শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আইসিইউ শয্যা ফাঁকা তবে শেষ নেই টিকা নিতে আসা মানুষের দুর্ভোগ

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১২ সেপ্টেম্বর ২০২১  

করোনা সংক্রমণ কমতে থাকায় নারায়ণগঞ্জ কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে আইসিইউ শয্যা ফাঁকা হতে শুরু করেছে। গতকাল দশ বেডের আইসিইউ শয্যার মধ্যে চার বেডই শূন্য। অন্যদিকে সাধারণ শয্যায় তেমন একটা রোগী নেই। একশত দশ শয্যার মধ্যে ৭৬ শয্যা খালি। তবে হাসপাতালে রোগী তেমন একটা না থাকলেও করোনা টেস্ট ও করোনা টিকা’র লাইন প্রতিদিনই দীর্ঘ হচ্ছে।

 

প্রথম ডোজের লাইন দ্বিতীয় ডোজের লাইন ও করোনা টেস্ট’র লাইন হ-য-ব-র-ল অবস্থা। স্বাস্থ্য বিধির কোন বালাই নেই। টিকা নিতে ও করোনা টেস্ট করতে আসা মানুষের অভিযোগ ভুথ কম থাকায় দূর্ভোগের শেষ নেই। ঘন্টার পর ঘন্টা লাইনে দাঁড়িয়ে এখনও টিকা নিতে পারিনি। গতকাল কোভিড হাসপাতাল ঘুরে এসব তথ্য পাওয়া গেছে।



সিদ্বিরগঞ্জের আলী হোসেন জানান, ম্যাসেজ পেয়ে প্রথম ডোজের টিকা নিতে এসেছেন এই কোভিড-১৯ ডেডিকেটেড হাসপাতালে। কিন্তু তিনি কোন লাইনে দাঁড়াবেন বুজার উপায় নেই। তাই তিনি একেক লাইনে গিয়ে জিজ্ঞাসা করছেন প্রথম ডোজের কোন লাইন। যাইহক লাইন খুজে পেলেও একেবারে পিছনে দাঁড়াতে হয়েছে। তার অভিযোগ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের গাফলতির জন্য এই অবস্থা।          



এদিকে হাসপাতাল ঘুরে দেখা গেছে রেড ক্রিসেন্ট কর্মিরা বলেনটিয়ারের দ্বায়িত্ব সঠিক ভাবে পালন না করায় টিকার লাইনের হ-য-ব-র-ল অবস্থা। কোনটা কোন লাইন সাধারণ মানুষ তা বুজতে না পেরে প্রথম ডোজের মানুষ দ্বিতীয় ডোজের লাইনে দাঁড়াতে দেখা গেছে। অনেকে ঘন্টার পর জানতে পারেন তিনি সঠিক লাইনে নেই। রেডক্রিসেন্ট কর্মিরা ইতিমধ্যে সংঘাতে জড়িয়ে পরেছেন। গতকাল পুলিশের সাথে তাদের কথাকাটাকাটি হওয়ায় দ্বায়িত্ব পালন না করেই চলে গেছেন।



হাসপাতাল সুত্র জানিয়েছে, রেডক্রিসেন্ট কর্মিরা নিজেদের স্বজনসহ সাধারণ মানুষের কাছে টাকা নিয়ে টিকা দিচ্ছেন। এসব মানুষের লাইনে দাঁড়ানো লাগে না। তাদের ইনোফরম পরিয়ে এসব মানুষদের লাইন ছাড়াই ভিতরে নিয়ে টিকা দিচ্ছেন। এনিয়ে দ্বায়িত্ব পালন করা পুলিশের সাথে রেডক্রিসেন্ট কর্মিদের কয়েক দিন থেকেই চলছে কথাকাটাকাটি। গতকাল তারই বহিপ্রকাশ।



এ ব্যাপারে কোভিড হাসপাতালের চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়ক আবুল বাসার জানান, করোনা সংক্রামন কমে আসায় রোগীর চাপ কমেছে। আইসিইউসহ সাধারণ শয্যা খালি আছে। তবে করোনা টেস্টসহ টিকা নিতে আসা মানুষের চাপ বেড়েই চলেছে। প্রতিদিন গড়ে দুই হাজার মানুষ করোনা পরিক্ষাসহ টিকা নিচ্ছেন। মানুষের অভিযোগ থাকতেই পারে। প্রথম ৫টি ভুথ ছিল। গতকাল আরো দুইটি ভুথ চালু করা হয়েছে। এতো মানুষের চাপ সামলানো দুরস্কর। তারপর এই হাসপাতালে জনবল সংকট রয়েছে। গতকাল রেডক্রিসেন্ট কর্মিরা তাদের দ্বায়িত্ব পালন না করে চলে গেছে। অভিযোগ অনেকেই করে সব অভিযোগ ঠিক না।
 

এই বিভাগের আরো খবর