শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

আনোয়ার-জসিম পরিষদের জমজমাট প্রচারণা

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১২ জানুয়ারি ২০২২  

আনোয়ার- জসিম পরিষদের ছয় প্রার্থীর জমজমাট প্রচারণা চালিয়ে আদালত পাড়ায় সাধারণ আইনজীবী ভোটারদের কাছে পূর্ণ প্যানেলের জন্য ভোট প্রার্থনা করেছেন ।

আনোয়ার- জসিম পরিষদের ছয় প্রার্থীর জমজমাট প্রচারণা চালিয়ে আদালত পাড়ায় সাধারণ আইনজীবী ভোটারদের কাছে পূর্ণ প্যানেলের জন্য ভোট প্রার্থনা করেছেন ।

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আনোয়ার- জসিম পরিষদের ছয় প্রার্থীর জমজমাট প্রচারণা চালিয়ে আদালত পাড়ায় সাধারণ আইনজীবী ভোটারদের কাছে পূর্ণ প্যানেলের জন্য ভোট প্রার্থনা করেছেন । মঙ্গলবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আদালপাড়া ও আদালতের বাইরে আইনজীবীদের চেম্বারে চেম্বারে গিয়ে পূণ্য প্যানেলের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন। 

 

ভোট প্রার্থনাকালে  তারা বলেন, নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ আইনজীবীদের মর্যাদা ও অধিকার আদায়ের রক্ষার্থে নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির (২০২২- ২০২৩) সালের কার্যকরী পরিষদ নির্বাচনে বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ ও গণতান্ত্রিক আইনজীবী পরিষদ মনোনীত এড. আনোয়ার হোসেন ও এড. মো. জসিম উদ্দিন পরিষদে আমরা পূণ্য প্যানেল না দিলে গুরুত্বপূর্ণ ৬টি পদে প্রার্থী দিয়েছি। আপনারা আইনজীবীব সমাজ অত্যন্ত বিচেক্ষণ সমাজ। আপনাদরে সুচিন্তিত মতামত অবশ্যই যোগ্য ও প্রাথীকেই ভোট দিবেন বলেই আমাদের বিশ্বাস। আপনারা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পানে না। আমরা নির্বাচনের মাঠে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকবো ইনশাল্লাহ।


 প্রচারণা শেষে সভাপদি প্রার্থী এড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আগামী ১৮ জানুয়ারি নির্বাচনে আমরা পূর্ণাঙ্গ প্যানেল না দিলেও আমরা গুরুত্বপূর্ণ পদ গুলোতে নির্বাচন করবো। ৬টি গুরুত্বপূর্ণ পদে প্রার্থী হয়েছি। ইতিপূর্বে আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আশা স্বরূপ না হওয়ায় ক্ষোভের বহিপ্রকাশ ঘঠেছে। সেই ক্ষোভের কারনেই আমাদের এই প্যানেল দেওয়ার মূল কারন।

 

আমরা চাই সাধারণ আইনজীবীরা যাতে নির্বিঘ্নে বুতের ঘরে গিয়ে ভোট দিতে পারে। আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে হাতে বহিরাগতরা কোনো হস্তক্ষেপ না করতে পারে তার জন্য আমরা নির্বাচন করেও কিন্তু প্রতিবাদ করেছি। কিন্তু সেটা যেকোনো কারনেইহোক সম্ভব হয় নাই। তিনি আর বলেন, নির্বাচনে তিনটি প্যানেল হয়েছে আমরা মাত্র ছয় জন প্রার্থী দিয়েছি। আমরা যারা এখানে প্রার্থী হয়েছি সকলেই ছাত্রলীগ, যুবলীগ ও আওয়ামীলীগের রাজনীতি করছি। পাশাপাডিশ পেশাজীবী সংগঠনের সাথেও আছে।  আগামী ১৮জানুয়ারি আপনারা আমাদের পূর্ণ প্যানেলের এই ছয় জন প্রার্থীকে ভোট দিয়ে বিজয়ী করবেন।


সাধারন সম্পাদক প্রার্থী এড. মো. জসিম উদ্দিন বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিচারপতি ও নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের সাংসদ সদস্যরা আপনারা আমাদের এই বারের অভিভাবক। আপনারা এস দেখে যান ২০০২ হতে ২০০৬ সাল পর্যন্ত কারা এই বারের নির্যাতিত হয়েছেন। সেই সময়ে কারা সরকারের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করেছিলো। আপনারা এসে দেখে যান। আমরা ছিলাম আইনজীবীদের প্রতিনিধি আজকে আমরা বঞ্চিত। আমরা কিছু সংখ্যক আইনজীবীদের চক্রান্ত ও নির্যাতনের শিকার হচ্ছি। আমি পেশা দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে আওয়ামীলীগ করার কারনে নির্যাতিত ও নিপিনিড়ের শিকার ও হুমকি- ধামকির শিকার হচ্ছি। 

 

শুধু তাই গত নির্বাচনে আমাকে নির্বাচনের দিন সকাল বেলায় সন্ত্রাসীরা আমাকে ফিলিম স্টাইলে কিছু আওয়ামী আইনজীবীদের সামনে থেকে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। এর কোনো প্রতিগার ও বিচার আমি এখনও পাই নাই। আমি শুধু এটাই বলতে চাই  মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, বিচারপতি ও নারায়ণগঞ্জের পাঁচটি আসনের সাংসদ ও যারা আওয়ামীলীগের নেতারা আছেন তারা এসে দেখেযান আমরা আওয়ামী আইনজীবীরা কত নির্যাতিত ও নিপিড়িত। আর কত ধরের ভয়- ভীতির শিকার হচ্ছি। প্রিয় আইনজীবী ভাই ও বোনেরা আপনারা  সব কিছুই জানেন ও বুঝেন কারন আপনারা বাংলাদেশের প্রথম সারির নাগরিক।

 

তিনি আরও বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর আদর্শে বুকে ধারণ করে রাজনীতি করি। আমরা মুখে ধারণ করি না বুকে ধারন করি। আমাদের পরিষদের সবাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শেরে সৈনিক। আমরা অত্যন্ত অসহায় অবস্থায় আপনাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছি। আমরা যদিও ৬জন নির্বাচন করছি সবাই গুরুত্বপূর্ণ পদে নির্বাচন করছি। আইনজীবী ভোটারদের কাছে আমাদের অনুরোধ আসুন ব্যালেটের মাধ্যমে তাদেরকে বুঝিয়ে দেই আইনজীবীদের উপর যাতে কোনো বহিরাগতরা হাত উঠাতে না পারে। নির্বাচন কালীর সময়ে কোনো বহিরাগতরা এসে আমাদের চোখ রাঙ্গানী দিতে না পারবে। আর কেনো আইনজীবীকে যেনো আদালত থেকে উঠিয়ে নিয়ে যেতে পারে না। তিনি আরও বলেন, আমি আওয়ামীলীগের রাজনীতি করি, আমার চৌদ্দ গোষ্ঠী পর্যন্ত আওয়াশীলীগের রাজনীতির সাথে জড়িত। আর আমাকে আদালত থেকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে এর কোনো বিচার পাইলাম না।

 

 আমি এর বিচার চাই। আমার এই বিচার আইনজীবীরা তাদের ব্যালেটের মাধ্যমে জবাব দিবেন। আমরা প্যানেল দিয়েছি ইনশাল্লাহ আমরা নির্বাচনের দিন বিকেল ৫টা পর্যন্ত নির্বাচনে থাকবো। আপনারা আপনাদের সুচিন্তিত রায় দিবেন। আর রায়টা আমাদের পক্ষে দিবেন। ইনশাল্লাহ আমরা যদি নির্বাচিত হতে পারি তাহলে আর কিছু না পারি কোনো বগিরাগতদের এই কোর্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করতে দিবো না।


যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রার্থী এড. মামুন সিরাজুল মজিদ বলেন, আমাদের আনোয়ার- জসিম পরিষদের  নির্বাচনের এইটা শ্লোগান আছে, সেই শ্লোগান হচ্ছে আইনজীবীদের মর্যাদা রক্ষার্থে। আমাদের এ নির্বাচনে আসার একটাই উদ্দ্যেশ্য হচ্ছে কারন আমাদের আইনজীবী সমাজ লাঞ্চিত ও বঞ্চিত। এর জন্যই আমাদের এই প্যানেল নির্বাচনে আসছে। আমাদের এই প্যানেল নির্বাচিত হলে আইনজীবীদের সম্মান ও মর্যাদা থাকবে। কারো কাছে অসম্মানিত হতে হবে না। আমরা আইনজীবীদের এই কথা দিতে চাই আনোয়ার- জসিম পরিষদ যদি নির্বাচনে জয় লাভ করতে পারে তাহলে আইনজীবী সমিতিতে কোনো বহিরাগতের আসতে দেওয়া হবে না। 

 

এবং ,তাদেরকে প্রতিহত করা হবে। আদালত পাড়া আইনজীবীদের অঙ্গন এখানে কোনো বহিরাগদের ঠাই নাই। আইনজীবীরা তাদের ভোটের মাধ্যমেই নেতা ঠিক করবে কে প্রতিনিধি হবে। অন্য কেউ নির্ধারন করতে পারবে না। তিনি আরও বলেন, আমরা আইনজীবীদের দ্বারে দ্বারে ভোট চাইতে গিয়েছি। আমাদের ম্যাসেজ আমরা দিয়েছি। আইনজীবীরা চাচ্ছে পরির্বতন। যারা তাদের সম্মান ও মর্যাদা অক্ষুন্ন রাখতে পারে সেই প্রতিনিধিরাই যাতে করে বারের নির্বাচনে নির্বাচিত হয়। 

 

আর সেই প্রতিনিধি হচ্ছে আনোয়ার- জসিম পরিষদ। তিনি আরও বলেন, আমরাই বঙ্গবন্ধুর আদর্শের সৈনিক। আর যারা আছে তারা উটকিষ্ট তারা কেউ না। আমাদের বঙ্গবন্ধুর আদর্শ বুকে লালন করি। বঙ্গবন্ধু কোনো দিন তার নীতি ও আদর্শে আপোষ করেনি। সুতারাং আমরা তার সেই নীতি ও আদর্শ বুকে ধারণ ও লালন করি। আগামী ১৮ জানুয়ারি আইনজীবী সমাজ আনোয়ার- জসিম পরিষদকে বিজয়ী করবে। আমরা মনে করি আমাদের বিজয় হলে বিজয় হবে আইনজীবী সমাজ।


কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী এড. মো. রোমেল মোল্লা আইনজীবীদের কাছে ভোট প্রার্থনা করে বলেন, আমাদের প্যনেল হচ্ছে আইনজীবীদের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষার্থে। আইনজীবীরা যাতের তাদের আইন পেশা সুন্দরভাবে পরিচালনা করতে পারে তার জন্য এবয় বহিরাহত কোনো সন্ত্রাসীরা এসে যাতে কোনো আইনজীবী গায়ে হাত দিতে না। আর সেই হাত যেনো আমরা আইনজীবীরা সম্মিলিতভাবে ডুমরিয়ে মুচকিয়ে দিতে পারি। সেই প্রতিবাদী প্যানেল হলো  আনোয়ার- জসিম পরিষদ। আইনজীবীদের কাছে আমার উদ্ধাত্ত আহবান আসুন আমরা আইনজীবীদের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষার্থে আনোয়ার- জসিম পরিষদকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করি। আইনজীবীরা যাতে সম্মানের সাথে তাদের পেশা পরিচালনা করতে পারে এবং তাদের ভোটের অধিকার প্রয়োগ করতে পারে।


উল্লেখ্য, আগামী আঠারো জানুয়ারি নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এবারও প্রধান নির্বাচন কমিশনারের দায়িত্ব পালন করছেন সিনিয়র আইনজীবী এড. শামসুল ইসলাম ভূ্ইঁয়া। নির্বাচনে বিএনপি সমর্থিত জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ঐক্য পরিষদ মনোনীত প্যানেল ও বঙ্গবন্ধু আওয়ামী আইনজীবী পরিষদ সমর্থিতও সম্মিলিত আইনজীবী সমন্বয় পরিষদ মনোনীত দুুটি প্যানেলও এবার নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে।

এই বিভাগের আরো খবর