘনবসতিপূর্ণ এসব এলাকায় বর্জ্য না ফেলার বিষয়ে জেলা প্রসাশকের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন এলাকাবাসী।


