শনিবার   ২০ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙিয়ে টোকাই নাসিরের ব্যাপক চাঁদাবাজি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২৭ মে ২০২৩  

 

নারায়ণগঞ্জ-৫ আসনের প্রয়াত সংসদ সদস্য নাসিম ওসমানের পুত্র আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গিয়ে ব্যাপক চাঁদাবাজির অভিযোগ উঠেছে তার সেকেন্ড ইন কমান্ড নাসিরের বিরুদ্ধে। নারায়ণগঞ্জ সদর উপজেলার গাবতলী-ইসদাইর এলাকায় নতুন বাড়ি নির্মাণ, ছোট-বড় ব্যবসা পরিচালনা অথবা জমি কিনতে গেলে নাসিরকে চাঁদা দিতে হয় বলে অভিযোগ উঠেছে।

 

আরও অভিযোগ রয়েছে, চাঁদা না দিলেই শুরু হয় লুটপাট, ভাঙচুর ও মারধর। শুধু এতেই ক্ষান্ত হন না বর্তমানে আজমেরী ওসমানের ট্যাগ লাগানো ও এক সময়ের ছিচকে চোর নাসির। দলবল নিয়ে দেশীয় অস্ত্র ও আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালানোর অভিযোগ রয়েছে নাসিরের বিরুদ্ধে। গাবতলী-ইসদাইর এলাকায় বাড়ি বা ব্যবসা করতে গেলেই দিতে হয় চাঁদা এমন অভিযোগ ভুক্তভোগীদের।

 

এতো এতো অপকর্ম করলেও ওসমান পরিবারের চতুর্থ প্রজন্মের সন্তান আজমেরী ওসমানের নাম ভাঙ্গানোর কারণে তার বিরুদ্ধে কেউ কোনো ব্যবস্থা নেয় না। এমনকি থানা পুলিশও তাদের এড়িয়ে চলাকে ভালো মনে করে। স্থানীয় একটি পত্রিকা অফিসে হামলার মামলা সহ একাধিক মামলা রয়েছে টোকাই থেকে সন্ত্রাসী হওয়া এই নাসিরের বিরুদ্ধে।

 

অনুসন্ধানে জানা যায়, গাবতলী-ইসদাইর এলাকায় বেশ কয়েকটি গার্মেন্টস শিল্প কারখানা আছে। সেগুলো থেকে সন্ত্রাসী কায়দায় ঝুট নামানো থেকে শুরু করে বাড়ি নির্মাণকারীদের কাছ থেকে ব্যাপক চাঁদাবাজী করছে এই নাসির। এছাড়া, ডিস ব্যবসা, ইন্টারনেট ব্যবসাসহ ছোট-বড় ব্যবসায়ীদেরও নিয়মিত চাঁদা দিতে হয় নাসিরকে। যে কোনো ব্যবসায় হাত দিলেই চাঁদা দিতে হয় আজমেরীর এই সহযোগীকে এমন অভিযোগ অসংখ্য ব্যক্তিদের।

 

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ভুক্তভোগী জানান, ইসদাইর এলাকায় বাড়ি নির্মাণ করেছেন তিনি। নির্মাণ কাজ চলাকালীণ সময়ে ১০ লাখ টাকা চাঁদা দাবি করে নাসির। তিনি চাঁদা দিতে রাজি না হওয়ায় সন্ত্রাসী বাহিনী নিয়ে বাড়িতে ঢুকে ধারালো অস্ত্র ও লোহার রড দিয়ে আঘাত করে রক্তাক্ত করা হয় তাকে। তার স্ত্রীকেও বেধরক পিটিয়ে আহত ও লাঞ্ছিত করেন। স্থানীয়দের পরামর্শে থানা পুলিশে না গিয়ে পরবর্তীতে চাঁদার টাকা দিয়ে বাড়ি নির্মাণ করি। কেননা স্থানীয়রা বলেছিলো, ওরা আজমেরী ওসমানের লোক, ওদের বিরুদ্ধে পুলিশ কোনো ব্যবস্থাই নিবে না, উল্টো ঝামেলা আরও বাড়বে, তাই বাধ্য হয়ে চাঁদার টাকা দিয়ে দেই।

 

এমন অসংখ্য অভিযোগকারী আছে নাসিরের বিরুদ্ধে। কিন্তু আজমেরী ওসমানের ভয়ে কেউ মুখ খুলে না। কেউ প্রতিবাদ করলে তার উপর নেমে আসে নির্যাতনের খড়গ। ফলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের প্রতি এলাকাবাসীর দাবি, অনতিবিলম্বে এ ধরনের কুখ্যাত অপরাধী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা হোক।

এস.এ/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর