শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৫ ১৪৩০

আনোয়ার-জসিম পরিষদের হুঁশিয়ারি আমরা মাঠে খেলবো, ছয়জনেই কাপ নেব

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারি ২০২২  

নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আনোয়ার- জসিম পরিষদের সাধারন সম্পাদক প্রার্থী এড. মো. জসিম উদ্দিন হুঁশিয়ারি দিয়েই বলেছেন, কান্তিকালে আমরা ৬জন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে প্রার্থী হয়েছি। সিনিয়র আইনজীবী এড. আনোয়ার হোসেনের নেতৃত্বে আমরা নির্বাচন করছি। আমরা আইনের শাসন ও আইনজীবীদের অধিকারের মর্যাদা প্রতিষ্ঠা করতে চাই।

 

আইনজীবীদের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠা করতে চাই। এই সকল প্রতিষ্ঠা আদায়ের লক্ষ্যে আমরা নির্বাচন করছি। আমরা মাত্র ৬জন প্রার্থী দিয়েছি এতে করে আমাদের প্রতিপক্ষ প্যানেলের হাটু কাঁপিতেছে আর যদি ১৭জন প্রার্থী দিতাম তাহলে আপনারা তো মাঠেই থাকতে পারতেন না। গত বছর আপনাদের সামনে থেকে সন্ত্রাসীরা আমাকে তুলে নিয়ে গেছিলো। আর আজকে আপনারা বলেন আমি ভীতূ। আরে আমি একা থাকছিলাম এতেই আপনাদের হাটু কাঁপছিলো। আর মোটাতাজা হলেই খেলোয়াড় ভালো হয় না। আমরা মাঠে খেলবো ৬জনেই কাপ নিয়ে যাবো। যদি সৎ সাহস থাকে তাহলে আসেন ভোটযুদ্ধে। কৌশল কইরেন অপকৌশল কইরেন না। ওনারা যার আর্শিবাদ পুষ্ট বলেন তাদেরকে আমি বলি আমরা সব সময়ই আপনাদের শ্রেদ্ধা করি আপনাদের নামে আমরা শ্লোগান দিয়েছি। আইনজীবী সমিতির নির্বাচন রাজনীতি সংগঠন না এটি পেশাজীবী সংগঠন। যারা আপনাদের কথা বলে তাদের একবার পরীক্ষা নেন দেখেন তারা পাশ করে কিনা। তারা শুন্য শুন্য শুন্য ভোটে ফেল করবে আমি বলেদিলাম। যদি আমার কথা বিশ্বাস না হয় তাহলে আপনারা আমাকে যে ধরনের শাস্তি দিবেন আমি মাথা পেতে নিবো।


বুধবার সকাল থেকে বিকেল পর্যন্ত আদালপাড়া ও আদালতের বাইরে আইনজীবীদের চেম্বারে চেম্বারে জমজমাট প্রচারণা চালিয়ে পূণ্য প্যানেলের জন্য ভোট প্রার্থনা করেন নারায়ণগঞ্জ জেলা আইনজীবী সমিতির নির্বাচনে আনোয়ার- জসিম পরিষদের ছয় প্রার্থী। ভোট প্রার্থনা কালে তারা বলেন, আপনারা কারো রক্তচক্ষুকে ভয় পানে না। আমরা নির্বাচনের মাঠে আছি এবং শেষ পর্যন্ত থাকবো ইনশাল্লাহ। পরে তারা আইনজীবীদের উদ্দ্যেশে বক্তব্যে রাখেন। বক্তব্যে কালে সাধারন সম্পাদক পদপ্রার্থী এড. জসিম উদ্দিন এসব কথা গুলো বলেন।


জসিম উদ্দিন নির্বাচন কমিশনারের উদ্দেশ্যে করে বলেন, জনাব প্রধান নির্বাচন কমিশনার আপনার বয়স হয়েছে। আপনি দীর্ঘদিন ধরেই আওয়ামীলীগের রাজনীতি করেছেন। আমরা আপনার সন্তানের মতো আমাদের সভাপতি প্রার্থী আনোয়ার হোসেন আপনার রাজনীতি করেছেন। আপনার পক্ষের যিনি সভাপতি প্রার্থী হয়েছেন ওনি কিন্তু আপনার সাথে রাজনীতি করেন নাই। আজকে আপনি ওনাকে (আনোয়ার হোসেন)কে হাইব্রিড বানিয়ে বিভিন্ন ধরের অপকৌশল করতাছেন। আপনাকে সামনে রেখেই আনোয়ার সাব সব সময়ই মিটিং মিছিল করেছে। একসাথে নির্যাতন নিপিড়িন সহ্র করেছে। আপনি আজ নিজের সন্তানকে চিনেন না। আর যাকে পেলে লালন- পালন করছেন ওনি বেইমান, বেইমান, বেইমান ওনি গুরুমারা শিষ্য। যেই গুরু ওনাকে এই কোর্টে লালন করেছে সেই গুরুর অস্থিত্ব খেয়ে ফেলেছে। ভবিষ্যতে আপনাদেরকেও খেয়ে ফেলবে। নির্বাচন কমিশনারকে বলি নিরপেক্ষ নির্বাচন দেন। আমরা ৬জন দাঁড়িয়েছি যদি ফেল করি,আইনজীবীরা ভোট না দেয় সালাম। আর যদি পাশ করি তাহলে দুই বার সালাম। আমরা পরীক্ষায় অবর্তীন হতে চাই। আপনারা কৌশল কইরেন না। আপনারা তো রাজনৈতিক কৌশল করেন না করেন রাজনৈতিক ষড়যন্ত। স্বৈরাচারী কৌশল করে বহিরাগতদের এনে আমাদের হুমকি দেন।


তিনি আরও বলেন, গত বছর সকাল বেলা সকল আইনজীবী ও সাংবাদিকরা জানেন আমাকে কি করা হয়েছে। আজকে তারা আমাকে নিয়ে কিটিসাইজ করে। আরে আমি তো একা লড়ি এটা আমার অহংকার। আমার অহংকার আমি আওয়ামীলীগ করি, আমি বঙ্গবন্ধুর সৈনিক। বঙ্গবন্ধু মাথা নত করেন নাই বঙ্গবন্ধুর সৈনিকও কোনো দিন মাথা নত করবে না। আপনাদের যদি সৎ সাহস হয়ে থাকে তাহলে নিরপেক্ষ নির্বাচন দিন। গত ১০জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস গেলো আমাদের অপপজিশন প্যানেলের একজনকে জিজ্ঞেস করলে তিনি বলেন জানেন না। তাহলে কি জানে তারা কিসের আওয়ামীলীগ করে। 

 

তারা আওয়ামীলীগ করে না তারা হাইব্রিড আওয়ামীলীগ। আমার অনুরোধ নির্বাচন কমিশনারের কাছে গত বছর আপনাদের সামনে থেকে আমাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি করতে দিবেন না। প্রধান নির্বাচন কমিশনার এড. শামসুল ইসলাম সাহেব আমরা আপনাদের সন্তানের মতো। আমরা কষ্ট পেলে আপনারও পাওয়ার কথা। আপনার সন্তানের মতো আনোয়ার হোসেনের প্যানেলের প্রত্যেকটি সদস্যকে আপনি সম্মান দিয়ে কথা বলুন। আসুন ভোটযুদ্ধে আবর্তীন হোই। পেশা ও নিজেদের মর্যাদা রক্ষা করি।


সভাপদি প্রার্থী এড. আনোয়ার হোসেন বলেন, আগামী ১৮ জানুয়ারি নির্বাচনে সকল আইনজীবীদের ভোট ও সমর্থন এবং প্রার্থনা করি। নির্বাচনের সময় ঘনিয়ে আসছে। আমরা পুরা দমে ভোটারদের কাছে যাচ্ছি। ভোটাররাই আমাদের শেষ ভরসা। আমরা ভোটারদের কাছে যাচ্ছি ব্যাপক সাড়া পাচ্ছি। আমরা যেভাবে সাড়া পেয়েছি আল্লাহর রহমতে দৃঢ়ভাবে আশাবাদি যদি কোনো পেশী শক্তি না হয় আর বহিরাগতদের আনাগোনা না হয় তাহলে আইনজীবীদের ভোট আইনজীবীরা নিরভয়ে বুথের ঘরে গিয়ে ভোট দিতে পারে তাহলে আমরা বিপুল ভোটে জয়লাভ করবো। আর যারা নির্বাচনের দায়িত্বে আছেন তারা অত্যন্ত সঠিকভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। আমরা আগামী ১৮ জানুয়ারি ফেয়ার নির্বাচনের আশা করছি।


যুগ্ম সাধারন সম্পাদক প্রার্থী এড. মামুন সিরাজুল মজিদ বলেন, এই নির্বাচন হচ্ছে আইনজীবীদের অধিকার প্রতিষ্ঠা ও মর্যাদা রক্ষার্থে নির্বাচন। আমাদের এ নির্বাচন হচ্ছে এই বারের উন্নয়নের জন্য। আমরা বঙ্গবন্ধুর সৈনিক হিসেবে আদর্শের রাজনীতি করি। সুতারাং আজকে আমরা যারা নির্বাচন করছি আমরা আদর্শের দিক থেকেই নির্বাচন করছি। আমরা জাতির পিতার আদর্শকে অনুপ্রেরিত হয়ে যারা বঙ্গবন্ধু ও দেশকে ভালোবাসে আর যারা এই বারের মর্যাদা চায় তারা আনোয়ার- জসিম পরিষদকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে। এবং এই বারের উন্নয়নে আমাদের হাতকে আরও শক্তিশালী করবে। কোষাধ্যক্ষ প্রার্থী এড. মো. রোমেল মোল্লা আইনজীবীদের কাছে ভোট প্রার্থনা করে বলেন, আমাদের প্যনেল হচ্ছে আইনজীবীদের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষার্থে। আমার বিশ্বাস আইনজীবীরা তাদের মর্যাদা ও সম্মান রক্ষার্থে আনোয়ার- জসিম পরিষদকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করবে।

এই বিভাগের আরো খবর