শুক্রবার   ২৬ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ১৩ ১৪৩১

আমরা স্বপ্ন দেখি স্মার্ট বাংলাদেশের : ডিসি

যুগের চিন্তা রিপোর্ট

প্রকাশিত: ২২ মার্চ ২০২৩  


 
নারায়ণগঞ্জ জেলা প্রশাসক (ডিসি) মঞ্জুরুল হাফিজ বলেছেন, মর্গ্যান এই পৌরসভার প্রশাসক ছিলেন। তিনি এই জায়গাটা দিয়েছিলেন এই স্কুলের জন্য। বাচ্চাদের কথা শোনানো শেখাতে হবে। কেউ বক্তব্য শুনতে চায় না। কথা শোনাটা খুব গুরুত্বপূর্ণ কাজ। কথা বলে লাভ কী পুরষ্কার বিতরণ করে লাভ কী এটা বাচ্চাদের শেখাতে হবে।

 

 

 

তারাই পুরষ্কার পায় যারা পরিশ্রম করবে। শিক্ষকরা বলে এই ছেলে ও মেয়েটা খুব মেধাবী। আমি বলি ১০ শতাংশ মেধা বাকি ৯০ শতাংশ পরিশ্রম প্রয়োজন। ছাত্রদের দায়িত্ব শিক্ষকের দেখিয়ে দেয়া জানালা অনুসরণ করা। আমি শিক্ষকদের বলব অতীত ভুলে যাবেন না। যখনই কোন অনুষ্ঠান হবে পুরনোদের কথা স্মৃতিচারণ করবেন।

 

 

 

তাহলে বাচ্চারা শিখতে পারবে। মঙ্গলবার (২১ মার্চ) মর্গ্যান স্কুল এন্ড কলেজের আয়োজিত বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতার পুরষ্কার বিতরণী প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন। মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভনিংবডি চেয়ারম্যান ও মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি আনোয়ার হোসেনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি ছিলেন, জেলা শিক্ষা অফিসার শরিফুল ইসলাম।

 

 

 

এ সময় উপস্থিত ছিলেন, স্কুল এন্ড কলেজের অধ্যক্ষ আবুল কালাম আজাদ, মর্গ্যান গার্লস স্কুল এন্ড কলেজের গভনিংবডির দাতা সদস্য ও মহানগর আওয়ামীলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এস এম আহসান হাবিব, অভিভাবক সদস্য জানে আলম জানু, মোশাররফ হোসেন জনি, বরাত হোসেন সুমন, ফাহিমা আক্তার বৃষ্টি, শিক্ষক প্রতিনিধি বিনোদ কুমার দেবনাথ।

 

 

এবং খন্দকার মোঃ শাহনূর, হাজেরা আক্তার, অভিভাবক সদস্য (কলেজ) কৃষ্ণ কমল সরকার, মুক্তি মোস্তফা ও শিক্ষানুরাগী সদস্য হুমায়ূণ কবির ও সহকারী প্রধান শিক্ষিকা লায়লা আক্তার। তিনি বলেন, আমরা স্বপ্ন দেখি স্মার্ট বাংলাদেশের। বঙ্গবন্ধু স্বপ্ন দেখেছিলেন ক্ষুধামুক্ত স্বাধীন বাংলাদেশ। ডিজিটাল বাংলাদেশ বাস্তবায়ন হয়েছে।

 

 

এখন স্মার্ট বাংলাদেশ করতে হবে। স্মার্ট বাংলাদেশ করতে চারটা জিনিস লাগবে। স্মার্ট সিটিজেন, স্মার্ট সোসাইটি, স্মার্ট গভর্নমেন্ট, স্মার্ট ইকোনোমিক। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ঘোষণা দিয়েছেন ২০৪১ সালে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ বানাবো। আপনাদের জন্য বানাবো। এমন দেশের নাগরিক হতে হলে ছাত্রদের অনেক দায়িত্ব। অলসতা সহজ জিনিসকে কঠিন বানিয়ে দেয়।

 

 

কঠিন জিনিস আরও কঠিন। সে আসলে নিজের জীবনকে কঠিন বানিয়ে ফেলে। সে যদি বুঝতে পারে আমার দুর্বলতা কোথায় তাহলে তার অলসতা থাকে না। পৃথিবী আমাদের দেয়ার জন্য প্রস্তুত আছে। আমরা কী সে পরিমান প্রস্তুত কীনা। মতিয়া চৌধুরী এই স্কুলের স্টুডেন্ট। আমাদের মেয়র ডাঃ সেলিনা হায়াৎ আইভী এই স্কুলের স্টুডেন্ট।

 

 

টিচারদের দায়িত্ব হল কথা শোনার মানসিকতা ছাত্রছাত্রীদের মাঝে প্রস্তুত করা। তিনি আরো বলেন, বাচ্চাদের এত টিচার কেন। আমরা কাকে আইসিইউতে রাখি, যে অসুস্থ। সুস্থ মানুষদের জন্য তো ডাক্তার দরকার নেই। আমরা আমাদের বাচ্চাদের অচল মনে করি। জোর করে শেখানের পরিবর্তে ভালবেসে শেখাতে হবে। এটা যদি বোঝানো যায় তাহলে তার এত টিচার লাগবে না।

 

 

 

আপনার বাচ্চাকে অচল করে দিবেন না। আপনার বাচ্চা যদি না পড়ে এক জোরা টিচার দিয়ে হবে না৷ ছাত্রছাত্রীদের অনুরোধ করবো নিজের পড়া নিজের পড়তে হবে। তাহলেই তুমি পুরষ্কৃত হবে। এ সময় নারায়ণগঞ্জ মহানগর আওয়ামীলীগের সভাপতি ও মর্গ্যান গালর্স স্কুল এন্ড কলেজ গভনিং বডির চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বলেছন।

 

 

এবং মর্গ্যান স্কুল থেকে অনেক নামিদামী ছাত্রী হয়ে বের হয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বিশস্ত মতিয়া চৌধুরী, মন্ত্রী ইন্দ্রিরা, সিটি কপোর্রেশনের তিনবারের মেয়র ডা. আইভি। তিনি সুনাম অর্জন করেছেন নারায়ণগঞ্জের। মর্গ্যান স্কুলের প্রধান শিক্ষক মমতাজ বেগম ৬ দফা আন্দোলনে কারাবন্দি ছিলেন। এই স্কুলের শিক্ষক ভারতের নাগরিক ছিলেন।

 

 

সারা নারায়ণগঞ্জে আলোচিত মর্গ্যান গালর্স এন্ড কলেবের গভনিং বডির সভাপতি হিসেবে মনোনীত করেছেন তাদের কৃতজ্ঞতা জানাই। শেখ হাসিনা নারীদের এগিয়ে নিতে কাজ করেছেন। তিনি দেশে ডিসি এসপি রাজনীতি অঙ্গনে নারীদের প্রধান্য দিচ্ছেন। যারা পুরস্কার পাওনি তারা আগামীতে পুরস্কার ছিনিয়ে নিতে পারবে, যদি তুমি চেস্টা করো।

 

 

 

স্কুলটি বড় শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করেছি তোমাদের জন্য। মান মর্যাদা বৃদ্ধি তোমাদের বড় দায়িত্ব। শিক্ষা ছাড়া ভালো স্থান পাওয়া যায় না। বঙ্গবন্ধু সাথে সাক্ষাতকালে তিনি শিক্ষা গ্রহণের নিদের্শ দিয়েছিলেন। বঙ্গবন্ধু শিক্ষনীয় আমরা চলছি। সন্ত্রাস মাদক বিরোধে আমাদের থাকতে হবে। ভালো স্থানকে স্বাগত ও খারাপ স্থানকে পরিহার করতে হবে। এন.হুসেইন/জেসি
 

এই বিভাগের আরো খবর