বুধবার   ২৪ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১১ ১৪৩১

আইএমএফের ঋণ পেতে হলে মানতে হবে ৫ শর্ত

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১০ নভেম্বর ২০২২  

 

# কোন দেশের ঋণের ব্যাপারে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সমঝোতা হলে, সেটি প্রত্যাখ্যানের নজির নেই

 

আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বাংলাদেশকে ৪৫০ কোটি ডলার ঋণ দিতে প্রাথমিক সম্মতি দিয়েছে। এ বিষয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আইএমএফ প্রতিনিধি দলের সমঝোতা হয়েছে।

 

 

আইএমএফ প্রাথমিক সম্মতি দিলেও তা এখনও চূড়ান্ত হয়নি। কারণ, বাংলাদেশে আসা আইএমএফের প্রতিনিধি দল তাদের প্রতিবেদন জমা দেওয়ার পর আইএমএফের এক্সিকিউটিভ বোর্ড চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবে। তবে, কোন দেশের ঋণের ব্যাপারে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সমঝোতা হলে সেটি প্রত্যাখ্যানের নজির নেই।

 

 

শর্ত ৫টি হলো:

 

 ১. রাজস্ব বাড়ানো এবং যৌক্তিক ব্যয় ব্যবস্থা চালু করা। বিশেষ করে প্রবৃদ্ধিতে ভূমিকা রাখার বিষয়টি বিবেচনায় রেখে ব্যয় নির্ধারণ করতে হবে। যারা নাজুক অবস্থায় থাকবে, সেসব খাত লক্ষ্য করে সুনির্দিষ্ট সামাজিক সুরক্ষা কর্মসূচি নেওয়া।

 

২. মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণ এবং আধুনিক মুদ্রানীতি তৈরি করা। সেই সঙ্গে মুদ্রা বিনিময় হার আরও নমনীয় করে তোলা। মূল্যস্ফীতি নিয়ন্ত্রণে কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারবে আধুনিক মুদ্রানীতি।

 

৩. আর্থিক খাতের দুর্বলতা দূর করা, নজরদারি বাড়ানো, সরকার ও নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষের আওতা বৃদ্ধির পাশাপাশি পুঁজিবাজারের উন্নয়ন করা।

 

৪. বাণিজ্য ও বৈদেশিক বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে পরিবেশে তৈরি, মানব দক্ষতা বৃদ্ধি, আর্থিক খাতে সুশাসন নিশ্চিত করে ব্যবসায়িক পরিবেশ উন্নত করা।

 

৫. জলবায়ু পরিবর্তনের ক্ষতি কাটাতে প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করে তোলা, পরিবেশের উন্নতির পদক্ষেপ নেয়া এবং জলবায়ু সংক্রান্ত খাতে আরও বিনিয়োগ ও আর্থিক সরবরাহ নিশ্চিত করতে হবে।

 

 

ইতিমধ্যে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা যেভাবে চেয়েছিলাম আইএমএফ সেভাবেই আমাদের ঋণ দিচ্ছে।

 

 

অর্থমন্ত্রী বলেন, আইএমএফ তিন মাসের মধ্যে এই ঋণের আনুষ্ঠানিকতা চূড়ান্ত করবে। ঋণের প্রথম কিস্তি আসবে ২০২৩ সালের ফেব্রুয়ারিতে। সাত কিস্তিতে ২০২৬ পর্যন্ত এ ঋণ আসবে।

 

 

অর্থমন্ত্রী আরও বলেন, আইএমএফের ঋণের সুদহার হবে বাজারদর অনুযায়ী। তাতে গড় সুদহার হবে ২.২০ শতাংশ। এন.এইচ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর