আপনার ধৈর্য্য বাড়াবে যে কৌশলগুলো

ডেস্ক রিপের্ট (যুগের চিন্তা ২৪) : কোনো কিছু কি খুব দ্রুত পেতে চান আপনি? সেটা হতে পারে সফলতা, প্রেম বা খুব পছন্দের কিছু। আসলে বেশির ভাগই খুব দ্রুত তাদের চাওয়ার পূরণ করতে চায়।

আর এই কারণে অনেকেই হয়তো আরও বেশি হারিয়ে ফেলে। এমন অভ্যাস জীবনে আনে বিড়ম্বনা। তবে একটু ধৈর্য্য ধরলে ইতিবাচক ফলাফল পেতে অনেক সহজ হয়। যদিও ধৈর্য্য ধরা একটু কঠিন, কিন্তু ধৈর্য্য ধরতে পাররে আখেরে লাভ কিন্তু আপনারই।

ধৈর্য্য বাড়ানোর কিছু কৌশল জানিয়েছে জীবনধারা বিষয়ক ওয়েবসাইট ইনংডটকম। চলুন আজ তাহলে জেনে নেয়া যাক এম কিছু কৌশল-

অপেক্ষা করতে শিখুন : ধৈর্য্য শেখার সবচেয়ে বড় উপায় হলো, অপেক্ষা করতে শেখা। সাইকোলজি সায়েন্সের প্রকাশিত একটি প্রতিবেদন মতে, অপেক্ষা দীর্ঘমেয়াদিভাবে মানুষকে সুখী করে। ধরুন, কারো ফোন করার কথা, এখনো করছে না, হন্তদন্ত হয়ে তাকে ফোন না দিয়ে একটু অপেক্ষা করুন তার ফোন আসার।

গুরুত্বপূর্ণ কাজ করুন : মানসিক চাপ থেকে কিন্তু ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটে। তাই মানসিক চাপ বা কাজের চাপগুলো ব্যবস্থাপনা জরুরি। চাপ কমানোর একটি উপায় হলো অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো না করা। এমন কিছু বিষয়ের তালিকা করুন যেগুলো আপনার জন্য গুরুত্বপূর্ণ নয়। অপ্রয়োজনীয় কাজগুলো করে মানসিক চাপ তৈরি না করে জরুরি কাজগুলো আগে শেষ করুন। 

যে বিষয়ে অধৈর্য্য হচ্ছেন তা খাতায় লিখে রাখুন : যেসব বিষয় আপনাকে অধৈর্য করে তোলে সেগুলো সম্পর্কে একটু ভাবুন। প্রয়োজনে আপনার অস্থিরতার অনুভূতিগুলো খাতায় লিখে ফেলুন। এটি আপনাকে সেসব বিষয়ে ফোকাস করতে সাহায্য করবে। ভাবুন, অধৈর্য হয়ে কী পাচ্ছেন আপনি, উল্টো হয়তো ছোট হচ্ছেন অন্যের কাছে। তাই চেষ্টা করুন এ সময়টায় শিথিল থাকার। 

শিথিল থাকুন এবং গভীর শ্বাস নিন : খুব অধৈর্য্য লাগলে শিথিল থাকার চেষ্টা করুন। আর এ ক্ষেত্রে গভীরভাবে শ্বাস নিতে পারেন। এটি ওই সময়ের জন্য আপনাকে শান্ত করতে সাহায্য করবে। এই ক্ষেত্রে নাক দিয়ে গভীরভাবে শ্বাস নিন। কিছুক্ষণ দম আটকে রাখুন। এবার মুখ দিয়ে দম বের করুন। আবার নাক দিয়ে শ্বাস নিন। কয়েকবার এই পদ্ধতি অনুসরণ করুন। এ পদ্ধতি আপনাকে কিছুটা হলেও স্বস্তি দেবে।  

তাহলে আর দেরি কেন! শুরু করে দিন ধৈর্যশীল হওয়ার কৌশলগুলো। আর আপনি হয়ে যান ধৈর্যশীল মানুষদের একজন।