শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৭ ১৪৩১

অপহৃত চাল ব্যবসায়ীর মৃত্যু, ভবন মালিককে আটকে পুলিশের গাফিলতি

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ৫ জুলাই ২০২১  

আড়াইহাজারে অপহৃত চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুর পর ৬ ব্যক্তির বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করা হয়েছে। প্রধান অভিযুক্ত স্থানীয় ইলমদী কান্দাপাড়া এলাকার এনামুল ও একই এলাকার শফিকুলের ছেলে ফেসদৌসসহ অজ্ঞাত আরও ৬ ব্যক্তিকে মামলায় আসামী করা হয়েছে। ঘটনার দিন ভবনের মালিক দায়েন ঘটনাস্থলে ছিলেন। মামলার বাদীর দাবী ভবন মালিক অপহরণের বিষয়টি জানতেন। তার পরও তিনি পুলিশকে বিষয়টি জানায়নি। ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত ছিলেন।

 

এদিকে স্থানীয়দের বলেছেন ভবনের মালিককে আটকে পুলিশের গাফিলতি রয়েছে। স্থানীয় অনেকেই জানান, ভবন মালিককে আটক করার পর পুলিশ তাকে ছেড়ে দিয়েছিল। মামলা হওয়ার পর সে পলাতক রয়েছে।  গত শুক্রবার সন্ধ্যায় মৃতের ছোট ভাই কাইয়ুম বাদী হয়েছে মামলা করেন। পুলিশ এ পর্যন্ত অভিযুক্তদের মধ্যে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি। এর আগে গত বৃহম্পতিবার রাতে শেখ হাসিনা ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

 

তিনি স্থানীয় ইলমদী খন্দকারকান্দী এলাকার মৃত আব্দুল খালেকের ছেলে।প্রসঙ্গত. ৩০ জুন বেলা ১টার দিকে আড়াইহাজার থানা থেকে কিছু অদূরে চৌধুরীপাড়া জৈনক দায়েন নামে এক ব্যক্তির মালিকানাধীন (৫তলা) ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষ থেকে তাকে উদ্ধার করে পুলিশ। এ সময় তার হাত ও পা রশি দিয়ে ও মুখ গামছা দিয়ে বাঁধা অবস্থায় ছিল। ২৯ জুন বেলা ১টার দিকে নিজ ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের চাল কিনতে ১ লাখ টাকা নিয়ে আড়াইহাজার পৌরসভা বাজারে গিয়ে তিনি অপহরণের শিকার হন। তার ব্যবহারের মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে তাকে খোঁজাখুঁজি করে না পেয়ে সন্দেহ হলে থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী (জিডি) করা হয়।

 

মৃতের পরিবার সূত্রে জানা গেছে, ২৯ জুন বেলা ১টার দিকে চাল ব্যবসায়ী ইব্রাহিম নিজ বাড়ি থেকে এক লাখ টাকা নিয়ে আড়াইহাজার পৌরসভা বাজারের পাইকারী চালের দোকানে চাল কিনতে যান। বিকালে হঠ্যাৎ তার ব্যবহারের মোবাইলটি বন্ধ পাওয়া যায়। পরে পরিবারের সন্দেহ তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করা হয়। তাতে কোন হদিস পাওয়া যাচ্ছিল না। ৩০ জুন বেলা ১টার দিকে আড়াইহাজার পৌরসভা বাজারের পাশে চৌধুরীপাড়া এলাকায় দায়েন নামে এক ব্যবসায়ীর (৫তলা) ভবনের নিচতলায় একটি কক্ষে তালা বদ্ধ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করা হয়। এ সময় তার হাত,পা দড়ি বাঁধা এবং মুখে গামছা দিয়ে পেঁচানো অবস্থায় ছিল।

 

এদিকে মৃতের ছোট ভাই কাইয়ুম বলেন, ১ লাখ ২৫ হাজার টাকা পাওনা ছিল। মঙ্গলবার ১২টার দিকে আসলে ২১ হাজার টাকা দেবে বলে মোবাইল ফোনে ডেকে নিয়ে আসা হয়। তবে এবিষয়টি অস্বীকার করে আড়াইহাজার থানায় ওসি (তদন্ত) আনিচুর রহমান মোল্লা বলেন, ভবন মালিক দায়েনকে আমরা আটক করিনি, খুজিঁনি বা তাকে জিজ্ঞেসাবাদও করা হয়নি। এটা যে আপনাদেরকে বলেছে এটা সত্য নয়। তিনি বলেন, এটা আন্ডার এনভেস্টিগেশন এর বেশি আমি বলতে পারবো না। এটা তদন্তের বিষয়। আমরা কখনো তাকে আটক করিনি বা ডেকেও আনিনি। 
 

এই বিভাগের আরো খবর