শুক্রবার   ২৯ মার্চ ২০২৪   চৈত্র ১৪ ১৪৩০

আবারো বেপরোয়া চিহ্নিত চাঁদাবাজ কাইল্লা মাসুদ

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ৪ মার্চ ২০২৩  


# শুধু সিএনজি থেকে চাঁদা নেই : মাসুদ 

# চাঁদাবাজদের কাছে প্রশাসনের  ব্যর্থতা!!!

 

নারায়ণগঞ্জ জেলার সাইনবোর্ড এলাকায় চাঁদাবাজির মহাউৎসবে পরিণত হয়েছে। আর এই সকল চাঁদাবাজরা অনেকটা প্রশাসনের কোন ধরনের তোয়াক্কা না করেই দিব্বি চালিয়ে যাচ্ছে। এই সকল চাঁদাবাজদের নিয়ন্ত্রনে পরিবহন মালিক শ্রমিকরা কেউ ভালো নেই । তারা অনেকেই তাদের কাছ থেকে প্রতিনিয়তই হয়রানীর শিকার হতে হচ্ছে।

 

 

বিশেষ করে সাইনবোর্ড এলাকায় চাঁদাবাজদের কয়েকটা সিন্ডিগেট রয়েছে তার মধ্যে অন্যতম কাইল্লা মাসুদ।তার নেতৃত্বে কয়েকশ সিএনজি থেকে অবৈধভাবে প্রতিদিনই চাঁদা তুলে । শুধু তাই নয় কেউ যদি দিতে না চায় তাহলে সে তার উপর চারায় পাশবিক অত্যাচার। বছরের পর বছর এই চাঁদাবাজি করে গেলেও তাকে কেউ আটকাতে পারছে না।

 

 

তার এই চাদাঁবাজির কারনে বিভিন্ন সময় র‌্যাবের হাতে গ্রেফতার হলেও বের হয়ে আবারো সেই আগের চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়ে যায়। জানা যায়, বর্তমানে প্রশাসনের সাথে সখ্যতা গড়ে তুলে এখন তিনি ওপেন চাঁদাবাজিতে লিপ্ত হয়ে সাইনবোর্ড এলাকা চাঁদাবাজির স্বর্গরাজ্যে গড়ে তুলেছে। শুধু তাই নয় সাইনবোর্ড এলাকায় সকল অপকর্মের পিছনে এই কাইল্লা মাসুদের নাম আসবে।

 

 

শুধু সিএনজির চাঁদাবাজি করে থেমে থাকেনি এই চিহ্নিত চাঁদাবাজ কাইল্লা মাসুদ সাইনবোর্ড এলাকাতে যতো ফুটপাত আছে প্রত্যেকটির কাছ থেকে চাঁদা তুলে। তার এই চাদাঁর পরিমান প্রতি সিএনজি থেকে ২০০ আর এই সাইনবোর্ড এলাকায় কয়েকশ সিএনজি চলাচল করে আর তার চাঁদাবাজ বাহীনিরা এই চাঁদার টাকা কালেকশন করে। 

 

 

তবে এই সকল চাঁদার উঠানোর কথা তিনি অনেকটা স্বীকারও করেছে। তিনি জানান, আমি শুধু সিএনজি থেকেই টাকা তুলি আর অন্য কোন কিছু থেকে তুলি না। কিন্ত বিভিন্ন জায়গায় বিভিন্ন সেক্টরে টাকা দিতে হয় তাই তেমন কিছুই থাকে না।

 

 

অন্যদিকে কবির , কামাল, জাহাঙ্গীরসহ আরও বেশ কয়েকজন এই চাঁদাবাজিতে জড়িত রয়েছে । তাদের কাজ প্রতিটা অটো থেকে চাঁদা তোলা। আর এই সকল চাঁদাবাজরা প্রত্যেকেই অঢেল সম্পদের মালিক হয়েছেন। 

 

 

তবে এই সকল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে এখন কোন ব্যবস্থা না নেওয়ার কারনে তারা দিনদিন আরও বোপরোয়া হয়ে উঠেছে। সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেল প্রশাসনের নাকের ডগায় বসেই চালিয়ে যাচ্ছে তাদের এই চাঁদাবাজি। এই চাঁদাবাজদের বিষয়ে প্রশাসন কোন ধরনের কথা বলতে রাজি নন। অমনকি তারা বলেন তাদের চোখে নাকি পড়ে না। 

 

 

তবে অনেকেই মনে করেন প্রশাসন চাইলে যে কোন সময় এই সকল চাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহন করতে পারে তবে কেন করছেনা সেটা তারাই ভালো জানেন। কিন্ত চাাঁদাবাজদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা না নেওয়াতে অনেকেই ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তারা মনে করছেন প্রশাসনের নীরবতা এই সকল চাঁদাবাজদের আরও বেপরোয়া করে তুলছে। এন.হুসেইন/জেসি

এই বিভাগের আরো খবর