ডিপিডিসির চাকায় বসে চলছে মাদক বিক্রি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট
প্রকাশ: ২৫ আগস্ট ২০২৫, ১২:০০ এএম
-copy-68ac4193922ab.jpg)
ডিপিডিসির চাকায় বসে চলছে মাদক বিক্রি
# পুলিশের নাকের ডগায় বসে চলে অপরাধ
প্রশাসন থেকে শুরু করে রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ সকলেই মাদকের বিরুদ্ধে সোচ্চার হয়ে বক্তব্য রাখেন। মাদকের কারণে যুব সমাজ ধ্বংসের পথে চলে যাচ্ছে সবাই বলে বেরান। এছাড়া পুলিশ প্রশসান সহ প্রশাসনের অন্যান্য কর্তারা মাদক নিয়ে অভিযান পরিচালনা করেন। কিন্তু মাদক আর নির্মুল হয় না। ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংরোড সংলগ্ম দলিল লিখক রেজিষ্ট্রি অফিসের সামনে বিদ্যুৎ বিভাগের ঢাকা পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন কোম্পানি চাকা দীর্ঘ দিন যাবত অবহেলায় পড়ে রয়েছে। ডিপিডিসির চাকার ভিতরে বসে এক দল মাদককার বারি প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে। অথচ তার ১শ’ গজ দুরেই জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয় অবস্থিত। অনেকটা প্রশাসনের নাকের ডগায় থেকে মাদক ব্যবসা করে যুবসমাজকে ধ্বংসের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। এছাড়া ডিপিডিসি অবহেলরা কারণে মাদককারবারিরাও তাদের চাকায় বসে অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। মাদক কারবারিদের ভয়ে কেউই প্রতিবাদ করতে সাহস পায় না। তাছাড়া ডপিডিসির চাকা এখান থেকে সরিয়ে ফেলা হলে তাহলে মাদক ব্যবসায়ীরা খালি জায়গায় তাদের অপকর্ম চালাতে পারে না।
এদিকে ফতুল্লা ইউনিয়ন ৬নং ওয়ার্ড বিএনপির এক নেতার শেল্টারে পুলিশ সুপার কার্যালয়ের মাত্র ১শ’গজ দুরে মিটার দুরে জেলা পরিষদ কার্যালয়ের সামনে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে শীর্ষ মাদক বিক্রেতা মো.আকাশ ও তার সঙ্গীরা। ভিডিওতে দেখা যায় দিনের বেলা প্রকাশ্যে দেদারছে মাদক বিক্রি করে যাচ্ছে। এই মাদককারবারিদের কোন বাধা পোহাতে হচ্ছে না। একদিকে পুলিশ প্রশাসনের দায়িত্বে অবহেলাকে দায় করছে নাগরিক সমাজ। আরেক দিকে ডিপিডিসির কর্মকতারাও তাদের দায় এড়িয়ে যেতে পারেন না। কেননা তাদের রাখায় চাকার ভিতরে বসে প্রকাশ্যে মাদক বিক্রি চলছে। এতে করে তার পাশেই ক্যামব্রিয়ান স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা অনেকে বিপদ গ্রস্থ্য হচ্ছে। এছ্ড়াা জেলা রেজিষ্টার অফিসের সামনের জায়গায় ডিপিডিসি তাদের চাকা রেখে দেয়ায় জায়গাটি কাজে লাগাতে পারছে না বলে দলিল লেখকদের অভিযোগ রয়েছে। কেননা ঢাকা-নারায়ণগঞ্জ লিংরোডের কাজ ধরার আগে রেজিষ্ট্রি অফিসের জায়গাটি দলিল লেখকরা টিনের ঘর বানিয়ে ব্যবহার করতেন। কিন্তু বছর খানিকের বেশি হতে যাচ্ছে ডিপিডিসির রাখা চাকা না সরানোর কারনে তা মাদককারবারিদের দখলে রয়েছে। আর এই সুযোগে মাদক ব্যবসায়ীরাও অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছেন। তাই ডিপিডিসি সহ পুলিশ প্রশাসনের প্রতিক্ষোভ প্রকাশ করেন সচেতন মহল থেকে শিক্ষার্থীরা।
অপরদিকে এই বছরের ১২ মার্চ নারায়ণগঞ্জের সিদ্ধিরগঞ্জ থানার মাদক মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সাথে আরো ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরো ৬ মাসের সশ্রম কারাদণ্ড প্রদান করা হয়েছে। জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মোমিনুল ইসলাম এই রায় ঘোষণা করেন। মাদক ব্যবসায়ীরা শাস্তির আওতায় আসলেও এই জঘন্য অপরাধ ছাড়ছে না।
জানা যায়, সারা দেশের ন্যায় নারায়ণগঞ্জের শহরগুলোর অলিগলি, স্কুল-কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে ছড়িয়ে পড়েছে নানা ধরনের মাদক। শিক্ষার্থীরা মাদক কারবারিদের মূল টার্গেট। তাদের মধ্যে আর রাখঢাক নেই। অনেকটা প্রকাশ্যেই চলছে মাদকের ব্যবহার। দেশের অস্থিতিশীল পরিস্থিতি, শিক্ষাঙ্গনে দীর্ঘ সময়ের অচলাবস্থা পর্যায়ে নিয়ে গেছে বলে বিশেষজ্ঞদের মত। বলা হচ্ছে, মাদকের চাহিদা ও ব্যবহারকারীদের বিষয়ে যতটা নজর, ততটা নেই সরবরাহের দিকে। সরবরাহ চলছে প্রায় অবাধে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে গত সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি থেকে আবারও শুরু হয়েছে মাদকবিরোধী অভিযান। ফলে কিছু মাদক কারবারি ধরাও পড়ছে । সম্প্রতি অস্ত্র উদ্ধারের পাশাপাশি মাদকের বিরুদ্ধেও যৌথ বাহিনী অভিযান শুরু করেছে। মাদক নিয়ন্ত্রণে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে দেওয়া হয়েছে কঠোর নির্দেশ। কিন্তু কোন ভাবে মাদক কারবারিদের থামানো যাচ্ছে না।
নারায়ণগঞ্জ পুলিশ সুপার প্রত্যুষ কুমার মজুমদারের সাথে একাধিকবার যোগাযোগ করা হলে তার নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়।
নারায়ণগঞ্জ ঢাকা পাওয়ার ডিষ্ট্রিবিউশন লিমিটেড পূর্ব নির্বাহী প্রকৌশলী নাইম হোসেনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন কল রিসিভ করেননি।