শুক্রবার   ১৯ এপ্রিল ২০২৪   বৈশাখ ৬ ১৪৩১

‘আর দিয়েন না, মিঠায় মুখ মাইরা আহে’

যুগের চিন্তা অনলাইন

প্রকাশিত: ১৬ জুন ২০২১  

শামীম ওসমান। নারায়ণগঞ্জ জেলা আওয়ামীলীগের তাঁর কোনো পদ না থাকলেও তিনিই জেলার প্রভাবশালী নেতা। এছাড়াও  তিনি নারায়ণগঞ্জ-৪ আসনের সাংসদ। তিনি তাঁর নির্বাচনী আসনে ব্যাপক উন্নয়ন করেছেন বলে বিভিন্ন সভা সেমিনারে তিনি সমান তালে কথা বলে যান। তাঁর আশির্বাদপুষ্ট নেতারাও নেতার গুনকীর্তনে সব সময় মত্ত থাকেন।

 

তবে তাঁর উন্নয়নের চিত্র ভিন্ন। বর্ষা মৌসুমে ফতুল্লা ও সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন এলাকায় দেখা দেয় জলাবদ্ধতা। বর্ষার অভিশাপে নাভিশ্বাস উঠে জনগণের। প্রতিবছরই শামীম ওসমান জলাবদ্ধ এলাকাবাসীর দুঃখ দূর্দশার কথা বলে দুঃখ প্রকাশ করেন। এবার তিনি আমেরিকায় অবকাশ যাপনে যাওয়ার কারনে দুঃখ প্রকাশ করতে পারেনি।  তবে শীঘ্রই তিনি  দেশে ফিরে এসে ডিএনডিবাসীর কষ্টের কারণে নাতিদীর্ঘ দুঃখ প্রকাশ করতে পারেন। তাঁর মুখের বানী শুনে ডিএনডিবাসীর দুঃখ ঘুচে যাবে হয়তো।

 

যদিও ঘর বাড়ি পানির নিচে থাকবে আরো কয়েক মাস। এমন মন্তব্য ডিএনডিবাসীর। ডিএনডিবাসী বর্ষা মৌসুমে বর্ষার পানির কারনে দুঃখ দূর্দশার মধ্যে পড়ে। ইতিপূর্বে সরকার ডিএনডিতে মেগা প্রকল্পের টাকা বরাদ্দ দিয়েছেন। কাজ করছেন বাংলাদেশ সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যে কাজের অনেকটা অগ্রগতিও হয়েছে। তবে প্রশ্ন উঠেছে সাংসদ শামীম ওসমানকে নিয়ে। তিনি বছরের পর বছর ডিএনডির পানি নিষ্কাশনের ব্যাপারে দিয়েছেন অনেক আশ্বাস। তার এই আশ্বাসে ডিএনডিবাসী আশায় বুক বাঁধে আগামী বছরের জন্য। কিন্তু না। পরের বছরও একই অবস্থা হয় সেখানে।

 

ডিএনডির অভ্যন্তরে বসবাসকারী ফতুল্লার লালপুর এলাকার একজন বাসিন্দা বলেন, বর্ষা মৌসুম ছাড়াও ডিএনডিতে বসবাসকারীরা জলাদ্ধতার মধ্যে থাকতে হয়। এর কারন হলো,যত্রতত্র মাটি ভরাট। পরিকল্পনা ছাড়াই ভবন নির্মাণ। মাটি ভরাটের কাজগুলো সাংসদের লোকজনই করে থাকেন। পরিকল্পনা ছাড়া যদি মাটি ভরাট করা হয় তাহলে বাসা বাড়ি ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের পানিতে এলাকা তলিয়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।

 

তিনি আরো জানান, সাংসদ শামীম ওসমান যে উন্নয়নের কথা বলেন তিনি ফতুল্লাসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে পানি অন্যত্র সরে যাওয়ার ব্যাপারে কোনো ভুমিকাই রাখেনি।  যিনি এতো উন্নয়নের কথা বলেন, তিনি তার  ৩ পিরিয়ডেও  জলাবদ্ধতা থেকে ফতুল্লাবাসীকে মুক্তি দিতে পারেনি।  তিনি ক্ষোভ ঝেড়ে বলেন,আমাদের সংসদ সদস্য শামীম ওসমান এতো দিচ্ছেন এখন বলতে ইচ্ছে করছে    ‘আর দিয়েন না, মিঠায় মুখ মাইরা আহে ’  


 

এই বিভাগের আরো খবর